ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর একসাথেঃ

ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেকের মধ্যে যেমন আগ্রহ আছে আবার অনেকের মধ্যে রয়েছে ধোঁয়াশা। আজ আমরা ইশিখন.কম এর  এই পোস্টে আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং এর পুরো বিষয়টি ক্লিয়ার করে দিবো। সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কারা আয় করতে পারবেন। মাসে কত আয় হবে? কোন কাজটা শিখতে হবে। কে কোন কাজ শিখবেন। কোনটার চাহিদা বেশি। প্রতিদিন কত সময় দিতে হয়। এ সকল বিষয় আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের স্বচ্চ এবং পুর্ণাঙ্গভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। আমাদের দেশের অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে যেমন ধারণা কম তেমনি আছে অনেক ভ্রান্ত ধারণাও। ইশিখন থেকে আমি ইব্রাহিম আকবর, আজ একেবারে নতুনদের এই ক্ষেত্রটি সর্ম্পকে ধারণা দিবো এবং বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তুলে ধরব। এখানে অনেক জটিল জটিল শব্দ বাদ দিয়ে নতুনরা যেভাবে বুঝেন, পুরো ব্যাপারটা সাদামাটাভাবে সেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

 যেসকল বিষয় আলোচনা করা হয়েছেঃ

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং বনাম অনলাইন আয়

ফ্রিল্যান্সিং বনাম আউটসোর্সিং

কিভাবে কাজ করে?

টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা

কোন সাইটে কাজ করতে হয়?

কাজের ধরণ

কাদের জন্য?

শিক্ষাগত যোগ্যতা

কাজের দক্ষতা

পোর্টফলিও

মাসে কত আয় হবে?

কোন কাজটা শিখব?

কোনটির চাহিদা বেশি?

কোথায় শিখব এবং কিভাবে শিখব?

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ইংরেজী শব্দ ফ্রিল্যান্সিং   এর বাংলা অর্থ হল একটি কোম্পানীর দ্বারা স্থায়ীভাবে নিযুক্ত হওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোম্পানীর জন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা।  ফ্রিল্যান্সিং অনেকটা পার্টটাইম জবের মত। যদিও পার্টটাইম জবে একটি কম্পানির জন্য কাজ করা হয় কিন্তু এখানে একাধিক কম্পানির সাথে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পার্টটাইম হিসেবে আপনি কাজ করতে পারছেন। অতীতকাল থেকেই ফ্রিল্যান্সিং কথাটা প্রচলিত আছে। প্রাচীনকালে কিছু যোদ্ধা ছিলেন, যারা কোন রাজার সৈন্যদলে স্থায়ীভাবে থাকতেন না। কেবলমাত্র যখন দেশে দেশে যুদ্ধ লাগত। তখন তারা একটা চুক্তির বিনিময়ে ২/১ মাসের জন্য সৈন্যদলে যোগ দিত। এদেরকে বলা হত ফ্রিল্যান্সার।

ফ্রিল্যান্সিং বনাম অনলাইন আয়ঃ

ফ্রিল্যান্সিং কি? এই টপিক্স থেকে আশা করছি ফ্রিল্যান্সিং সর্ম্পকে সকলের আইডিয়া হয়েছে। অনলাইন আয়ের জন্য বিভিন্ন সাইট বা মার্কেটপ্লেসগুলোতেও একই ভাবে একজন ব্যক্তি একাধিক কম্পানিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রজেক্ট ভিত্তিক কাজ করে থাকেন। এজন্য একেও ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। কিন্তু মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং শুধুমাত্র অনলাইন আয় নয়। একজন সাংবাদিক কিংবা কলামিস্টও একজন ফ্রিল্যান্সার।

ফ্রিল্যান্সিং বনাম আউটসোর্সিংঃ

ফ্রিল্যান্সিং আর আউটসোর্সিং দুটি সম্পূর্ণ  ভিন্ন শব্দ। কিন্তু অনেকেই এই শব্দগুলোকে এক করে ফেলেন। আউটসোর্স মানে হল বাইরের উৎস। এর মানে আমরা বাইরের উৎস থেকে কাজ করে নেওয়া বা দেওয়া। যেমনঃ বিদেশি বিভিন্ন টেক্সটাইল কম্পানিগুলো তাদের পোশাকগুলো আমাদের গার্মেন্ট শ্রমিকগুলো দিয়ে করিয়ে নেয়। এটা হলো আউটসোর্সিং। কোন কাজ কিংবা প্রজেক্ট অন্য কোন দেশের জনশক্তি দিয়ে করিয়ে নেওয়া হল আউটসোর্সিং। এটা হতে পারে কোন কম্পানি প্রজেক্ট টি নিয়ে অফিসে ৯টা ৫টায় কাজ করা এমপ্লয়ারদের মাধ্যমে করিয়ে নিলেন। তবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ক্ষেত্রে দুটো শব্দের সামঞ্জস্যতা রয়েছে। অনলাইন না হয়ে বাস্তবিক পক্ষে চিন্তা করলে ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিং আলাদা শব্দ।

কিভাবে কাজ করে?

ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো তথা মার্কেটপ্লেসগুলো আমাদের দেশের হাটবাজারের মতই ক্লায়েন্ট এবং ওয়ার্কারদের মিলনমেলা। এখানে ক্লায়েন্ট তার কি কাজ করতে হবে? কি কি দরকার, উক্ত কাজের জন্য কত খরচ করতে চান ইত্যাদি বিস্তারিত মার্কেটপ্লেসগুলোতে পোস্ট করেন। আর ফ্রিল্যান্সার তথা ওয়ার্কাররা উক্ত বিবরণ দেখে যদি উক্ত কাজ করার জন্য নিজেকে যোগ্য মনে করেন তবে উক্ত কাজে আবেদন করেন। যেকেউ চাইলে ক্লায়েন্ট এর বাজেটের চেয়ে কম বা বেশি দামেও কাজটি করার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন। একটি কাজের জন্য কাজের ধরণ, চাহিদা এবং বাজেট অনুযায়ী কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫০০ জনও আবেদন করেন। ক্লায়েন্ট আবেদনকারিদের পোর্টফলিও, প্রোফাইল, পূর্ব কাজের গুণমান বিচার করে এক বা একাধিক জনকে নিবার্চন করেন।

টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তা  কেমন?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে যেসকল ক্লায়েন্ট থাকেন, উনাদের ব্যাংক একাউন্ট, ন্যাশন্যাল আইডি ইত্যাদি ভ্যারিফাইড করতে হয়। আর ব্যাংক একাউন্ট থেকে তার উক্ত কাজের বাজেটের টাকা মার্কেটপ্লে একাউন্ট এ ট্রান্সফার করে রাখা হয়। কাজ শেষ হলে সাথে সাথে ক্লায়েন্ট, ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট দিতে বাধ্য। কেউ যদি কাজ শেষ হওয়ার ১/২ সপ্তাহ পরও পেমেন্ট না দেয় তবে ওয়ার্কাররা উক্ত মার্কেটপ্লেসগুলোতে আবেদন করলে মার্কেটপ্লেস ক্লায়েন্ট এর কাজের বিবরণ এবং আপনার জমা দেওয়া কাজ, চ্যাটলিস্ট ইত্যাদি বিচার বিবেচনা করে যদি আপনি সফলভাবে সত্যিই কাজ জমা দেন, মার্কেটপ্লেস ক্লায়েন্ট এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে এবং আপনার পেমেন্ট পেতে যথাযথ সহায়তা করবে।

কোন সাইটে কাজ করতে হয়?

বিশ্বব্যাপী ছোটবড় অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, ওডেস্ক যা বর্তমানে আপওয়ার্ক। ইল্যান্স যা আপওয়ার্ক বা ওডেস্ক কিনে নিয়েছে। অর্থাৎ ইলান্স, ওডেস্ক, আপওয়ার্ক তিনটি মিলেই আপওয়ার্ক। এছাড়াও রয়েছে ফ্রিল্যান্সারডটকম, পিপলপারআওয়ার, গুরুডটকম, ফাইভার ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন কাজের ধরন অনুযায়ী রয়েছে আরো অনেক মার্কেটেপ্লেস। ইলান্স, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, পিপলপারআওয়ার ইত্যাদিতে কাজের ধরণ এবং প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম। তবে ফাইভারে কাজের ধরণ কিছুটা ভিন্ন। এখানে ‍মুলত ফ্রিল্যান্সাররা অনেক ইকমার্স  সাইটের মতই পণ্যে তথা সেবার পশরা সাজিয়ে রাখেন যা গিগ নামে পরিচিত। ৫ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত এই গিগ।

 

কাজের ধরণঃ

 

অনেকেই ভাবেন, এখানে কাজ করতে হলে কম্পিউটার জানতে হয়, আসলে ব্যাপারটা হল যে, আপনি গরুর মাংস রান্না করবেন, তার জন্য আপনার রান্নার জন্য হাঁড়ি-পাতিল, চুলা-গ্যাস যেমন দরকার তেমনি রান্না কিভাবে করতে হয় তাও জানা দরকার। এই কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি হল হাঁড়িপাতিল, গ্যাস-চুলা ইত্যাদি। আর রান্না জানাটাই হল আপনার দক্ষতা। সেটা হতে পারে ফটোগ্রাফি, আইনি  সহায়তা, পদার্থ বিজ্ঞান, কেমিক্যাল জাতীয় কিংবা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয়ে। তবে বাংলাদেশে ৯৯% লোক কম্পিউটার বিষয়ক কাজগুলোই করেন।

কাদের জন্য?

আপনি যে কাজ করবেন, তার আগে নিজেকে প্রশ্ন কর, আপনি কি জানেন? আপনি কি ধৈর্য্যশীল, কর্মঠ, পরিশ্রমী? এই তিনগুণ সিরিয়ালসি আপনার মাঝে আছে কিনা? তাৎক্ষনিক বুদ্ধি, সৃজনশীলতা এবং অনলাইন থেকে কোন টপিক্স না জানলেও দ্রুত খোঁজ করে সমাধান করার দক্ষতা আছে কিনা? যদি হ্যাঁ হয়, তবে এই মার্কেটপ্লেস সত্যিই আপনার ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করে দিবে।  রাত জাগার যাদের অভ্যেস আছে, তাদের জন্য এটা সহজ।

দক্ষতা>ধৈর্য্য>কর্মঠ>যেকোন বিষয়ের প্রতি সিরিয়াসনেস> সৃজনশীলতা>তাৎক্ষনিক বুদ্ধি>দ্রুত এবং সহজে উদ্ভুত সমস্যা সমাধান>যেকোন বিষয়ে গুগল সার্চে করে সমস্যা সমাধানে দক্ষতা।

শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন লাগবে?

যেহেতু আপনাকে বিদেশিদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, কাজ বুঝে নিতে হবে, তাই অবশ্যই আপনাকে ইংরেজীটাও ভালোভাবে জানতে হবে। আমার দেখা অনেকেই এসএসসি পাশ করেও অনেক ভাল ইংরেজী গ্রামারসহ জানেন, যেটা ইংরেজীতে অনার্স করা অনেকেও জানেন না। তাই শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এসএসসি পাশ যারা করেছেন এবং নির্ভুল ইংরেজী বলতে, লিখতে এবং পড়তে জানেন তারা এই সেক্টরে আসতে পারেন। তবে অবশ্যই সর্বনিম্ন বয়স ২০ বছর হতে হবে। কারণ প্রতিটি কাজ সিরিয়াসলি নিয়ে সময়মত করতে হবে এবং যথেষ্ট ম্যাচুরিটির পরিচয় দিতে হবে।

কাজের দক্ষতাঃ

দক্ষতাটা  মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি কম্পিউটার, ইন্টারনেট নিয়ে আছি বিগত ১১ বছর যাবৎ। ফ্রিল্যান্সিং করেছি  ৪ বছর। এরপর ইশিখন.কম প্রতিষ্ঠা করি। এতে একদম ই যারা কম্পিউটার জানেন না, তাদের ফ্রিল্যান্সিং সর্ম্পকে যে ধারণা তা হল যে কম্পিউটারের  কোন এক জায়গায় বা ওয়েবসাইটে মাউজ নিয়ে ক্লিক করলেই ব্যাংকে টাকা চলে আসবে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল আর সবচেয়ে জঘণ্য ধারণা। ব্যাপারটা এমন যে, বাংলা রিডিং পড়া জানলেই আপনি বিসিএস এ চান্স পাবেন। আসলেই তা নয়। বাংলা রিডিং পড়া জানার পর যেমন: বাংলা, ইংরেজী, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ বিশ্ব সবকিছু সর্ম্পকে কঠোর স্টাডি করে বিসিএস এ চান্স পেতে হয়। এখানে ঠিক তাই প্রথমে ভালোভাবে কম্পিউটার বেসিক জানার পর আপনার মিনিমাম এক বছর যাবৎ কোন একটা কাজ ভালো করে শিখতে হয়, জানতে হয়, উক্ত কাজের উপর কিছু পোর্টফলিও বানাতে হয়।

পোর্টফলিওঃ

অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট আপনাকে দেখবে না। দেখবে আপনার প্রোফাইল এবং পোর্টফলিও কতটা স্ট্রং। পোর্টফলিও হল আপনার কাজের স্যাম্পল বা প্রমাণ তথা প্রজেক্ট। আপনি এর আগে কি কি কাজ করেছেন, তার নমুনা। আপনি প্রথমে ১ বছর সময় নিয়ে কাজ শিখবেন। এরপর উক্ত কাজের উপর নিজে নিজে কিছু প্রজেক্ট করার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে প্রথমে পরিচিত তথা নামিদামি কোন প্রতিষ্ঠানকে ফ্রিতে কোন প্রজেক্ট করে দিবেন। তাতে করে প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা যেমন হবে তেমনি পোর্টফলিও ও তৈরি হবে। উক্ত পোর্টফলিও আপনার ফ্রিল্যান্সার একাউন্টগুলোতে সাবমিট কর। আর যদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের পোর্টফলিও থাকে তাহলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

মাসে কত আয় হবে?

কথাটা শুনতেও আসলেই অবাক লাগে। আপনি কাজ না শিখে না জেনেই আগেই টাকার চিন্তা করছেন! এমন যদি হয়, আপনি দ্রুত ছিটকে পড়বেন। তবে কাজ জানার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আপনি ১ টাকাও আয় করতে পারবেন না। আবার মাসে ১ কোটিও আয় সম্ভব। এটা নির্ভর করে আপনি কোন স্কিল ডেভেলপ করেছেন বা কোন কোনটা জানেন? সবচেয়ে বেশি আয় করেন সাধারণ প্রোগ্রামিং এন্ড সফ্টওয়্যার ডেভেলপাররা। এরপরেই ওয়েব ডিজাইন, এপপ ডেভেলপমেন্ট। আপনি যদি একজন ভাল মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন এবং সপ্তাহে ৫০ ঘন্টা সময় দেন, তবে আপনি মাসে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। আবার একজন ভালো মানের ওয়েব ডেভেলপার প্রতিদিন এক লাখ টাকার উপর আয় করতে পারে।

 

কোন কাজটা শিখব?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে রয়েছে শত শত ক্যাটেগরি। যার অনেকগুলোই বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক এছাড়াও শর্টটাইমে স্কিল ডেভেলপ করে তথা কোন প্রতিষ্ঠানে শেখার মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করা যায়, এই কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইত্যাদি। ইশিখনে বর্তমানে অনলাইনে আয়ের উপযোগী ১৬টি শর্ট কোর্স রয়েছে। প্রতিটি কোর্স ৩ থেকে ৫ মাসব্যাপী। এই কোর্সগুলো ছাড়াও ফটোগ্রাফি, এডমিন সার্পোট, ডাটা সায়েন্স এন্ড এনালাইসিস, সেলস এন্ড মার্কেটিং, একাউন্টিং এন্ড কনসাল্টিং ইত্যাদি। আপনার যদি ইশিখনের ১৬টি কোর্স  থেকে বাছাই করতে চান, তবে প্রথমে গুরুত্ব দিতে হবে আপনার কোনটা করতে ভালো লাগে অথবা আপনি কোনটাতে পারদর্শী আপনি যদি গণিতে ভালো শিক্ষার্থী হন কিংবা সায়েন্স এর শিক্ষার্থী হন তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিতে পারেন। আর যদি আপনার রং, ঘর সাজানো, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, ফটোগ্রাফি ইত্যাদিতে আগ্রহ তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স নিতে পারেন। যদি আপনার ব্যবসায়ে ভাল ধারণা কিংবা মার্কেটিং এ ভাল ধারণা থাকে, তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং,  সিপিএ মার্কেটিং, এসইও ইত্যাদি মার্কেটিং কোর্সগুলো শুরু করতে পারেন। যদি আপনার গেম খেলা, এন্ড্রয়েড এর উপর ভালো ধারণা থাকে তবে আপনি এপপ ডেভেলপমেন্ট কিংবা গেইম ডেভেলপমেন্ট নিতে পারেন।

কোনটির চাহিদা বেশি?

অনলাইন কাজের মধ্যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, এপপ ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং,  এসইও ইত্যাদির চাহিদা বেশি। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মধ্যে ওয়েব ডিজাইনের চেয়ে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এবং এপিআই, পিএইচপি ফ্রেমওয়ার্ক,  ইকমার্স ইত্যাদির জনপ্রিয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে লোগো ডিজাইন, ক্লিপিং পাথ ইত্যাদির কাজ প্রচুর রয়েছে। তবে এই সকল কাজ যেমন রয়েছে তেমনি এগুলোতে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি থাকে।

কোথায় শিখব এবং কিভাবে শিখব?

আপনি যদি শিখতে চান তবে শেখার জন্য রয়েছে প্রচুর মাধ্যম ও রিসোর্স। ইউটিউব, গুগল, বিভিন্ন ডিভিডি টিউটোরিয়াল, স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন প্রতিষ্ঠান। তবে ফ্রি শেখার চেয়ে আপনি পেইড শেখাটাকে আমি রিকমেন্ড করবো। কারণ ফ্রিতে বেশিরভাগ সময় সবকিছু পুর্ণাঙ্গভাবে থাকে না। ফলে ধারাবাহিক না শেখার ফলে আপনার সবকিছুতে অল্প অল্প জ্ঞান থাকে, যা দিয়ে অনলাইনে কাজ করলে অনেক ধরণের সমস্যায় পড়বেন। অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভিডিও কোর্স কিংবা ডিভিডি সেল করেন, এইসব ডিভিডি র ক্ষেত্রেও দেখা যায়, যারা তৈরি করছেন, উনারা নিজেও জানেন না, উনারা কি ভিডিও বানিয়েছেন বা কি প্রজেক্ট করে দেখিয়েছেন। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইসব ভিডিও শুধুমাত্র ব্যবসার জন্য ইউটিউব, গুগল দেখে দেখে ২ মিনিট দেখে, ২ মিনিট ভিডিও করে বানানো হয়। এজন্য আমি রিকমেন্ড করবো, গুগলে আপনি কি শিখবেন তার উপর ভিত্তি করে কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য w3schools, tutorialpoint বাংলায় ওয়েব কোচবিডি  ইত্যাদি। এইসব সাইটের টিউটোরিয়ালগুলো কনটেন্টভিত্তিক। আপনি যদি ভিডিও দেখে শিখতে চান, সেক্ষেত্রে ইশিখন.কম এর লাইভ ক্লাসগুলোর ডিভিডি সংগ্রহ করতে পারেন। আর যদি সরাসরি শিখতে চান তবে ইশিখনের অনলাইন লাইভ ক্লাসে অংশ নিতে পারেন। অফলাইনের চেয়েও অনলাইনে আপনি সহজে এবং দ্রুত শিখতে পারবেন। কারণ অফলাইনে সকল শিক্ষার্থীদের সামনে অনেকেই প্রশ্ন করতে ইতস্তত বোধ করেন। অনলাইনে কোন টপিক্স বুঝতে অসুবিধা হলে সাথে সাথে শিক্ষককে নাম-পরিচয় গোপন রেখেই জিজ্ঞেস করতে পাারেন। আপনি শিক্ষককে প্রাইভেটলি মেসেজ করেও জানতে পারেন। এছাড়াও আপনার বাসার কম্পিউটারে কোন সফ্টওয়্যার ইন্সটল করতে সমস্যা হলে শিক্ষক অনলাইনে আপনার কম্পিউটারে  এক্সেস করে যেকোন সফ্টওয়্যার ইন্সটল দিতে কিংবা যেকোন কাজ করতে পারবেন। ইশিখন.কম এর অনলাইন ক্লাসে আরো সুবিধা হল, প্রতিটি ক্লাসের ভিডিও রেকর্ডিং থাকে এবং প্রতিটি ক্লাস শেষে অনলাইনে মডেল টেস্ট, এসাইনমেন্ট জমা, গ্রুপ ডিসকাশনসহ ৯টি ফিচার।

আজ এখানেই শেষ করছি। মুলত অনেকের ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং, অনলাইন আয় সর্ম্পকে স্বচ্ছ ধারণা নেই। তাদের জন্য প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ইশিখনের ফোনে এবং ফ্যানপেইজে যেসকল প্রশ্ন প্রতিনিয়ত আসে। তার উত্তরগুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

ধন্যবাদ সবাইকে ইশিখনের সাথে থাকার জন্য।

মন্তব্য করুন

Need Help? Send a WhatsApp message now

Click one of our representatives below

Jannatul Ferdous
Jannatul Ferdous

Course Counsellor

I am online

I am offline

Md. Shamim Sweet
Md. Shamim Sweet

Course Counsellor

I am online

I am offline

Mehedi Hasan
Mehedi Hasan

Technical Support

I am online

I am offline

Rezaul Hasan Sarker
Rezaul Hasan Sarker

Course Counsellor

I am online

I am offline

Ariful Islam Aquib
Ariful Islam Aquib

Course Counsellor

I am online

I am offline

Syeda Nusrat
Syeda Nusrat

Course Counsellor

I am online

I am offline