তীব্র বেগে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফনি।
শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে ভারতের ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে। শুক্রবার গভীর রাতে যার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গে।
এরপর এটি শুক্রবার রাতেই বাংলাদেশে ১২০ কিমিরও বেশি গতিতে আঘান হানবে। ঘূর্ণিঝড় ফণি হতে সর্তক থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ইশিখন ধারাবাহিকভাবে আপনাদের জন্য ঘুর্ণিঝড় সর্ম্পকিত যাবতীয় পোস্ট করবে।
ঘূর্ণিঝড় ফণি বিগত ৪০ বছরের মধ্যে এপ্রিলের অতিমাত্রায় শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্নক ঘূর্ণিঝড়। এর ভয়াবহতা তাই হার মানাতে পারে বিগত কয়েক বছরের ঘুর্ণিঝড় আয়লা, সিডর ইত্যাদিকে। এর ফলে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক হারে ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হতে পারে। ঘুর্ণিঝড়ের সাথে তুফান, ঝড়বৃষ্টি, দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এর ফলে সৃষ্টি হতে পারো বড় ধরণের জলোচ্ছ্বাস।
এ ছাড়াও আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। ঘুণিঝড়ে বাতাসের গতি বেগ ঘন্টায় সবোর্চ্চ ২০৫ কি.মি যা ব বাংলাদেশে আসার পর ১২০ থেকে ১৩০ কিমি থাকবে। এর আগে
বাংলাদেশে বিগত ২ দশকের মধ্যে ভয়ঙ্কর ঘুর্ণিঝড় সিডরের গতিবেগ ছিল ৯০ থেকে ১১০ কি.মি। তাই বলা যায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে ঘুর্ণিঝড় ফণি। ঘুর্ণিঝড় ফণির আঘাতে উপকুল ও এর আশেপাশের জেলার মাটির ঘর, কাচাঘর সমূহ পুরো উড়ে যেতে পারে। গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ভাঙ্গার ফলে অসর্তক থাকলে প্রাণহানি হতে পারে হাজারো মানুষের। এছাড়াও ঘুর্ণিঝড়ের ফলে সাগরে পানির উচ্চতা ৪ থেকে ৫ ফুট বেড়ে যেতে পারে যার ফলে তৈরি হতে পারে জলোচ্ছ্বাস তথা বন্যা।
0 responses on "কতটা ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় ফণী?"