টেলিভিশন আর সিনেমার পাশাপাশি মানুষ এখন যে মাধ্যমটিতে সবচেয়ে বেশি ভিডিও দেখেন সেটা ইউটিউব। নিজেদের সময়, সুযোগ এবং পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় দেখার সুযোগ রয়েছে ইউটিউবে।

এর ইউটিউবকে সমৃদ্ধ করতে অনেকে এখন নিজেরাই ভিডিও তৈরি করছেন। আপলোড করছেন। অসংখ্য মানুষ সেটা দেখছেন, লাইক, কমেন্টস হাজার হাজার। রাতারাতি তারা বনে যাচ্ছেন ইউটিউব স্টার। কিন্তু কেন তারা ইউটিউবকে বেছে নিচ্ছেন?

আয়মান সাদিক। ‘টেন মিনিটস স্কুল’ নামে একটি চ্যানেল রয়েছে ইউটিউবে। বিভিন্ন শিক্ষা মূলক কাজের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে দেন।

আয়মান বলছিলেন নিজের শিক্ষার্থী অবস্থায় ইংরেজী বা গণিতের জটিল সুত্রগুলো সাথে তিনি যখন একেবারেই খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না, তখন তাকে সাহায্য করেছিল ইউটিউবের এমনি একটি বিদেশি চ্যানেল। সেখান থেকেই মূলত তিনি টেন মিনিটস স্কুল এর ধারণাটি পেয়ে যান।

ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটর যেমন ছেলেরা রয়েছেন তেমন অনেক মেয়েরাও এখন ভিডিও তৈরি করছেন। ফারহানা মুনা তাদের একজন।

তিনি বলছিলেন শুরুতে শুধু দর্শকদের আনন্দ দেয়ার জন্য একটা ভিডিও আপলোড করেছিলেন।

কিন্তু ‘মুনাটিক’ নামে তার চ্যানেলটাতে দেখলে দেখা যায় সামাজিক একটা বার্তাও যেন তিনি দিতে চান।

ফারহানা মুনা বলছিলেন দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা থেকে তিনি অনুপ্রেরণা পান তবে সামাজিক একটা বার্তা দেয়ার চেষ্টা থাকে তার নিরন্তর। অস্ট্রেলিয়া থেকে তিনি টেলিফোনে কথা বলছিলেন।

তিনি বলছিলেন ” প্রথমে ছিল মজা দেওয়াই উদ্দেশ্য কিন্তু পরে সোশ্যাল মেসেজ দেয়াটা জরুরি মনে হয়েছে। বিশেষ করে আমি একজন ফিমেল কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে মেয়েদের বিষয়গুলো যেগুলো সচরাচর আলোচনা করা হয় না সেগুলো তুলে আনার চেষ্টা করেছি”।

মুনা একদম শখের বসে করেন। তিনি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামে কর্মরত আছেন।

সালমান দা ব্রাউন ফিস নামে একটি চ্যানেল রয়েছে ইউটিউবে যেটা চালান সালমান মুক্তাদির। এছাড়াও আরো অনেক চ্যানেল রয়েছে ইউটিউবে যেগুলো জনপ্রিয় হচ্ছে।

এসব কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা অনেকেই স্রেফ শখের বসে করছেন আবার অনেকের মুল পেশা এটাই। অর্থাৎ যার চ্যানেলে যত বেশি সাবসক্রাইবার থাকবে সেই হিসেবে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের অর্থের চুক্তি হবে।

তবে এসব কন্টেন্ট দেখে মানুষ বিনোদিত হলেও কিছু কন্টেন্ট দেখে মানুষ তীব্র সমালোচনা করে থাকেন। ওইসব ভিডিওর নীচের কমেন্ট দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়।

এখন তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে একজন ইউটিউবে কন্টেন্ট আপলোড দিলে গেলে কোন বিষয় গুলো খেয়াল রাখা উচিত বা সেটা কি ভাবে সমাজের উপর প্রভাব ফেলছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল হক।

” ইউটিউবারদের সেই অর্থে কোনো প্রশিক্ষণ নেই, আবার সরকার এটাকে ইন্টারটেইন করছে না আবার নিয়ন্ত্রণ করছে না। অর্থাৎ ইউটিউবে কি আপলোড হচ্ছে সেটা দেখার কেউ নেই। এমন পরিস্থিতিতে ইউটিউবে কী আপলোড করতে চাচ্ছি সেটা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে, না হলে নেতিবাচক প্রভাব পরবে সমাজ-জীবনে” বলছিলেন হক।

ইউটিউবে কন্টেন্ট যারা দিচ্ছেন বাংলাদেশে তারা একেবারেই তরুণ প্রজন্ম। অনেকেই দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য কাজটা করছেন, অনেকের মুল পেশা, আবার অনেকে একেবারে শখের বসে।

সামাজিক গবেষকরা বলছেন যেহেতু ইন্টারনেট এখন সমাজ জীবনের অন্যতম একটা অনুষঙ্গ তাই যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করেই ভিডিওর আইডিয়া অর্থাৎ কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।- বিবিসি

 

 

আরো পড়ুন:

কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা প্রশ্নে অনুষ্ঠিত সভা শেষ হয়েছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফি কমানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধর্মঘট

রহমতুল্লাহ মডেল হাই স্কুলে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ শতাংশ পাস করেছে

গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা পরীক্ষা আগামী ১৯শে ডিসেম্বর শুরু হবে

এসএসসিএইচএসসি ফরম পূরণে বাড়তি ফি ফেরত না দিলে ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত: হাই কোর্ট

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline