এসএসসি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ হিসাববিজ্ঞান সপ্তম অধ্যায় খতিয়ান

এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি পরীক্ষার হিসাববিজ্ঞান বা নবম দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান এর বহুনির্বাচনী প্রস্তুতি পর্বে এবার থাকছে হিসাববিজ্ঞান বইটির সপ্তম অধ্যায় খতিয়ান এর উপর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টভিত্তিক আলোচনা। আশা করা যায় এই তথ্যগুলো প্রশ্ন কমন পেতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে এবং হিসাববিজ্ঞানের উপর ভিত শক্ত করবে।

তো! চলো শুরু করা যাক!

হিসাববিজ্ঞান

এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি নৈর্ব্যত্তিক পরীক্ষা প্রস্তুতিঃ হিসাববিজ্ঞান অধ্যায় সপ্তম

 

খতিয়ান

  • লেনদেনের সারিবদ্ধ ও শ্রেণীবিভাগ সংক্ষিপ্ত বিবরণীকে বলা হয়- খতিয়ান।
  • খতিয়ানকে বলা হয় হিসাবের- পাকা বই, প্রধান বই, সকল বইয়ের রাজা।
  • লেনদেনের সামগ্রিক ফলাফল জানা যায়- খতিয়ানের মাধ্যমে।
  • হিসাবের জের টানা হয় না- জাবেদায়।
  • খতিয়ান লেখা হয়- জাবেদার ওপর ভিত্তি করে।
  • খতিয়ান- প্রাথমিক বা সহকারী বই নয়।
  • লেনদেনের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল- খতিয়ান।
  • খতিয়ান হিসাব থেকে রেওয়ামিল তৈরি করা যায়।
  • নির্দিষ্ট সময় শেষে প্রতিষ্ঠানের মোট ক্রয়-বিক্রয়, লাভক্ষতি, লেনদেনের শ্রেণীবিভাগ করে ও খতিয়ান হিসাব প্রস্তুত করে।
  • লেনদেনসমূহের স্থায়ী ভাণ্ডার হচ্ছে- খতিয়ান বই।
  • জাবেদা থেকে লেনদেনগুলোকে পাকাভাবে লেখা হয়- খতিয়ানে।
  • খতিয়ান বই থেকে তৈরি করা যায়- রেওয়ামিল ও আর্থিক বিবরণী।
  • খতিয়ান এর মাধ্যমে হিসাবের ভুলত্রুটি সহজে ধরা পড়ে।
  • একটি ব্যবসায়ের সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া যায়- খতিয়ান থেকে।
  • খতিয়ান হিসাব দুই প্রকার ছকে করা যায়।
  • খতিয়ানের T ছকে ঘর থাকে- ৮টি।
  • হিসাবের T ছকে প্রত্যেক দিকে ঘর থাকে- ৪টি।
  • লেনদেন প্রথমে জাবেদায় লিপিবদ্ধ না করেও সরাসরি লেখা যায়- খতিয়ানে।
  • চলমান জের ছক অনুসরণপূর্বক খতিয়ান প্রস্তুতে- সময় ও শ্রম লাঘব করে, প্রতিনিয়ত হিসাবের জের পাওয়া যায়।
  • প্রত্যেক দেনাদার ও পাওনাদারের জন্য আলাদা খতিয়ান প্রস্তুত করাকে বলা হয়- সহকারী খতিয়ান।
  • হিসাবের ডেবিট দিকের যোগফল, ক্রেডিট দিক অপেক্ষা বেশি হলে- প্রকাশ করবে- ডেবিট উদ্বৃত্ত(Debit Balance)।
  • খতিয়ানের উদ্বৃত্তসমূহ দ্বারা প্রস্তুত করা হয়- রেওয়ামিল।
  • জাবেদা থেকে দাখিলাসমূহ পৃথকভাবে খতিয়ানের হিসাবসমূহে স্থানান্তরিত করার কাজকে বলা হয়- খতিয়ানভুক্তকরণ।
  • খতিয়ানে হিসাবের দুদিকের যোগফলের পার্থক্য নির্ণয় করাকে বলা হয়- জের/ জের নির্ণয়।
  • কোনো হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট পার্শ্বের যোগফলের পার্থক্যকে বলে- উদ্বৃত্ত(Balance)।
  • জের টানার আরেক নাম- ব্যাল্যান্সিং।
  • কোনো খতিয়ান হিসাবের উভয় দিক আপনা আপনি সমান হয়ে গেলে হিসাবটিকে বলা হয়- সমতাপ্রাপ্ত।
  • খতিয়ান হিসাবের দুদিক সমান করাকে- সমীকরণ বা জেরটানা বলে।
  • কোনো হিসাবের ব্যাল্যান্স বা উদ্বৃত্ত বলতে বোজায়- তার দুদিকের পার্থক্যকে।
  • হিসাবের উভয় দিকের যোগফলের নিচে দুটি সমান রেখা টেনে দিতে হয়, একে বলে- হিসাববন্ধ করা।
  • সি/ডিঃ Carried Down অর্থাৎ নিচে নীত বা স্থানান্তরিত হবে।
  • বি/ডিঃ Brought Down অর্থাৎ উপর থেকে আনীত/ স্থানান্তরিত হয়েছে।
  • সি/এফঃ Carried Forward অর্থাৎ সম্মুখে নীত।
  • বি/এফঃ Brought Forward অর্থাৎ পেছন থেকে আনীত।
  • সম্পদ হিসাব- ডেবিট ব্যাল্যান্স।
  • দায় হিসাব- ক্রেডিট ব্যাল্যান্স।
  • মালিকানাস্বত্ব হিসাব- ক্রেডিট ব্যাল্যান্স।
  • রেভিনিউ/ আর্ন হিসাব- ক্রেডিট ব্যাল্যান্স।
  • ব্যয় হিসাব- ডেবিট ব্যাল্যান্স।

 

আশা করছি, উপরের তথ্যগুলো নবম দশম শ্রেণীর অথবা এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড এর  শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আসবে।

 

বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত তথ্যগুলো হিসাববিজ্ঞানের যেকোনো মৌলিক জ্ঞান মেটাবে। তাই, ভার্সিটি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদেরও উপকারে আসতে পারে।

 

 

আরো পড়ুন:

কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা প্রশ্নে অনুষ্ঠিত সভা শেষ হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট

রহমতুল্লাহ মডেল হাই স্কুলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ শতাংশ পাস করেছে

গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা পরীক্ষা আগামী ১৯শে ডিসেম্বর শুরু হবে

এসএসসিএইচএসসি ফরম পূরণে বাড়তি ফি ফেরত না দিলে ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত: হাই কোর্ট

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline