সাধারণত প্রতি বছর নভেম্বরে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের কাজ শুরু হয়। তা চলে ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় জানুয়ারিতে। ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা কি, কিভাবে আবেদন করা যায়, আবেদন ফি কত, আবেদনের সময় কি কি কাগজপত্র লাগবে তা জানতে হবে সবার আগে। কেননা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির চেয়ে ক্যাডেট কলেজগুলোতে নিয়ম-কানুন গুলো একটু ভিন্ন এবং সেসব নিয়মনীতি তারা অবলোকন করে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে।

আবেদনের যোগ্যতা :
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুকদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। এ ছাড়া তাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণী বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ১৪ বছর এবং ছেলেমেয়ে উভয়েরই উচ্চতা থাকতে হবে নূ্ন্যতম ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি। ইতিমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি এমন শিক্ষার্থীরা আবেদনের অযোগ্য। এ ছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন গ্রস নক নী, ফ্ল্যাট ফুট, বর্ণান্ধ ও অতিরিক্ত ওজন এবং বিভিন্ন রোগ যেমন এজমা, মৃগী, হৃদরোগ, বাত, যক্ষ্মা, পুরনো আমাশয়, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিসসহ আরও কয়েকটি রোগে আক্রান্ত কেউ আবেদনের অযোগ্য বিবেচিত হয়।

আবেদনের নিয়ম :
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ব্যবহার করতে হবে www.cadetcollege.army.mil.bd এই ওয়েবসাইটি। আবেদনের সময় প্রার্থীদের অনাধিক ১৮০x২১০এবং ২০০ কিলোবাইটের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ব্যবহার করতে হবে। ছবি অবশ্যই ১৫ দিনের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জমাদান পদ্ধতি : প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বা প্রাথমিক ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সত্যায়িত সনদপত্র; ৫ম শ্রেণিতে ইংরেজী মাধ্যমে অধ্যয়নকৃত শিক্ষার্থীদের তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক উত্তীর্ণের প্রত্যয়নপত্র; প্রার্থীর জন্মনিবন্ধন বা জন্ম সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি; প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক ষষ্ঠ বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সাল উল্লেখপূর্বক সনদপত্র; ফলাফল প্রকাশিত না হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এই মর্মে প্রদত্ত সনদ; প্রার্থীর বাবা-মা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র; প্রার্থীর অভিভাবক বা বাবা-মা উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি (পরিচয়পত্র না থাকলে যথাযথ কারণ প্রদর্শনপূর্বক প্রত্যয়নপত্র) এবং অনলাইন আবদেনপত্রে আপলোড করা প্রার্থীর ছবির অনুরূপ পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প সাইজের রঙিন ছবি।  উল্লেখ্য, কোটা সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অবশ্যই ক্যাডেট কলেজগুলোর ‘ই-বুথ আউটলেট’র মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোটাধারীদের তাদের সংশ্লিষ্ট কোটার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও ছবির সফট কপি সঙ্গে আনতে হবে। উল্লেখ্য, প্রার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে অনলাইনে আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি জমাদানের জন্য প্রতিটি ক্যাডেট কলেজে এবং ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামে একটি করে ‘ই-বুথ আউটলেট’ স্থাপন করা হয়েছে। এ সব ই-বুথে উপস্থিত হয়ে অনলাইনে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।

পরীক্ষার মাধ্যম :
বাংলা ও ইংরেজী, এ দুটি মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়া যায়। তবে প্রার্থীকে যেকোনো একটি মাধ্যম বেছে নিতে হবে।

পরীক্ষার মানবণ্টন :
মোট ৩০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ইংরেজীতে মার্কস ৭৫, গণিতে ৫৫, বাংলায় ৪০ ও সাধারণ জ্ঞানে ৩০ মার্কস। আর মৌখিক পরীক্ষার মার্কস ৫০ ও স্যুটবিলিটি টেস্টের জন্য রয়েছে ৫০ মার্কস। এ ছাড়া রয়েছে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা। উল্লিখিত সব ধাপের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষার প্রস্তুতি :
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষা থেকে ভিন্ন ধরনের। তাই এ পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে দরকার দীর্ঘ প্রস্তুতি, কঠোর অধ্যবসায় ও সঠিক গাইডলাইন। নিয়মিত পড়াশোনা এতে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ভর্তি পরীক্ষা :
ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে মৌখিক ও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা এবং এবং স্যুটাবিলিটি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, ক্যাডেট ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে www.cadetcollege.army.mil.bd ওয়েবসাইটটি ভিজিট কর।সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে অগ্রাধিকার : ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা শেষে ক্যাডেটদের সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসার পদে নির্বাচনী পরীক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ক্যাডেটদের শুধু ISSB পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েই সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করা যায় এবং তা বাধ্যতামূলক।

 

আরো পড়ুন:

ভিকারুননিসার ইংলিশ ভার্সনে ৪৭০ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছে

ফাযিল পরীক্ষায় নকল ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার

বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশন্স ইনষ্টিটিউটে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা প্রশ্নে অনুষ্ঠিত সভা শেষ হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline