
ইবি উপাচার্যের ওপর হামলার রেশ না কাটতেই আবারও ভোরে হামলার কবলে পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অ্যাম্বুলেন্স। এসময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল, গহনা ছিনতাই করে নেয় ডাকাতরা। ছিনতাই শেষে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর, শিক্ষার্থী ও গাড়ির চালক আব্দুল খালেককে মারধর করে তারা।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের বড়দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ২৬ জানুয়ারি একই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর ওপর হামলা হয়।
জানা যায়, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হল ও আরবি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পলি খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থতার খবর পেয়ে পলি খাতুনের সহপাঠীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
পরে মেডিকেল সেন্টারে দায়িত্বরত চিকিৎসক মিল্টন তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি মাগুরা জেলায় হওয়ায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় পলিকে পরিবারের সদস্যদের কাছে রেখে আসে সহপাঠীরা।
পলিকে হাসপাতালে রেখে ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জেলার বড়দা এলাকায় এলে গাড়ির চালক আব্দুল খালেক দূর থেকে পাঁচটি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পান। পরে কাছাকাছি এলে রাস্তায় আড়া আড়িভাবে গাছ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
চালক আব্দুল খালেক অ্যাম্বুলেন্স সাইড করে রাখার পর পরই পাঁচ-ছয়জন মুখোশধারী রামদা ও হাসুয়া দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে উপুর্যপরি আঘাত করে। পরে মুখোশধারীরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, পাঁচ হাজার টাকা ও তিনটি কানের দুল ছিনতাই করে।
ছিনতাই শেষে আরবি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষর্থী মারুফ ও অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল খালেককে মারধর করে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহয়তায় ক্যাম্পাসে ভোর ৫টার দিকে ক্যাম্পাসে পৌঁছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আরবি বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে এক সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। সংবাদ সমম্মেলনে আরবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, যেহেতু পরপর দু’টি ঘটনা ঘটেছে, তাই এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। বিষয়টি ঝিনাইদহ জেলা পুলিশকে জানিয়েছি। তারা পদক্ষেপ নেবে।
আরো পড়ুন: