আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ধারণাপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ধারণাপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা

ভর্তিচ্ছুকদের ভোগান্তি কমাতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ বা সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তির জোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর্থিক লাভ কমে যাওয়ার আশঙ্কায়  গুচ্ছভর্তির বিরোধীতা করে আসছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা। তবে, ব্যতিক্রম দুএকজন রয়েছেন।

সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তির নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের ধারণাপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিবে। ধারণাপত্র তৈরি কমিটির সদস্য সচিব ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক। এ ছাড়া অন্য সদস্যরা হচ্ছেন ইউজিসির চারজন সদস্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব। ধারণাপত্র রাষ্ট্রপতির কাছেও পাঠানো হবে। এরপর তা বাস্তবায়ন করা হবে। এতে আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাত্ এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে আশা করছে মন্ত্রণালয়।

সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হলেও এর কোনো সমাধান হচ্ছে না। মূলত বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনাগ্রহেই আটকে আছে এ পদ্ধতি। গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা আয়োজন করা হলে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদাভাবে ফরম কিনতে হয়। এতে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় অঙ্কের আর্ন হয়। যদিও ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার আয়ের ৪০ শতাংশ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা রেখে তা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যয় করার কথা। কিন্তু অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় তা করে না। আবার সমন্বিত বা গুচ্ছ ভর্তিতে এই আর্ন কমে যায়। এ ছাড়া ভর্তি বাণিজ্য আর কোচিং-গাইড বাণিজ্যের জন্যই অনেকে এ পদ্ধতির বিরোধিতা করেন। এ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হলে এ ধরনের ব্যবসায় বড় ধস নামবে। সমন্বিত বা গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয় ২০০৮ সালে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের ৭ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপাচার্যদের সভায় বেশির ভাগ উপাচার্য সমন্বিত বা গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই মেডিক্যালে ভর্তিতে সমন্বিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তিন ভাগে ভাগ হয়ে এই গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে গুচ্ছভতির চেষ্টা শুরু হলেও কার্যকর হয়নি অদ্যাবধি।

 

 

আরো পড়ুন:

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এর ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য

১ম বর্ষ স্নাতক ভর্তির মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সাক্ষাৎকারের সময়সূচী প্রকাশ

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline