
এইচএসসি প্রশ্ন বিক্রির বিজ্ঞাপন ফেসবুকে, কলেজছাত্রসহ দুই পরীক্ষার্থী গ্রেপ্তার করা হয়েছে
এইচএসসি পরীক্ষা ২০১৯কে কেন্দ্র করে ফেসবুকে ‘এইচএসসি কোয়েশ্চন’ নামের একটি গ্রুপের মন্তব্যের বক্সে ‘শতভাগ কমন, প্রশ্নের জন্য যোগাযোগ কর ইনবক্সে’— এক আহ্বান জানানো হয়। ‘এ আর আকরাম’ নামের একটি আইডি থেকে দেওয়া এই ‘বিজ্ঞাপন’ ছিল এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্ন বিক্রির তবে বেশি দূর এগোতে না পেরে কথিত বিক্রেতারা ধরা পড়েন পুলিশের হাতে। গতকাল সোমবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষার আগে ঘটে এ ঘটনা।
পরীক্ষার আগেই গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি ইউনিয়নের পূর্ব হাসনাবাদ গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিনজনকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে দুজন ভাটিয়ারি বিজয় স্মরণী কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল জামান (২০) ও মো. আরিফ হোসেন (২০)। অন্যজন মো. আল আমিন (১৯) একই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। সবাই মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়,
আটক তিন শিক্ষার্থী চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রশ্নপত্র ফাঁস করার কথা বলে ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা আদায় করেন। আটকের পর তাঁদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল সিম পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন ফেসবুক
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বলেন, সোমবার ছিল এইচএসসি বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা। দুদিন ধরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে থাকে প্রতারক চক্রটি। এটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের নজরে আসে। পরে অভিযান চালানো হয়। তবে তাঁদের কাছে কোনো প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় প্রতারণার মামলা হবে।
পুলিশের উপস্থিতিতে থানায় আভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল জামান বলেন, তাঁদের কাছে কোনো প্রশ্ন ছিল না। আরিফ হোসেনের পরামর্শে তিনি এআর আকরাম নামের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলেন। সেটি থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্ন শতভাগ কমন পড়ারও নিশ্চয়তা দেন। এ জন্য প্রতি প্রশ্নের জন্য ৬০০ টাকা করে দেওয়ার জন্য বলা হয়। যারা প্রশ্ন নেবে তাদের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের ইনবক্সে যোগাযোগ করতে বলা হয়। যোগাযোগের পর গ্রাহকদের একটি বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়। সেখানে দুই হাজার টাকার মতো পেয়েছেন তাঁরা।
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রথমে পূর্ব হাসনাবাদ গ্রাম থেকে আবদুল্লাহ আল জামান ও আল আমিনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে আটক করা হয় আরিফ হোসেনকে। অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। এ সময় মুঠোফোনে বিকাশে টাকা লেনদেনের খুদে বার্তা পাওয়া যায়।