
নাটোরের বড়াইগ্রামে চলতি ডিগ্রী (পাস) পরীক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পুরাতন সিলেবাসে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দের পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অনেকেই পরীক্ষা দেওয়ার পরেও তাদের ফলাফলে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। আর অনুপস্থিতির কারণে তাদর ফলাফলে অকৃতকার্য এসেছে।
এ ধরণের ফলাফলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ খারাপ ফলাফল মেনে নিতে পারছেন না। তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন।
উপজেলার জোনাই ডিগ্রী কলেজ থেকে বিএসএস গ্রুপে নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিল সুমা ক্লারা রড্রিক্স নামে এক শিক্ষার্থী। তার ফলাফলে সমাজবিজ্ঞান ও অর্থনীতি চতুর্থ পত্রে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। সুমা বলছে, অন্যান্য পত্রের চেয়ে তার ওই দুটি বিষয়ে আরও ভাল পরীক্ষা হয়েছে। অথচ ফলাফলে ফেল দেখানো হয়েছে।
জোনাইল কলেজের উপাধ্যক্ষ রাজীবুল করিম মুকুল বলেন, ‘আমাদের কলেজ থেকে ৩৯জন পরীক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। এর ফলাফলে দেখা যায়, ৩০ জনের অধিক শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। এসব পরীক্ষা পরিবর্তিত সময় সূচিতে হয়েছে। হয়তো এ কারণেই এমন সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।’
উপজেলার বনপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা অর্নাস কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা বলেন, হাজিরা শীট ঠিকমত পৌঁছানো না হলে ফলাফলে অনুপস্থিত দেখানো হয়। আমরা চেষ্টা করি সর্বোচ্চ সর্তকতার সাথে পরীক্ষার সকল কাজ করার। এরপরও অসাবধানতাবশত দু’একটি ভুল হলে পরে হাজিরা শীট দিয়ে আবেদন করলে তা ঠিক করে দেওয়া হয়।’
আরো পড়ুন: