
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সংঘাত-সহিংসতার কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ ও টেন্ডারবাজি জড়িত বলে অবশেষে স্বীকার করেছেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এসব সন্ত্রাসী ঘটনার পেছনে নিয়োগ বাণিজ্য এবং টেন্ডারবাজি জড়িত।
এখানকার সন্ত্রাসীদের হাতে যেসব ভয়ঙ্কর ও অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখা যায়, তা রীতিমতো আতঙ্কের। বিশ্ববিদ্যালয় সচল রাখা নিয়ে আমাকে শঙ্কায় থাকতে হয়। ছাত্র সংগঠনের নেতাদের এসব টেন্ডারবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রকাশ্যেই স্বীকার করেন তিনি। শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নসহ কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রক্টরিয়াল বডির রিপোর্ট পাওয়ার পর বহিষ্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে উপাচার্য বলেন, যারা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে দায়ী হবেন তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওই বৈঠকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নামধারী কয়েক জন নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদের সম্পর্কে উপাচার্য ড. ইফতেখারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে তার অসহায়ত্বের বিষয়টি অকপটে প্রকাশ করেন।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে বর্তমান উপাচার্য এবং তার অনুসারী কয়েক জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা এতদিন ছাত্রনেতা নামধারী এসব সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন।
বৈঠকে চবি উপাচার্যের দুঃখ প্রকাশ এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সিইউজে নেতারা কর্মসূচি সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুন: