SEO

এসইও অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শব্দটার সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং শব্দটা যুক্ত থাকার জন্য সবাই মোটামোটিভাবে পরিচিত। “এসইও অর্থ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, যা ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিকের পরিমাণ এবং গুণগত মান বৃদ্ধি করবে”। তো আজকে আমরা আলোচনা করবো, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) কি এবং কিভাবে নতুন ওয়েবসাইটের জন্যে এসইও করতে হয়।

What is SEO?(এসইও কি?)

এসইও:
এসইও হলো যে পদ্ধতিতে আপনার ওয়েবসাইটের পেজ বা পোষ্টকে একটা নির্দিষ্ট কি – ওয়ার্ড এর ভিত্তিতে সার্চের মাধ্যমে গুগল, ইয়াহু, বিং সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে প্রথম পর্যায়ে অবস্থান করানোর মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ অনলাইন মার্কেটগুলো গুগোল সার্চ রেজাল্টের অসাধারণ কিছু অ্যালগোরিদম এর জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিন কে টার্গেট করে এসইও করে থাকে। কারণ বর্তমানে গুগলেই সব থেকে বেশি সার্চ করা হয়। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলতে পারি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) হলো, সার্চ ইঞ্জিনের অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় আনার জন্য একটা প্রযুক্তিগত কৌশল।

সার্চ ইঞ্জিন কি?

সার্চ ইঞ্জিন:
সহজ ভাষায় বলতে গেলে সার্চ ইঞ্জিন হলো ইন্টারনেট কি-ওয়ার্ড এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ভাবে কোনো কিছু খোঁজার যেখানে কোনো কিছু লিখে সার্চ দিলেই আমরা নির্দিষ্ট কোন উত্তর বা তথ্য পেয়ে যাই। উদাহরণ হিসেবে গুগলে যেকোনো প্রয়জনে আমরা কিছু সার্চ করি। এখন প্রশ্ন থাকতেই পারে সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

আপনার যেকোনো ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পেজ ভিজিট করার মাধ্যমে সকল প্রকার ডাটাবেজ গুগল সার্চ ইঞ্জিন রোবট তাদের ডাটাবেজে সেভ করে রাখে এবং পরবর্তীকালে যখন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করা হয় তখন ইনডেক্সড ডাটা থেকে রেজাল্ট গুলো আমাদের সামনে চলে আসে। আপনার ওয়েবসাইট যতটা এসিও ফ্রেন্ডলি করবেন সার্চ রেজাল্টে ততটাই প্রথমে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যখন কোন মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে নির্দিষ্ট কি – ওয়ার্ডের মাধ্যমে সার্চ করে থাকে তখন যে রেজাল্ট আসে সেখান থেকে সবথেকে প্রথমে ও উপরে আসার কারণ হলো তার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এর মান অনেক সুন্দর সাজানো গোছানো এবং সর্বপরি এসিও ফ্রেন্ডলি করা। এবং সব থেকে ভাল মানের কনটেন্ট গুলোকেই সবথেকে উপরে দেখায় এভাবে আস্তে আস্তে নিচের দিকে বা পরবর্তী পেজে দেখাতে থাকে।

আর আপনার নিজের ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আনতে হলে এই এই সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। প্রথমেই জানতে হবে এসইও কত প্রকার ও কি কি। আমরা সাধারণত জানি SEO (এসইও) দুই প্রকার।

১. অন পেজ এসইও / On page seo
২. অফ পেজ এসইও / Off page seo
তবে সঠিক ভাবে এসইও যে দুই প্রকার আছে তা হলোঃ

* অর্গানিক এসইও
* পেইড এসইও

অর্গানিক এসইও এবং পেইড এসইও কি?

অর্গানিক এসইও বলতে বুঝায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সকল রকম নিয়ম আপনি যদি সুন্দর ভাবে অনুসরণ করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের পেজটা সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় দেখা যাবে। এবং পেইড এসইও ও বলতে বোঝায় আপনি গুগল কোম্পানি কে পেইড করবেন এবং আপনার পেজকে স্বাভাবিক সার্চ রেজাল্টের প্রথমে দেখাবে। আমরা অনেক সময় সার্চ করার পরে কিছু কিছু ওয়েবসাইটকে প্রথমে পাই যেগুলোর পাশে Ad (অ্যাড) লেখা থাকে এগুলো মূলত পেইড এসইও।

অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও কি ? What is on page seo and off page seo?

অন পেজ এসইও তে একটি ওয়েবসাইটকে সম্পূর্ণভাবে তৈরি করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন হয় সবটুকুই এই অনপেজ এসইও এর মাধ্যমে করানো হয়। এবং অফ পেজ এসইও হল মূলত একটা মার্কেটিং অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় সেটাই মূলত অফ পেজ এসইও।

এসইও করার ভিতরে দুইটা সেক্টর আছেঃ

# হোয়াইট হ্যাট এসইও
# ব্ল্যাক হ্যাট এসইও

হোয়াইট হ্যাট এসইও:
হোয়াইট হ্যাট এসইও বলতে বোঝায় আপনার ওয়েবসাইটের জন্য গুগল নির্দেশিত গাইডলাইন কাজে লাগিয়ে আপনার ওয়েবসাইটটিকে র‍্যাংকের জন্য যেই নিয়ম অনুসরণ করবেন । অর্থাৎ এসইওর সকল সঠিক নিয়ম অনুসরণ করাই মূলত হোয়াইট হ্যাট এসইও।

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও:
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও হচ্ছে আপনি এসইওর সকল নিয়ম ভঙ্গ করে যেভাবে র‍্যাংক বৃদ্ধি করবেন ওটাই মূলত ব্ল্যাক হ্যাট এসইও। তবে বর্তমানে গুগলের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জন্য ব্ল্যাক হ্যাট এসইও ঠিকভাবে কার্যকর হয়না। এজন্য সবাই হোয়াইট হ্যাট এসইও অনুসরণ করে।

কিভাবে নতুন ওয়েবসাইটের জন্যে এসইও করতে হয়?

আসলে কিভাবে ওয়েবসাইট এসইও করা যায় তা একটি লেখায় শেষ করা সম্ভব নয়। আপনার ওয়েবসাইটে কিভাবে এসইও করবেন অথবা এসইও সম্পর্কে ভালোভবে জানবেন সে বিষয় গুলোর জন্য আমাদের
ইশিখন.কমে এসইও লাইভ কোর্স করয়েছে, আপনি চাইলে আমাদের কোর্স করে আপনার ওয়েবসাইটের এসইও করতে পারবেন চাইলে ফ্রিল্যান্সিং ও করতে পারবেন। বর্তমান তথ্য নিয়ম অনুসরণ করে আপনার ওয়েবসাইটকে পরিচালনা করায় মূলত এসইও। প্রতিনিয়ত এসইও এর বিভিন্ন সময়ের আপডেট ও পরিবর্তন অনুসরণ করতে হয়। তবে কিছু বেসিক সেটিংস এর মাধ্যমে এসইও কাজ মূলত শুরু করা হয়।

বেসিক এসইও সেটিংসঃ
প্রথমে আপনার ওয়েবসাইটটিকে গুগোল সার্চ কনসোলে সাবমিট বা এড করে নিতে হবে।
তারপর বিং ওয়েবমাস্টার টুল ব্লগ সাবমিট করবেন।
গুগল এনালাইটিক্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন এবং সেখানে আপনার ওয়েবসাইটটি ভেরিফিকেশন করে নিবেন।
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে Yoast SEO নামে একটি প্লাগিন ইন্সটল করে নিতে হবে।

কিওয়ার্ড রিসার্চঃ
আপনি আপনার ওয়েব সাইটের ধরন সিলেক্ট এর মাধ্যমে আপনার নিশ প্রোডাক্ট সিলেক্ট করেন নিন এবং কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন।
দীর্ঘ কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করাটা ভালো হবে।
আপনি এর জন্য গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার সাহায্য নিতে পারেন।
বিভিন্ন অনলাইন সাইট থেকে আপনার কম্পিটিটরদের যাচাই এর মাধ্যমে আপনি কিওয়ার্ড যাচাই করে নিবেন।
আপনি চাইলে এসইও এক্সপার্টদের মাধ্যমে এই রিসার্স করে নিতে পারেন।

অনপেজ এসইওঃ
সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার পোষ্টের ইউআরএল ছোট রাখার জন্য।
ইউআরএল এর ভেতরে আপনার নির্বাচন কৃত কিওয়ার্ড ব্যাবহার করবেন।
টাইটেল এ অবশ্যই কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে এবং h1 h2 h3 ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন।
আপনার কনটেন্ট ইমেজ অপটিমাইজেশন করে নিবেন এবং প্রয়োজনীয় এক্সটারনাল এবং ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করে নিবেন।

টেকনিক্যাল এসইওঃ

গুগোল সার্চ কনসোলের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের Crawl Errors সনাক্ত করে নিবেন।
গুগোল আপনার ওয়েবসাইটটিকে কিভাবে দেখছে সেটা অবশ্যই ফাইন্ড আউট করে নিবেন।
আপনার ওয়েবসাইটকে অবশ্যই রেস্পন্সিভ এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি করে নিবেন।
ব্রোকেন লিঙ্ক থাকলে সেগুলো ঠিক করে নিবেন।

আর্টিকেল লেখার পদ্ধতিঃ

আপনাকে অবশ্যই কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি করতে হবে কারণ আপনাকে জানতে হবে কনটেন্ট ই হবে সকল কিছুর মূল।

আপনার কনটেন্ট সম্পূর্ণভাবে বড় করে লিখুন এবং সহজে বোধগম্য ভাষা ব্যবহার করুন।
প্রয়োজনে কনটেন্ট এর ভিতরে কন্টেন্ট রিলেটেড ইমেজ বা ভিডিও যুক্ত করতে পারেন।

ব্যাকলিংক তৈরিঃ
ব্যাক লিঙ্ক টা মূলত আপনার ওয়েবসাইটের প্রচার বা প্রচারণার জন্যই ব্যবহার করা হয় যা ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ।
আপনাকে অবশ্যই গেস্ট পোস্ট ব্যবহার করতে হবে ব্যাকলিংক করার জন্য।
ফোরাম পোস্টিং করতে পারেন এবং এখানে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
বিভিন্ন ব্লগের কমেন্ট সেকশনে ও আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দিতে পারেন।
ডিরেক্টরি বা লিস্টিংয়ে আপনার কন্টেন্ট এড করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় এসইও টুলস সমূহঃ

1. Google PageSpeed Insights
2. Structured Data Testing Tool
3. Robots.txt Generator
4. Copyscape
5. Google Business Review Link Generator
6. LinkMiner
7. Yoast SEO
8. SEO Site Checkup
9. Keywordtool.io
10. XML Sitemaps
11. SERP Robot
12. SimilarWeb
13. Google Search Console & Bing Webmaster Tools
14. Google Analytics
15. SEO Web Page Analyzer
16. Ahrefs SEO toolbar
17. Google Trends
18. Google Keyword Planner
19. Moz Link Explorer
20. Ahref’s Backlink Checker

 

ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও:
কেন ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও কে বেঁচে নিবেন? এইটা কি আধৌ ভালো ডিসিশন হবে আপনার জন্য? ভবিষ্যতে কি এসিওর মূল্য থাকবে? চাকরির ক্ষেত্র কেমন চাহিদা আছে বাংলাদেশে বা বিশ্বে? কোথায় কোথায় এটার নিয়ে কাজ করা যাবে। এসইও এক্সাপার্ট হয়ে কেমন ইনকাম করা যায় । অনেকেই এমন প্রশ্ন করে থাকেন।

উত্তর হিসেবে যদি বলি :– এসইও এক্সপার্টদের বর্তমানে অনেক মূল্য রয়েছে। একজন এসইও এক্সপার্টের কাজের ক্ষেত্রের অভাব নেই দেশে বা বিশ্বে। আপনি চাইলে অনলাইনে কাজ করতে পারেন অথবা অফলাইনে কোন কোম্পানির সাথেও কাজ করতে পারেন। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে এসইও এক্সপার্ট হতে হবে এবং ভালো ভাবে এসইও সম্পর্কে জানা থাকা উচিত। বর্তমান সময়ে একটি ওয়েবসাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময় এবং কাজের ধরনের এই পরিবর্তনে যুগোপযোগি পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যারা এই পেশার সঙ্গে জড়িত তাদের এসইও এক্সপার্ট বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজার বলা হয়।

আপওয়ার্ক মার্কেট এ দেখা যায় সবসময়ই প্রায় ৭/৮ হাজারের অধিক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার.কম সাইটিতেও প্রায় দুই হাজারের অধিক প্রজেক্ট রয়েছে। এ কাজ গুলো ঘন্টাচুক্তিতে বা নির্ধারিত প্রাইসে করা যায়। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারকে সম্ভব হলে লোকাল মার্কেটের কিছু কাজ করে নিজস্ব ব্র্যান্ডিং ভ্যালু বাড়ানো উচিত। এতে জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকে অনেক টা বেশি। লোকাল বড় বড় বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে হায়ার করে নিবে যখন এসইওতে অনেক এক্সপিরিয়েন্স হবে।

এসইও শিখে আয় করার উপায়ঃ-
সহজ ভাষায় যদি বলি, এসইও শিখে কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন? আপনার অনলাইন কোন বিজনেস থাকলে, সেইটাকে আরও উন্নত করতে পারবেন, এসইও দ্বারা আপনার নিজের বিজনেসের সেল বাড়াতে পারবেন। Online a website, blogging, e-commerce website, affiliate marketing etc. এসইও শিখার পর কি ধরনের কাজ করতে পারবেন বিস্তারিত জেনে নিন।

০১। আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেনঃ

আপনি চাইলে নিজের একটা ব্যবসা অনলাইনে করতে পারবেন এসইও শিখার পর। অফলাইনে তো হাজার হাজার বিজনেস দেখছেন প্রতিষ্ঠা হতে। তবে বর্তমানে অনলাইনেও অনেক ব্যবসা দিন দিন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। অনেকেই ই-কমার্স বিজনেস করছে, আপনিও যদি চান তাহলে করতে পারবেন। এসইও জানা থাকলে খুব ভালো ভাবে মার্কেট ধরতে পারবেন এবং নিজের ব্যবসাকে প্রমোট করতে পারবেন। নিজের কোন ওয়েবসাইট থাকলে সেখানেও যেকোনো সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারবেন।

০২। অনলাইন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেনঃ

এসইও শিখে আপনি অনলাইনে কাজ করতে পারবেন, যেইটাকে আমরা ফ্রীল্যান্সিং বলে থাকি। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস গুলো হচ্ছে, আপওয়ার্ক, ফ্রীলান্সার.কম, ফাইবার, পিপল পার আওয়ার সহ আরও অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেখানে আপনি এসইও এর বিভিন্ন সার্ভিস দিতে পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে মার্কেটপ্লেসে যাওয়ার আগে ভালোভাবে কাজ শিখতে হবে। মার্কেট প্লেসে যারা কাজ করে তারা অনেক এক্সপার্ট, তাছাড়া যেহেতু আপনার আমার মতো আরও হাজার হাজার এসইও এক্সপার্ট কাজ করবে, তাই কাজ পাওয়াটাও একটু কঠিন ব্যাপার হয়ে পরে। অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনার কাজের পরিধিও বৃদ্ধি পাবে। তারজন্য কাজ করতে হবে, লেগে থাকতে হবে এবং রির্সাচ করতে হবে। অন্যরা কিভাবে কাজ নিচ্ছে ক্লায়েন্ট থেকে সেগুল ভালোভাবে এনালাইসি করতে হবে।

০৩। এসইও শিখে আপনি ব্লগিং করতে পারবেনঃ

এসইও শিখে আপনি বিভিন্ন ধরনের সিংগেল নিস সাইট বা মাল্টি নিস সাইট তৈরি করতে পারবেন। এককথায় যাকে আমরা ব্লগিং বলি। ব্লগিং করে বর্তমানে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে দক্ষ এসইও এক্সপার্টরা। ওয়েবসাইটে বিভিন ধরনের ইনফোরমেটিভ ও কার্যকরী তথ্য দিয়ে বা যেকোনো ধরনের সেবা দিয়ে আপনার নিজস্ব ব্লগিং সাইট শুরু করতে পারবেন। সেখান থেকে অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং এ ট্রাফিক নিয়ে আসতে হলে অবশ্যই কন্টেন্টকে এসইও করতে হবে। আর ট্রাফিক পর্যাপ্ত হলে অ্যাডসেন্স ছাড়াও আরও অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটের টার্গেট যদি হয় লোকাল তাহলে লোকাল কোন কোম্পানির অ্যাড দিয়ে ও ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাডসেন্স দিয়ে অনেক ইনকাম করতে পারবেন যদি গ্লোবালি ওয়েবসাইট বানান। এছাড়াও রয়েছে মিডিয়া,নেট তবে তার জন্য অবশ্যই প্রথম বিশ্বের দেশ গুলোতে থেকে ট্রাফিক আনতে হবে। আর এইজন্য়ই আপনার ভালো ভাবে এসইও জানা উচিত।

০৪। এসইও এর সার্ভিস দিতে পারবেনঃ

আপনি এসইও এক্সপার্ট, এসইও করে টাকা ইনকাম করার কথা ভাবছেন? এসইও শিখে টাকা ইনকাম করার অন্যতম উপায়ের মধ্যে একটি। এসইও এর সার্ভিস দেওয়া। ঘরে বসে অনলাইনে এখন সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে এসইও এর সার্ভিস গুলো দিতে পারবেন। তাছাড়া লোকাল কোম্পানি আছে যার মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি প্রজেক্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন অথবা অফিসে গিয়ে সার্ভিসেস দিতে পারবেন। এখন হইতো বলবেন, এসইও শিখে কি কি সার্ভিস দেওয়া যায়।

কোম্পানির প্রয়োজন অনুযায়ী, বিভিন্ন নিস আইডিয়া দিতে পারবেন, কীওয়ার্ড রির্সাচ করে দিতে পারবেন, কোম্পিটিটর এনালাইসিস করে দিতে পারবেন, তাছাড়া সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে অন পেইজ এসইও , অফ পেইজ এসইও করে দিতে পারেন। যখন এসইও এক্সপার্ট হয়ে যাবেন তখন বিস্তারিত আরও জানতে পারবেন। শুধু লেগে থাকতে হবে, সাতে গুগল ইউটিউবে রির্সাচ করেন আপডেট থাকতে হবে নিয়মিত।

০৫। লোকাল কোম্পানিতে জব করতে পারবেনঃ

এসইও এক্সপার্ট বিভিন্ন লোকাল কোম্পানির সাথে সরাসরি কাজ করতে পারবেন। তাদের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য আপনাকে হায়ার করবে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচুর কাজ পাওয়া যাচ্ছে এসইও এক্সপার্টদের, নির্দিষ্ট কোন বেতন দিয়ে হায়ার করছে এসইও এক্সপার্টদের। অথবা আপনি প্রজেক্ট আকারেও কাজ করতে পারবেন। এটা নিশ্চিত থাকা যায় যে এসইও আগামিতে আমাদের দেশের অনেক জনপ্রিয় হবে। তাহলে কেনই বা এসইও শিখবেন না। যারা জব করতে পছন্দ করেন তারাও এসইও শিকে বিভিন্ন কম্পানিতে জব করতে পারবেন।

০৬। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেনঃ

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে এমন অনেক মানুষ রয়েছে। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে – আপনার ওয়েবসাইট দ্বারা তাদের কোন প্রোডাক্ট সেল করে দেওয়া। অর্থাৎ আপনার যদি একটা নিস ওয়েবসাইট থাকে সেখানে অ্যামাজনের কোন প্রোডাক্টের রিলেটেড কন্টেন্ট দেন, এবং পর্যাপ্ত টার্গেটেড ট্রাফিক নিয়ে আসেন তারপর তারা যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনার জন্য অ্যামাজন ওয়েবসাইট যায় এবং আপনার রেফারেন্সে কোন কাস্টমার যদি অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট কিনে, তাহলে অ্যামাজন আপনাকে কিছু কমিশন দিবে এইটাই হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যেকোনো ইকমার্সের সাথে করতে পারবেন। তাদের পণ্য সেল করে দেওয়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট একটা কমিশন পাবেন।

০৭। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখাঃ

ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার অন্যতম উপায় হচ্ছে কন্টেন্ট, অর্থাৎ ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে কন্টেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে। একটা ওয়েবসাইট আমরা যা দেখি সবগুল এক একটি কন্টেন্ট। যেমনঃ ইমেজ, ভিডিও, আর্টিকেল, ইত্যাদি হচ্ছে কন্টেন্ট। আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এসইও সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে।

অর্থাৎ ভিজিটর বাড়ানোর জন্য এবং গুগলে রাঙ্ক করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং করতে হবে। এসইও ফ্রেন্ডলি রাইটিং এর জন্য বর্তমানে অনেক বড় বড় কোম্পানি দক্ষ রাইটার খুঁজে। অনেকেই এসইও এবং এসইও ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট রাইটিংকে আলাদা আলাদা পেশা হিসেবে নিয়ে থাকে। আবার অনেকেই একসাথে কাজ করে। আপনি যদি ইংলিশে দক্ষ থাকেন এবং লেখা লিখি করার অভ্যাস থাকে, তাহলে এই পেশাটাকে নিয়ে পারেন। প্রথমে এসইও শিখতে হবে তাহলে এসইও ফ্রেন্ডলি রাইটিং এ এক্সপার্ট হয়ে যাবেন।

মার্কেটপ্লেস গুলোতে রাইটিং এর অনেক কাজ পাওয়া যায়। অনেকেই ১০০০ শব্দের জন্য ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা নিয়ে থাকে আবার হাই কোয়ালিটি রাইটাররা ১০০০ শব্দের জন্য ১৫০০ টাকা বা তার থেকে বেশিও নিয়ে থাকে। এছাড়াও বর্তমানে বাংলা ওয়েবসাইট বারার কারনে বাংলা রাইটিং এর ও প্রয়োজন পড়ে দেশে। তাই আপনাকে আগে এসইও জানতে হবে তারপর এসইও ফ্রেন্ডলি রাইটিং করতে পারবেন।

০৮। অ্যাপস এর এসইও সেবা দিতে পারবেনঃ

অ্যাপস ছাড়া মোবাইল অচল আমরা সবাই জানি, বর্তমানে অ্যাপস এর জনপ্রিয়তা অনেক যা বলার অপেক্ষা রাখে না। অ্যাপস প্রমোশনের জন্য আপনি কাজ করে দিতে পারবেন।

০৯। অনলাইনে যেখানে ভিজিটর প্রয়োজন হয় সেখানে কাজ করতে পারবেনঃ

অনালাইনে যেসব সাইটে ভিজিটর দরকার হবে, সেসব সাইটেই কাজ করতে পারবেন। এসইও করে ইকমার্স ওয়েবসাইট এর সেল বাড়িয়ে দিতে পারেন। এছাড়াও যেকোনো ওয়েবসাইটের কাজ করতে পারবেন, যদি এক্সপার্ট হন প্রমোশনের জন্য অবশ্যই আপনাকে হায়ার করবে।

 

শেষ কথাঃ- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এটি একটি বিশাল পরিধি । কারণ বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তিতে গুগোল বা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন প্রতিনিয়ত তাদের অ্যালগোরিদম আপডেট করে যাচ্ছে। এজন্য আপনার দরকার প্রতিনিয়ত আপডেট গুলো সম্পর্কে জানা। সে অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইটটা পরিচালনা করা এবং ভালো কনটেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সার্চ র‍্যাঙ্কের প্রথম পেজে অবস্থান করতে পারবেন।

 

মন্তব্য করুন

Need Help? Send a WhatsApp message now

Click one of our representatives below