
২০১৭ সালের এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ২৩শে জুলাই দুপুর ১:৩০ মিনিটে প্রকাশ হবে। এবার পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ।
রেওয়াজ অনুযায়ী আজ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের কপি তুলে ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট বোর্ড চেয়ারম্যানরা। দুপুর ১টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে সহজে এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ২০১৭ জানা যাবে….
অনলাইনে ফলাফল পাওয়ার পদ্ধতিঃ পরীক্ষার্থীগণ শিক্ষা বোর্ডসমূহের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd ও eboardresults.com ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন। তাছাড়া আপনাদের সুবিধার্থে লেখাপড়া বিডি’র এই পোস্টের নিচে প্রদত্ত বক্স থেকেও সরাসরি ফলাফল দেখা যাবে।
অনলাইনে এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক / সমমান পরীক্ষার ফলাফল ২০১৭ জানা যাবে এখানে
রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়াই ফলাফল দেখতে এখানে ক্লিক কর অথবা এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ কর: http://eboardresults.com/app/stud/
মোবাইলে ফলাফল জানার উপায়ঃ যে কোনো মোবাইল থেকে এসএমএস(SMS)ের মাধ্যমে ফল পেতে মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC অথবা Alim লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
উদাহরণ:
সাধারণ বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC DHA 123456 2017
মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য Alim MAD 123456 2017
এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জন্য HSC TEC 123456 2017
লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
ফলাফল প্রকাশের ধারাবাহিকতাঃ বিগত কয়েক বছর ধরে এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি-এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। এবারের এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা ০২ এপ্রিল শুরু হয়। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ১৫ই মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ই মে থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় ২৫শে মে। আগামী ২৪ জুলাই এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন পূর্ণ হবে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৩শে জুলাই এবারের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবারের পরীক্ষার্থী সংখ্যাঃ ১০ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী। মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন ছাত্রী।
পরিসংখ্যানঃ আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ মোট ১০ শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিকতে গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত বছর এই ১০ শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ছিলো ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। তার আগের বছর (২০১৫ সালে) গড় পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ এছর মোট জিপিএ- পেয়েছে ৩৭ হাজার ৭২৬ জন। গত বছর জিপিএ-৫ ছিল ৫৮ হাজার ২৭৬জন
এর মধ্যে এবছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ হাজার ২৪২ জন।
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি(HSC) বা উচ্চ মাধ্যমিকতে পাসের হার ৭১ দশমিক ৩১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ২৯৪ জন। এই বোর্ডে গত বছর পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ ছিল ছয় হাজার ৭৩ জন।
দিনাজপুর বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ দুই হাজার ৯৮৭ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
যশোর বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৭৭ দশমিক ০২ শতাংশ। জিপিএ-৫ ১ হাজার ৮১৫জন। গত বছর ছিল ৮৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।
বরিশাল বোর্ডে এ বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ-৫ ৮শ ১৫ জন। গত বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ ৭শ ৮৭ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ০২, জিপিএ-৫ এক হাজার ৮১৫ জন। গত বছর ছিল ৮৮ দশমিক ১৯ শতাংশ।
কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ দুই হাজার ৬৬৯জন। গত বছর ছিল ৮৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ ছয় হাজার ৫৮৬জন।
ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণঃ পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএস(SMS)ের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশের পর দিন থেকে এক সপ্তাহ আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এজন্য শুধু টেলিটক মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে স্পেস দিয়ে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
প্রতিটি বিষয় বা পত্রের জন্য ১৫০ টাকা ফি প্রযোজ্য।
ফিরতি এসএমএস(SMS)ে আবেদন ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। আবেদনে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে মোবাইল নম্বর দিয়ে পূণরায় ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
যেসব বিষয়ের দুটি পত্র (যেমন: বাংলা ও ইংরেজী) রয়েছে, সেসব বিষয়ে একটি বিষয় কোডের বিপরীতে আবেদন দুটি পত্রের আবেদন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আবেদন ফি ৩০০ টাকা ফি নেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: