
পরীক্ষায় পাস করেও এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকির ফরম ফিলাপ করতে পারছেন না সাতক্ষীরা সদরের কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে ওইসব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
জানা যায়, সারাদেশের ন্যায় কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি (ssc) বা মাধ্যমিকি পরীক্ষার চূড়ান্ত নির্বাচনী পরীক্ষা এবং শেষ হয় গত ২৮ অক্টোবর। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় ৫ নভেম্বর। ওই দিনই বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া হয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের রোলের তালিকা। তবে তালিকায় দেয়া হয়নি কোনো গ্রেডিং পয়েন্ট।
ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে ফরম ফিলাপের জন্য হাজির হলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বলেন, তারা পরিক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে এবং ফরম ফিলাপ করতে দেয়া হবে না। অথচ একই সময় বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে দেখা যায় কৃতকার্য তালিকায় তাদের রোল নম্বর রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কিছু শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তালিকায় আমাদের রোল থাকলেও আমাদেরকে এখন বলা হচ্ছে আমরা এক সাবজেক্টে ফেল করেছি এবং ফরম ফিলাপ করতে দেয়া হবে না। আমাদের বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাদের কাছে কোচিং করার জন্য বারবার বললেও আমরা কোচিং করিনি এজন্য আমাদেরকে এতটা ভোগান্তি দেয়া হচ্ছে।
জলিল, শামসুল ও রায়হানসহ একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন, সরকার কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা করলেও কোনো কিছুই মানছেন না এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আমরা অভিভাবকরা শিক্ষকদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে যাচ্ছি। একমাত্র কোচিং বাণিজ্যের কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের গাফিলতির ফলে এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করি। আপনারা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিশেষত গণিত ও ইংরেজীতে দুর্বল। তাই আমরা খাতা মূল্যায়ণ করেই ফলাফল প্রকাশ করেছি।
অন্য সাবজেক্ট কেন বিবেচনা করলেন না এবং ফলাফলের প্রকাশের পর কেন এমন হলো তাছাড়া সর্বমোট কতজন শিক্ষার্থীর এমন সমস্যা জানতে চাইলে তিনি কোনো প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান বলেন, আমি এটি সম্পর্কে জানিনা, তবে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে দেখবো।
আরো পড়ুন: