এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ

এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ

এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবছর ১০টি শিক্ষাবোর্ডের গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬শ ২৯ জন। ১০ বোর্ডে পাস করেছে ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১শ ৪ জন। গতবারের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

রোববার (৬ মে) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই ফলাফল কপি হস্তান্তর করা হয়। সেখানে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যোগ দিয়েছেন। দুপুর ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট, মোবাইলের এসএমএস ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন।

ফল জানতে ক্লিক কর

এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন শুধু এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪০। গতবারের চেয়ে পাসের হার কিছুটা কম। গতবার এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ। তবে এসএসসিতে জিপিএ ৫ গতবারের চেয়ে বেড়েছে। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ২ হাজার ৮৪৫ জন। যা গতবারের চেয়ে চার হাজার ৮৮১ জন বেশি। দশ বোর্ডে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে পাসের হার ছিলো ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল এক লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।

মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৮৯ শতাংশ ও কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৭১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে ৩ হাজার ৩৭১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে জন ৪ হাজার ৪১৩ জিপিএ-৫ পেয়েছে।

চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৭ দশমিক ১১ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, যশোরে ৭৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮০ দশমিক ৪০, রাজশাহীতে ৮৬ দশমিক ০৭, ঢাকাতে ৮১ দশমিক ৪৮ , সিলেটে ৭০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

ছেলেদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭১ ও মেয়েদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮৫ দশমিক। ছেলেদের থেকে মেয়েরা এগিয়ে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্ররা এগিয়ে। ৫৪ হাজার ৯২৮ জন ছাত্রীর বিপরীতে ৫৫ হাজার ৭০১ জন ছাত্র এবার পূর্ণ জিপিএ পেয়েছে।

এবার মোট ২৮ হাজার ৫৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে এক হাজার ৫৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।

এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১৭টি বিষয়ের মধ্যে ১২টিতেই নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) অংশের ‘খ’ সেট প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৪ মার্চ শেষ হয়। সারা দেশে তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ ছাত্র ও ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭।

 

 

আরো পড়ুন:

এসএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করবেন যেভাবে

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline