৩৭ তম লিখিত প্রস্তুতি- সন্ত্রাসবাদ_বিশ্ব_মুসলিম_বিশ্ব_বাংলাদেশ

“বিসিএস ও ব্যাংক লিখিত প্রস্তুতি

সন্ত্রাসবাদ_বিশ্ব_মুসলিম_বিশ্ব_বাংলাদেশ

::২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে বেশ কিছু সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান। এগুলোর মধ্যে বছর শুরুর মাসটিতে রেকর্ড করা হয় ৯৬টি বড় হামলার ঘটনা। ফেব্রুয়ারিতে ঘটে ৬৩টি ও মার্চে ৬০টি। এসব হামলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা সংক্ষিপ্তভাবে নিচে তুলে ধরা হলোঃ

(তারিখ-হামলা- নিহত- স্থান- দায়স্বীকার)
১।৭ জানুয়ারি – গাড়িবোমা- ৬০ জন – লিবিয়া – ইসলামিক স্টেট।
২।১৩ জানুয়ারি – আত্মঘাতী বোমা – ১৫ জন — পাকিস্তান — তেহরিক-ই-তালেবান।
৩। ১৫-১৬ জানুয়ারি — গুলি, অগ্নিসংযোগ — ৩০ জন — বুরকিনা ফাসো — আল-কায়েদা।
৪।১৫ জানুয়ারি — পণবন্দী– ৬৩ জন — সোমালিয়া — আল-শাবাব।
৫। ২০ জানুয়ারি — গণহত্যা — ২০ জন –পাকিস্তান — তেহরিক-ই-তালেবান।
৬। ৩১ জানুয়ারি — বোমা হামলা — ৮৬ জন — নাইজেরিয়া — বোকো হারাম।
৭। ১ ফেব্রুয়ারি — আত্মঘাতী বোমা — ২০ জন আফগানিস্তান — তালেবান।
৮। ৮ ফেব্রুয়ারি — হত্যা — ৩০০ জন — ইরাক আইএস।
৯। ৯ ফেব্রুয়ারি — আত্মঘাতী বোমা — ৬০ জন — নাইজেরিয়া — বোকো হারাম।
১০। ১৭ ফেব্রুয়ারি — আত্মঘাতী বোমা — ১৩ জন — ইয়েমেন– আইএস।
১১। ১৭ ফেব্রুয়ারি — আত্মঘাতী গাড়িবোমা — ২৮ জন — তুরস্ক — কুর্দিস্তান ফ্রিডম ফ্যালকন।
১২। ২১ ফেব্রুয়ারি– বোমা হামলা — ১৩৪ জন — সিরিয়া– আইএস।
১৩। ২১ ফেব্রুয়ারি — বোমা হামলা– ৫৭ জন– সিরিয়া — আইএস।
১৪। ২৯ ফেব্রুয়ারি — আত্মঘাতী বোমা— ৪০ জন — ইরাক– আইএস।
১৫। ৭ মার্চ –গোলাগুলি — ১০ জন — পাকিস্তান — তেহরিক-ই-তালেবান।
১৬। ৭ মার্চ– হামলা-সংঘর্ষ– ১৭ জন — তিউনিসিয়া — আইএস।
১৭। ১৩ মার্চ — গাড়িবোমা ও গোলাগুলি — ৩৭ জন — তুরস্ক — কুর্দিস্তান ফ্রিডম ফ্যালকন।
১৮। ১৩ মার্চ — গোলাগুলি– ১৯ জন — আইভরিকোস্ট —একিউআইএম।
১৯। ১৬ মার্চ — বোমা হামলা — ১৫ জন — পাকিস্তান — অজ্ঞাতনামা সংগঠন।
২০। ১৯ মার্চ — মর্টার হামলা ও গোলাগুলি– ১৩ জন– মিসর— ইউলায়েত সেইনা।
২১। ১৯ মার্চ– আত্মঘাতী বোমা — ৪ জন — তুরস্ক — আইএস।
২২। ১৯ মার্চ — বিক্ষিপ্ত হামলা — ১ জন– পশ্চিম তীর– ফিলিস্তিনি অঞ্চল।
উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো।মার্চ, ২০১৬।

::জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০ তম অধিবেশনে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে বর্তমান বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ আখ্যায়িত করে তার মোকাবিলায় সব রাষ্ট্রকে এক হয়ে লড়ার আহবান জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উৎসঃ জাতিসংঘের রিপোর্ট।৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫।

::২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে বিশ্বের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছিল নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা। সারা বিশ্বের মানুষ সেদিন টিভির পর্দায় দেখেছিল কীভাবে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস হয়ে গেল টুইন টাওয়ার। সন্ত্রাসীরা সেদিন ৪টি বিমান হাইজ্যাক করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বিধ্বস্ত করিয়েছিল।

::২০১৪ সালের ৮ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ১৬ দিনে ইসরাইলের আগ্রাসনে গাজায় ৬৬৫ জন নিহত হন এবং ৪২০০ জন আহত হন।
উৎসঃ প্রেসটিভিতে প্রকাশিত খবর।২৪ জুলাই, ২০১৪।

::২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত একবছর ১০ মাসে শুধুমাত্র ইরাকে সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ১৯ হাজার এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৬ হাজার মানুষ। ইরাক বিষয়ক জাতিসংঘের সহকারী মিশন (The United Nations Assistance Mission for Iraq) এবং মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাই-কমিশনার (The United Nations High Commissioner for Human Rights) যৌথভাবে এই নতুন জরিপ প্রকাশ করে। তাছাড়া এই সময়ের মধ্যে ৩২ লাখেরও বেশি মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হন বলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
উৎসঃ জাতিসংঘ প্রকাশিত জরিপ।১৯ জানুয়ারি, ২০১৬।

::২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এক দশকে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনে ৫ লাখেরও বেশি ইরাকী নিহত হন। বৃটেনভিত্তিক সংগঠন ইরাক বডি কাউন্ট (Iraq Body Count) এর বরাত দিয়ে হাফিংটন পোস্ট ওই জরিপ প্রকাশ করে। উৎসঃ হাফিংটন পোস্ট (The Huffington Post) পত্রিকায় প্রকাশিত এক জরিপ।জানুয়ারি, ২০১৪।

::গাজায় প্রতি ঘণ্টায় এক ফিলিস্তিনি শিশু ইসরাইলের আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে।
উৎসঃ জাতিসংঘ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন।জুলাই, ২০১৪।

::গাজার প্রত্যন্ত সব অঞ্চলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী যে কর্মকান্ড করেছে তা সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধের শামিল।— জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিলের প্রধান নাভি পিল্লাই।গত জুলাই (২০১৪) মাসে নাভি পিল্লাই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক জরুরী অধিবেশনে বক্তৃতাকালে এমন মন্তব্য করেছিলেন।

::সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চ মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকে ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ৪ বছর ৩ মাসে অন্তত ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নিহত হন। এটা হচ্ছে মুসলমানের হাতে মুসলমান হতাহতের এক ভয়াবহ ঘটনা।
উৎসঃ আল-জাজিরায় প্রকাশিত এক রির্পোট।৭ জুলাই, ২০১৫।

::বর্তমানে মিডিয়া সন্ত্রাসবাদ আর মুসলমান শব্দ দুটিকে যেন সমার্থক বিবেচনায় তাদের সব খবর প্রকাশ করে।অথচ বিশ্বের বর্বর, জগন্যতম, ঘৃন্যতম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডগুলো অমুসলিমদের দ্বারাই সংগঠিত হয়েছে।নিচে কিছু নমুনা তুলে ধরা হলঃ ১.হিটলার একজন অমুসলিম। ৬০ লাখ ইহুদী হত্যা করেছিল। মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেরোরিষ্ট।
২. জোসেফ স্ট্যালিন, একজন অমুসলিম। সে ২কোটি মানুষ হত্যা করেছে এবং ১.৪৫ কোটি মানুষ অসুস্থ হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মারা গেছে। মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেরোস্টি।
৩. মাও সেতুং একজন অমুসলিম। ১.৪-২.০০ কোটি মানুষ হত্যা করেছে।মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি বৌদ্ধ টেরোরিস্ট।
৪. মুসলিনী (ইটালী) ৪ লাখ মানুষ হত্যা করেছে।অন্ধ মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে খৃষ্টান টেরোরিস্ট।
৫. অশোক (বালিঙ্গা বেটল) ১ লাখ মানুষ হত্যা করেছে। মিডিয়া একবারও তাকে বলেনি সে হিন্দু টেরোরিস্ট।
৬. আর জজ বুশ আফগানিস্তানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ হত্যা করেছে। মিডিয়া তো বলে নাই, সে খৃষ্টান টেরোরিস্ট।
৭. এখনো মিয়ানমারে প্রতিদিন মুসলিম রোহিঙ্গাদের খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, উচ্ছেদ করছে। তবুও কোন মিডিয়া বলেনা বৌদ্ধরা টেররিস্ট।
ইতিহাস স্বাক্ষী পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে বড় বড় গণহত্যা করেছে নন মুসলিমরা আর এরাই দিনরাত গণতন্ত্র জপে মুখে ফেনা তুলে।অথচ এদের দ্বারাই মানবতা লুন্ঠিত। যারা ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিল, তারা কী মুসলিম ছিল? এবং যারা ২য় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু করেছিল তারা কী মুসলিম ছিল? যারা অস্ট্রেলিয়া আবিস্কারের পর নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ২০ মিলিয়ন অস্টেলিয়ান হত্যা করেছিল তারা কী মুসলিম ছিল? যারা আমেরিকা আবিস্কারের পর নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য উত্তর আমেরিকাতে ১০ কোটি এবং দক্ষিণ আমেরিকাতে ৫ কোটি রেড ইন্ডিয়ানকে হত্যা করেছিল, তারা কি মুসলিম ছিল? যারা ১৮কোটি আফ্রিকান কালো মানুষকে কৃতদাস বানিয়ে আমেরিকা নিয়ে গিয়েছিল। যাদের ৮৮% সমুদ্রেই মারা গিয়েছিল এবং তাদের মৃত দেহকে আটলান্টিক মহাসাগরে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তারা কী মুসলিম? এসব মহা সন্ত্রাসী ও অমানবিক কার্যকলাপের সাথে মুসলমানরা কখনো জড়িত ছিলনা। আপনাকে সন্ত্রাসের সংজ্ঞা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। যখন কোন অমুসলিম কোন খারাপ কাজ করে তখন এটাকে বলা হয় অপরাধ। আর যখন কোন মুসলিম একই খারাপ কাজ করে তখন সেটি হয় সন্ত্রাসবাদ।
উৎসঃ সুরমার ডাক ২৪.কম।

::২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সংঘঠিত সন্ত্রাসী হামলাগুলোর মধ্যে ৫০-৬০% মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৩ টি দেশে — ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান।
উৎসঃ দ্য গ্লোভাল টেরিজম ডেটাবেস, ম্যারিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি।

:: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে এগুচ্ছে বলে বিশ্ব সম্প্রদায়কে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।গত ১৫-০১-১৬ তারিখ শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সভায় সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। উৎসঃ ডিএমপি নিউজ।

:: সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ এখন একটি বিশ্বজনীন সমস্যা। নাইন-ইলেভেনের পর থেকে এ বিপদ দুনিয়ার দেশে দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মনে করা হয় বিশ্ব পুঁজির কায়েমি স্বার্থের প্রতিভূরা সাপ হয়ে কামড়ানো এবং ওঝা হয়ে ঝাড়ানোর দ্বৈত ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বিশ্ব ব্যবস্থায় নিজেদের মোড়লগিরি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি, স্বাধীন পথে চলার অভিলাষকে বিশ্ব মোড়লরা ভালো চোখে দেখছে না তা ভাবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আর এ কারণেই পশ্চিমা দুনিয়ার চেয়েও বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সম্পর্কে অযথা সংশয় সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আশা করা যায় সতর্কাবস্থা অদৃশ্য ষড়যন্ত্র রোখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালনে সমর্থ হবে।
উৎসঃ ভোরের কাগজ।৩০ অক্টোবর, ২০১৫।

::বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক-২০১৪ অনুযায়ী, ১৬২টি দেশের তালিকায় ৫.২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ২৩ নম্বরে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইরাক। ২০১৩ সালে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেশটিতে ৬৩৬২ জন নিহত হয়েছে। তালিকায় ইরাকের পরই রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সিরিয়া ও ভারত। ওই প্রতিবেদনে ৩০ নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বিশ্বে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পায়। ২০১৩ সালে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের হার আগের বছরের তুলনায় ৬১% পর্যন্ত বেড়ে যায়।
উৎসঃ ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের (আইআইপি)’ বার্ষিক প্রতিবেদন।

::২০১৩ সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০০০০ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালের তুলনায় তা ৪৪% বেশি।
উৎসঃ ‘গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স (জিটিআই) ২০১৪’।

::২০১৩ সালে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ১৮০০০ মানুষ নিহত হয়েছিল।যুদ্ধ নেই এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে যারা সন্ত্রাসবাদের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। দেশগুলো হলো- অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ইরান, ইসরাইল, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও উগান্ডা। অধিকাংশ প্রাণহানির জন্য দায়ী জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস), আল-কায়েদা, বোকো হারাম ও তালেবান।
উৎসঃ আইআইপি’র পরিসংখ্যান।

::সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ সন্তোষজনক ভূমিকা রেখে চলেছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে এক বৈঠকে বাংলাদেশ সম্পর্কে এ মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা গিলবার্ট মর্টন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ নিরসনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং দেশীয় ও বহুজাতিক সন্ত্রাসী দলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সরকারের কঠিন অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠতে পারেনি। বাংলাদেশে বড় কোনো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি। সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টার কারণে বহুজাতিক সন্ত্রাসী দলগুলো বাংলাদেশের সীমানা ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডও চালাতে পারেনি।এছাড়া বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আগ্রহ দেখিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরাসরি সংশ্লিষ্ট না হয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিভিন্ন সময়ে আইএসএর অনুসারীদের গ্রেপ্তার করেছে। জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজিবি) এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো।উৎসঃwww.channelionline.com।২৬ নভেম্বর ২০১৫।

আরো পড়ুন:

ছাত্র জীবনে যেভাবে শুরু করবেন চাকরির প্রস্তুতি

বিসিএস + নন ক্যাডার + শিক্ষক নিবন্ধন + ব্যাংকের জন্য বাংলা সাহিত্য

শিক্ষকরাই প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে শিক্ষক সমাজে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline