
এসএসসির নতুন করে পরীক্ষা নিলেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে তাই পরীক্ষা বাতিলের সম্ভাবনা নেই
- চলমান এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলেও পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হচ্ছে না। তবে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে রোববার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পরীক্ষা মূল্যায়ন কমিটি দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসবে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এখন তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, পরীক্ষার আগমুহূর্তে প্রশ্নপত্র ফাঁসের এই প্রবণতা তাঁরা রোধ করতে পারবেন না। আবার এভাবে ফাঁস হওয়ায় নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার মতোও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। কারণ, নতুন করে পরীক্ষা নিলেও একই ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও পরীক্ষা বাতিলের সম্ভাবনা নেই। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় সব বিষয়ে প্রশ্ন আগেভাগেই সামাজিক মাধ্যমে এলেও সেগুলো এসেছে পরীক্ষা শুরুর ২৪ মিনিট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টা আগে। আবার চলতি বছর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ বাধ্যতামূলক করে সরকার। কেন্দ্রের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে কারো কাছে মোবাইল পেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এতো কিছুর পরও প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব হয়নি। গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটি করা হয়। সেদিন জানানো হয়, এই কমিটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কমিটি প্রথম বৈঠক হয়েছিল সাতটি বিষয়ের পরীক্ষার পর। আজ রোববার ১২টি পরীক্ষা শেষে কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক হবে। গত ৪ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে কমিটির প্রধান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বলেছিলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষার মাত্র ৫-১০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র পাচ্ছে। ওই প্রশ্ন পেয়ে তো বেশি প্রভাব পড়ার সুযোগ নেই। আবার দেখা গেছে, বেশ আগে ফাঁস হলেও পাঁচ বা ১০ হাজার ছেলেমেয়ে এসব প্রশ্ন পেয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা দিয়েছে ২০ লাখের বেশি। এমন বিষয়গুলো হিসাব-নিকাশ করব। তারপর সুপারিশ করা হবে। কর্তৃপক্ষ (মন্ত্রণালয়) সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরো পড়ুন:
এসএসসি প্রশ্নোত্তরসহ এক কক্ষ পরিদর্শককে হাতেনাতে আটক করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
এসএসসির পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্নফাঁসের দায়ে ৯ পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ