
জাতীয়করণের দাবিতে দুই দিন অবস্থান ও প্রতীকি অনশন কর্মসূচি পালনের পর আজ মঙ্গলাবার (২৩শে ফেব্রুয়ারি) থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ৩য় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গত রোববার (২১শে জানুয়ারি) থেকে সোমবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে অনশন পালন করছেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষকদের আরেকাংশ অবস্থান কর্মসূচিতেই অনড় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাহজাহান আলী সাজু বলেন, ‘আজ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের একাংশ আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেছে। আগামীকালও চলবে আমাদের অনশন কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই আমাদের আন্দোলনের সাথে অনেকেই একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।’ এ পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষকদের মধ্যে ১১ জন অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে শাহজাহান আলী সাজু নিশ্চিত করেন।
সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ খোকনের সভাপতিত্বে সারাদেশ থেকে আসা কয়েকশ’ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ সময় শিক্ষক নেতারা বলেন, বিনা বেতনে অনাহারে-অর্ধাহারে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের চাকরি আছে, কিন্তু বেতন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু তাদের বিদ্যালয়গুলো সব শর্ত পূরণ করেও জাতীয়করণ থেকে বঞ্চিত। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনে তারা আমরণ অনশনে যাবেন। আজ সোমবারও তারা প্রতীকী অনশন পালন করবেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, ‘জাতীয়করণ বঞ্চিত সারাদেশে এরকম কতটি স্কুল রয়েছে এটা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর জাতীয়করণের ঘোষণার তালিকা থেকে আমলারা কৌশলে তাদের বাদ দিয়েছিলেন। এ জন্য তারা বঞ্চিত হন।’ তিনি বলেন, ‘তাদের কর্মসূচিতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যোগ দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: