“
এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির সকল অধ্যায় দেখতে এখানে যাও
আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার-ভাঙা কল্লোলে !
আসল হাসি, আসল কাঁদন, মুক্তি এলো, আসল বাঁধান, মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে
ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে- আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।
আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ, সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস, ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস, গগন ফেটে চক্ষ ছোটে, পিনাক-পাণির শল আসে !
ঐ ধমকেতু আর উল্কাতে চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে, আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে ! আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তণ, পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
১৯৮ মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে গো দিগবালিকার পীতবাসে; আজ রঙন এলো রক্তপ্রাণের অঙ্গনে মোর চারপাশে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে ! আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদর, আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দন্ডমাতন পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে ! ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে। আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে ! আজ জাগল সাগর, হাসল মরু,
কাঁপল ভব্দর, কানন-তরু, বিশ্ব-ডুবান আসল তুফান, উছলে উজান ভৈরবীদের গান ভাসে, মোর ডাইনে শিশু সদ্যোজাত জরায়-মরা বামপাশে ! মন ছুটছে গো আজ বল্গা-হারা অশ্ব যেন পাগলা সে !
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে ! আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে ॥
শব্দার্থ ও
টীকা : উল্লাস – পরম (বা চষ্ফান্ত) আনন্দ, হৃষ্টতা; সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে – আনন্দ সৃষ্টি করতে পারার পরম আনন্দ; পল্বল – বিল, ক্ষুদধ জলাশয়; রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে – প্রাণে বন্ধ জলাশয়ে বা প্রাণ রূপ জলাশয়ে; কল্লোল – জলসেধাতের কলকল শব্দ, মহা তরঙ্গ বা ঢেউ; রুদ্ধ প্রাণের … কল্লোলে – প্রাণ রূপ জলাশয়ে দুয়ার ভাঙা ঢেউ বা তরঙ্গ জোয়ার এনেছে; হুতাশ – অগ্নি, হুতাসন; শ্বসল – নিঃশ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করা; শ্বসল হুতাশ – অগ্নি নিঃশ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করল-অর্থাৎ আগুন অতি তেজের সঙ্গে জ্বলে উঠল; চক্ষ – চাকা; এখানে হিন্দু পুরাণমতে দেবতা বিষ্ণুর হাতে অন্যায় ধ্বংসকারী চাকাকে বোঝানো হয়েছে; পিনাক – হিন্দু পুরাণমতে দেবতা শিবের ধনু; পিনাকপাণি – পিনাক পাণিতে (হাতে) যার, শিব শল – এখানে হিন্দু পুরাণমতে দেবতা শিবের হাতের ত্রিশলকে বোঝানো হয়েছে। ধারালো অগ্রভাগবিশিষ্ট লৌহ দন্ড; ফাগুন – ফালগুন বা বসন্তকাল; মদন – হিন্দু পুরাণমতে প্রেমের দেবতা; মদন মারে খুন মাখা তণ – প্রেমের দেবতা মানুষের হৃদয়ে তীর বিদ্ধ করেন বলে তা হৃদয়ের রক্ত মাখা বলে মনে করা হচ্ছে; ঘায়েল – আহত, আঘাতপ্রাপ্ত। এখানে বসন্তকালের রঙে রঞ্জিত বোঝানো হয়েছে; ফাগ – আবীর, নানা রঙের গুঁড়ো; দিক-বাসে – দিগন্তরেখা রূপ বন বা বে ̄¿; পীত – হলুদ রং, হলদে; দিগবালিকার পীতবাসে- দিগন্ত রূপ বালিকার হলুদ রঙের বে ̄¿ বা বসনে; গাজন – (পুরাণমতে) চৈত্র মাসের শেষে (অর্থাৎ বসন্তকালে) দেবতা শিবকে নিয়ে গান; আশিন – আশ্বিন মাস; দুব্্ – দর্বা, এক রকমের ঘাস; উছলে- উচ্ছলিত; উজান – সেধাতের বিপরীত দিক; ভৈরবী – শিব অনুসারী সন্নাসিনী, ভয়ংকরী; বিশ্বডুবাল …. গান ভাসে – সেধাতের বিপরীত দিক থেকে ঠেলে বিশ্ব ডোবানো ঝড় এসেছে, তার সঙ্গে তা-ব নৃত্যকারী শিবের অনুসারী সন্নাসিনীদের গান মিশেছে।
এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির সকল মডেল টেস্ট কুইজ দেখতে এখানে যাও
এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির অধ্যায়ভিত্তিক অনুশীলন করতে এখানে যাও
“
0 responses on "আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।"