
এইচএসসি পরীক্ষায় কড়াকড়ির কারণে কলেজে ভাঙচুর, আটক ২৭ জন।
নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে একদল পরীক্ষার্থী। তাঁরা সবাই নোয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র। এ ঘটনায় ২৭ জনকে আটক করেছে। শিক্ষকদের অভিযোগ এইচএসসি পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে শিক্ষার্থীরা এ হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মে) দুপুর একটায় পরীক্ষা শেষে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আজ ছিল উচ্চতর গণিত দ্বিতীয়পত্র ও উৎপাদন বিপণন দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষক বলেন, আজ বেলা একটায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০-১৫ মিনিটের মাথায় ৫০-৬০ জন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে ভাঙচুর শুরু করে। তাঁরা কলেজের দুটি ভবনের অন্তত ১০টি কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুর করে। ভাঙচুর করে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের যন্ত্রপাতি এবং শিক্ষকদের বিশ্রামাগারের জানালার কাচ। এ সময় শিক্ষকেরা টেবিলের নিচে, শৌচাগারের ভেতর আশ্রয় নেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তাণ্ডব চালানোর পর হামলাকারীরা পুলিশ আসতে দেখে পালিয়ে যায়।
কলেজের উপাধ্যক্ষ আবদুজ জাহের বলেন, এইচএসসি পরীক্ষায় নোয়াখালী সরকারি কলেজের পরীক্ষার্থীদের আসন নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজে পড়ে। শুরু থেকে পরীক্ষার্থীরা হলে একে অপরের কাছ থেকে দেখে লেখা কিংবা নকলের অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেছিল। কিন্তু শিক্ষকেরা তা না দেওয়ায় পরীক্ষার্থীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ পরীক্ষা শেষে তাণ্ডব শুরু করে। এ সময় শিক্ষকেরা ভয়ে দিগবিদিক ছুটোছুটি করে। অনেকে গিয়ে টয়লেটে আশ্রয় নেন।
এক প্রশ্নের জবাবে উপাধ্যক্ষ বলেন, পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান উপাধ্যক্ষ।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন থেকে নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকেরা পরীক্ষার হলে নানাভাবে তাদের হয়রানি করেন। এ কারণে অনেক মেধাবী ছাত্রও শিক্ষকদের অতিরিক্ত কড়াকড়ির কারণে পরীক্ষায় খারাপ করেছে। এতে অনেকের মাঝেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৭ জন ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হবে। অন্যথায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: