চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া যাওয়া

চিকিৎসার জন্য ভ্রমণ সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হয় এমন অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে মালয়েশিয়া একটি। একারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দেশটির প্রচলিত আইনে যথেষ্টই সুরক্ষা পান। চিকিৎসাসেবার মান নিয়েও উদ্বেগ নেই।

অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মত উন্নত দেশগুলো থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা ডাক্তারগণ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা দেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চিকিৎসা ব্যয় যেখানে দিনে দিনে আকাশছোঁয়া হয়ে উঠছে, সেখানে মালয়েশিয়া সারা বিশ্বের রোগীদের জন্য কম খরচে বিশ্বমানের চিকিৎসা দিচ্ছে। পশ্চিমা দেশগুলোয় চিকিৎসা নিতে যে পরিমাণ খরচ হয় তার চেয়েও কম খরচে মালয়েশিয়ায় চিকিৎসা নেয়া এবং ছুটি কাটানো দু’টিই সম্ভব।

উন্নত থাকার ব্যবস্থা ছাড়াও সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি বিদেশী রোগীরা পান সেটি হচ্ছে মালয়েশিয়ার হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসকসহ সবধরনের কর্মীই ইংরেজী কথোপকথনে সক্ষম।

হাসপাতালের কাছাকাছি থাকার জায়গা নির্বাচন করতে হবে। মাঝারি মানের হোস্টেলগুলোয় আরামদায়ক বিছানার পাশাপাশি ওয়াটার হিটার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকে। বেশি সাশ্রয়ী হোস্টেলে এসব সুবিধা না থাকার সম্ভাবনা বেশি। আর উচ্চমানের হোস্টেলগুলোয় থাকার ব্যবস্থা যে যথেষ্ট উচ্চমানের সেটা বলাই বাহুল্য। অবশ্য অনেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই থাকার ব্যবস্থাও করে।হাসপাতালগুলোয় মুসলিম রোগীদের জন্য হালাল খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

চিকিৎসার জন্য যাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার:

পূর্বে চিকিৎসা নিয়ে থাকলে ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশন, এক্স-রে রিপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র নেয়া হল কিনা।
ক্রেডিট কার্ডের মেয়াদ আছে কিনা। প্রয়োজনে মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়ার জন্য করণীয় জেনে রাখা।
অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হতে পারে, তাই অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতি সম্পর্কে আগেই ধারণা রাখা।
বিমা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকমত রাখা।

মালয়েশিয়ার চিকিৎসা ভ্রমণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে:

আসুনতা হাসপাতাল: প্রায় পাঁচ দশকের ঐতিহ্য রয়েছে ৩৪৪ শয্যার এই হাসপাতালটির। ওয়েবসাইট: http://www.assunta.com.my/
মালয়েশিয়া কলাম্বিয়া এশিয়া হাসপাতাল, বুকিত রিমাউ: http://www.columbiaasia.com/bukit-rimau/
গ্লেন এগলস হাসপাতাল: রাজধানী কুয়ালালামপুরে হাসপাতালটির অবস্থান। শয্যা সংখ্যা ৩৩০। ওয়েবসাইট: http://www.gleneagleskl.com.my/
ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট: কুয়ালালামপুরে অবস্থিত, শয্যা সংখা ৪২৪। ওয়েবসাইট: http://www.ijn.com.my/
কেপিজে তাওয়াক্কাল স্পেশালিস্ট হাসপাতাল: শয্যা সংখ্যা ১৫০, রাজধানীর শপিং মল আর পাঁচ তারকা হোটেল এলাকায় হাসপাতালটির অবস্থান। ওয়েবসাইট: http://www.tawakal.kpjhealth.com.my/
পানতাই হাসপাতাল: ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজধানীতে অবস্থিত এ হাসপাতালটির বর্তমান শয্যা সংখ্যা ৩৩২। ওয়েবসাইট: http://www.pantai.com.my/pantai-hospital-kuala-lumpur
তামান দেশা মেডিকেল সেন্টার: অবস্থান রাজধানী কুয়ালামাপুরে, শয্যা সংখ্যা ১২৮। ওয়েবসাইট: http://www.tdmc.com.my/
টুং শিন হাসপাতাল: ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অবস্থান রাজধানীতে, শয্যা সংখ্যা ২৩৮। ওয়েবসাইট: http://www.tungshin.com.my/
ইউ এম স্পেশালিস্ট সেন্টার: অবস্থান রাজধানীতে। শয্যা সংখ্যা ৭০। ওয়েবসাইট: http://www.umsc.my/

মালয়েশিয়ার চিকিৎসা ভ্রমণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলোর পূর্ণ তালিকা পাওয়া যাবে এই লিংকে: http://www.hospitals-malaysia.org/portal/index.asp?menuid=42

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline