
এইচএসসি – জীব বিজ্ঞান – ১ম পত্র – অধ্যায় ০৬- ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা Part 1
? ব্রায়োফাইটাঃ
বিজ্ঞানী ব্রাউন ১৮৬৪ সালে ব্রায়োফাইটা নামটি ব্যবহার করেন।ব্রায়োফাইটা নামটি এসেছে দু’টি গ্রিক শব্দ হতে। গ্রিক ব্রায়ন অর্থ মস এবং ফাইটন অর্থ উদ্ভিদ। মস এবং এর সাথে মিল সম্পন্ন উদ্ভিদসমূহ ব্রায়োফাইটা বিভাগের অন্তর্গত। এ বিভাগের উদ্ভিদসমূহকে তিনটি শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা হয়েছে; যথা: (১) হেপাটিকি, (২) অ্যান্থোসিরোটি এবং (৩) মাসাই।
ব্রায়োফাইটের আদি বৈশিষ্ট্য: (১) উদ্ভিদ হ্যাপ্লয়েড, (২) অধিকাংশই থ্যালয়েড, (৩) এদের সত্যিকার মূল নেই, (৪) ভাস্কুলার টিস্যু নেই।
ব্রায়োফাইটার বৈশিষ্ট্য:
১। এরা বহুকোষী উদ্ভিদ। এরা অপুষ্পক ও অবীজী।
২। এদের দেহ গ্যামিটোফাইট তথা হ্যাপ্লয়েড। গ্যামিটোফাইট সর্বদাই স্বতন্ত্র ও স্বভোজী উদ্ভিদ।
৩। দেহ থ্যালয়েড অর্থাৎ দেহকে সত্যিকার মূল, কান্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না, তবে মস জাতীয় উদ্ভিদকে ‘নরম কান্ড ও পাতার’ মতো অংশে চিহ্নিত করা যায়।
৪। এদের মূল নেই, তবে মূলের পরিবর্তে এককোষী রাইজয়েড এবং কোনো কোনো প্রজাতিতে বহুকোষী স্কেল থাকে।
৫। এদের দেহে কোনো ভাস্কুলার টিস্যু নেই। দেহ প্যারেনকাইমা টিস্যু দিয়ে গঠিত।
? টেরিডোফাইটাঃ
সকল ফার্ণ ও ফার্ণ জাতীয় উদ্ভিদ টেরিডোফাইটা বিভাগের অন্তরগত,তাই টেরিডোফাইটাকে ফার্নবর্গীয় উদ্ভিদ বলা হয়।ওয়ালেস, স্যান্ডারস ও ফার্ল এর বায়লজি (১৯৯৬) অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রায় ১১ হাজার (১১০২৩ টি) প্রজাতির টেরিডোফাইট উদ্ভিদ আছে। টেরিডোফাইটা বিভাগের অন্তর্গত উদ্ভিদ(সমূহ)কে টেরিডোফাইটস বলা হয়। বাংলাদেশ থেকে ৪১ গোত্রের ১৯৫ প্রজাতির টেরিডোফাইট নথিভুক্ত করা হয়েছে। অধিকাংশ প্রজাতিই স্থলজ, কতক জলজ ও কতক পরাশ্রয়ী প্রজাতি আছে। এই গ্রুপের উদ্ভিদই প্রথম স্থলভাগে প্রাধান্য বিস্তার লাভ করেছিল প্রায় ৪০০ মিলিয়ন বছর পূর্বে।
টেরিডোফাইটার বৈশিষ্ট্য:
১। এরা অপুষ্পক ও অবীজী উদ্ভিদ। এরা স্বাধীন, স্বাবলম্বী এবং বীরুৎ প্রকৃতির (ট্রি ফার্ণ ব্যতীত) ।
২। এরা রেণুধর বা স্পোরোফাইটিক উদ্ভিদ অর্থাৎ ডিপ্লয়েড।
৩। গ্যামিটোফাইট পর্যায়কে প্রোথ্যালাস বলে, যা থ্যালাস প্রকৃতির।
৪। এদের দেহকে মূল, কান্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায়।
৫। এদের ভাস্কুলার টিস্যু আছে।