ইন্টারনেটে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ব্যর্থ হওয়ার কিছু কারণ

ডিজিটাল বিপণনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষকে একত্র করা যায় সহজ ও সুন্দর বিষয়বস্তুর (কন্টেন্ট) মাধ্যমে। সত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যায়। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সুন্দর পরিকল্পনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ধরনের ফাঁদ থাকে। এগুলো এড়িয়ে এগিয়ে যেতে হয়। ডিজিটাল বিপণনে প্রচারণা বা ক্যাম্পেইন একটা বড় ব্যাপার। ভুল কৌশলে প্রচারণা মাঠে মারা যেতে পারে। ডিজিটাল বিপণনে যাঁরা নতুন তাঁদের জন্য প্রচারণা ব্যর্থ হতে পারে, এমন কিছু কারণ এখানে দেওয়া হলো।

আপনি যদি নিয়মিত না হন

আপনি যদি নিয়মিত সক্রিয় হতে না পারেন, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভালো ফল দেবে না। নির্ধারিত কোনো পণ্য নিয়মিত উপস্থাপনা না করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে না।

তাই আপনাকে নিয়মিত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সমাজিক যোগযোগমাধ্যমে হট স্যুইট, বাফার বা স্প্রাউটসোশ্যাল ব্যবহার করা ভালো।

সত্য তথ্য না দেওয়া

ধরুন যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলীর ৮ নম্বর বাস। এই বাসে মানুষ ডাকার কারণ কী? কারণ হলো বাসটি গাবতলী যাবে। গাবতলী বা গাবতলী যেতে যে স্টেশনগুলো আছে সেখানকার যাত্রীরা উঠলে ওই সব স্টেশনে নামবেন। কিন্তু এই ৮ নম্বর বাস যদি মোহাম্মদপুরের কোনো যাত্রী তোলে বা ২৭ নম্বরের কোনো যাত্রী তোলে তাহলে ব্যাপারটা ক্যামন হবে? হ্যাঁ মোহাম্মদপুর বা ধানমন্ডি ২৭ কাছাকাছি। এ ক্ষেত্রে হেলপারের কী সাজেস্ট করা উচিত? আমাদের বাস আসাদগেট হয়ে যাবে, আপনি ওখানে নেমে অন্য গাড়িতে বা হেঁটে যেতে পারবেন। কিন্তু সেটা না বলে যদি বলে মোহাম্মদপুর যাবে বা ধানমন্ডি ২৭ নম্বর যাবে তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে। এ জন্য মানুষকে সঠিক তথ্য দিতে হবে। তাহলে আপনার কথা গুরুত্ব পাবে।

আপনার সার্ভিসকে ফোকাস করার সঙ্গে সঙ্গে একই রকম সেবা কারা দিচ্ছে তাদের ব্যাপারেও আপনার ভালো মন্তব্য থাকতে হবে। তাদের ভালো দিকগুলোকে তুলে ধরতে হবে। তাহলেই আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। কোনো ভুল তথ্য দেবেন না। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নামে বাজে মন্তব্য করবেন না। অর্থাৎ ভুয়া কোনো কিছুর আশ্রয় নেওয়া যাবে না।

সঠিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন কি না!

আপনি মানুষকে একত্র করার জন্য পোস্ট দিতে হবে। কিন্তু এটা যদি কোনো নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে না যায় বা যাদের জন্য পোস্ট দিচ্ছেন তাঁরা যদি খুঁজে না পান, তবে কোনো কাজেই আসবে না। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের মূল বিপণনের জন্য যে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বেছে নেয় সেটার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে না। তাই যাচাই-বাছাই ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপণনের প্রচারণা না চালানোই উচিত।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা বা বিপণন করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট মানুষের কাছে তথ্য দিতে হবে, যারা আপনার পণ্যের ক্রেতা। যদি কোনো শার্ট, টি-শার্টের বিপণন করেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে ওই ধরনের গ্রুপগুলোতে প্রচারণা চালাতে হবে। সামাজিক যোগাযোগের প্রতিটি মাধ্যমের ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন তথ্যের ওপর কিছু গবেষণা করে এ কাজে নামতে হবে। বিশেষ কোনো বার্তা বা তথ্য দিতে অবশ্যই ইনবক্স বা ই-মেইল ব্যবহার করবেন।

ইনফোগ্রাফ ব্যবহার না করা

সাধারণত তথ্যভিত্তিক ছবি বা ইনফোগ্রাফ কম ব্যবহার করা হয়। ডিজিটাল বিপণনে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আকর্ষণীয় ছবি সব সময় ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের চোখে পড়ে। তাঁরা লেখাপড়ার আগেই ছবিটা দেখে নেন।

ইনফোগ্রাফে পণ্যের বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেন সুন্দর ডিজাইনের মাধ্যমে। ছবি দিয়েও এর নিচে অনেক বড় নিবন্ধ লেখা হয়। তবে এতে ক্রেতারা আকৃষ্ট হন কম। ছবির নিচে সব সময় ছোট ছোট আকারের লেখা ব্যবহার করা ভালো। প্রতিষ্ঠানের নেপথ্যের কোনো অনুষ্ঠানের ছবি থাকলে তা অবশ্যই দেবেন। এতে আপনার সার্ভিসের ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে। প্রতিটি অফিসের সঙ্গে ছবির বর্ণনা দিতে হয়। পণ্যের দাম কত বা এগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ সেসব বিষয়ও সব সময় আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগে থাকবে। বিস্তারিত দেখার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুধু সাইটের লিংক দিয়ে দেবেন। কখনো কোনো পণ্যের ব্যাপারে কোনো ক্রেতার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হবেন না।

শুরু হোক চর্চা

যাঁরা ডিজিটাল বিপণন নিয়ে কাজ করতে চান তাঁরা একটা ছোট পণ্য দিয়ে শুরু কর যেমন নিজের মোবাইল-ফোন” target=”_blank”>মোবাইল ফোন। সেটার বর্তমান মূল্য কত? বিক্রি করলে দাম কত হবে? ৪-৫টা ছবি তুলে ফোনটির সব বৈশিষ্ট্য নিয়ে সুন্দর করে ছোট লেখা লিখে ফেলুন। কেন বিক্রি করতে চান তা উল্লেখ কর পরে আপনি লেখাটা পোস্ট করে দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সংশ্লিস্ট গ্রুপ বা ফ্যান পেজে। শুরু হয়ে যাবে আপনার প্রচারণা—ডিজিটাল বিপণন।

 

আরো পড়ুন:

কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা প্রশ্নে অনুষ্ঠিত সভা শেষ হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট

রহমতুল্লাহ মডেল হাই স্কুলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ শতাংশ পাস করেছে

গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা পরীক্ষা আগামী ১৯শে ডিসেম্বর শুরু হবে

এসএসসিএইচএসসি ফরম পূরণে বাড়তি ফি ফেরত না দিলে ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত: হাই কোর্ট

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline