বিসিএস + ব্যাংক লিখিতের জন্য জরুরী:
সিরিয়া সংকট ও সমাধান:
::যত কঠিন ভাবেই কেউ চেষ্টা করুক না কেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে রাশিয়ার ভূমিকা এবং গুরুত্ব আড়াল করা বা ছোট করে দেখা অসম্ভব, সেন্ট পিটার্সবুর্গে আঞ্চলিক এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের জন্য আয়োজিত “ট্রুথ এণ্ড জাষ্টিস” শীর্ষক একটি মেডিয়া ফোরামে একথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, সিরিয়ায় রাশিয়ার সাফল্য চেপে যাওয়ায় প্রচেষ্টা এখনও রয়েছ, তবে তা সম্ভব হবে না।সিরিয়ায় একটি মৌলিক পরিবর্তনের কথা বলার সময় এখনও হয়নি, কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত যে, দেশটির সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে রাশিয়া সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, আমাদের সর্বপ্রথম কাজ ছিল একটি রাষ্ট্র হিসেবে সিরিয়াকে শক্তিশালী করা এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসমূহের আইনগত ভিত্তি ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা, যেটি আমরা করেছি।
উৎসঃ bdn24x7.com, বাংলাদেশনিউজ।৯ এপ্রিল, ২০১৬।
::যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলছেন, সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করে সিরিয়ার সঙ্কট সমাধান করা সম্ভব না বলে তিনি মনে করছেন। বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রাশিয়া এবং ইরানসহ সকল পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য চাপ দিয়েই শুধুমাত্র এই সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান পাওয়া সম্ভব। সিরিয়ার সমস্যা সমাধান করতে সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, বরং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কথা বললেও প্রেসিডেন্ট ওবামা একথাও বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলছেন, “সিরিয়ায় এক করুণ এবং অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং এর কোন সহজ-সরল সমাধান নেই।” “আমি মনে করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন বা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য স্থলসেনা পাঠিয়ে আসাদের শাসক-চক্রকে উৎখাত করাটা ভুল হবে।” “আমরা রাশিয়া এবং ইরানসহ আসাদকে যারা সহযোগিতা দিচ্ছে এমন সব পক্ষের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ দিতে পারি, যুদ্ধরত মধ্যপন্থী বিরোধী গ্রুপগুলোকেও চাপ দিতে পারি, যাতে তারা আলোচনায় বসে,” বলেন তিনি।
উৎসঃ বিবিসি বাংলা। ২৪ এপ্রিল ২০১৬।
::মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, সামরিক উপায়ে সিরিয়া সমস্যার কোনো সমাধান করা যাবে না। তিনি দেশটিতে যুদ্ধবিরতির সুযোগ নেয়ার জন্য সিরিয়ার সরকার ও কথিত বিরোধীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি দু পক্ষের কাছেই আবেদন জানাব, আপনারা এ মুহূর্তকে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার কর যদিও কেরি এ বিবৃতিতে দুপক্ষের কথাই উল্লেখ করেছেন তবে দৃশ্যত তার বিবৃতি সিরিয়ার বিরোধীদের জন্য প্রযোজ্য। উৎসঃ দৈনিক ইনকিলাব। ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬।
#২০১১-২০১২ এর সিরীয় অভ্যুত্থ্যান মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়ায় চলমান একটি সহিংস অভ্যুত্থান। অনেকে একে আরবের বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান তথা আরব বসন্তের অংশ হিসেবে দেখেন। ২০১১ সালের ২৬শে জানুয়ারি সিরিয়ায় শুরু হওয়া দেশব্যাপী গণ বিক্ষোভ প্রদর্শন এক সময় অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের দাবী ছিল রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের পদত্যাগ, তার সরকারের ক্ষমতাচ্যুতি এবং সিরিয়া দীর্ঘ ৫ দশকের আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টি (আরবি নাম: হিয্ব আল-বা’ত আল-আরাবি আল-ইশতিরাকি- কুত্র সুরিয়া) শাসনের পতন।
উৎসঃ উইকিপিডিয়া বাংলা
#পশ্চিম এশিয়ার দেশ সিরিয়ার রয়েছে সুদীর্ঘকালের সফল ইতিহাস। যেটি ১৯৬৩ সাল থেকে সিরিয়া শাসন করছে বাথ পার্টি। ঔপনিবেশিকতার নিগর থেকে মক্ত সিরিয়ায় “বাথ পার্টির” স্বৈরশাসনে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ পায়নি সাদারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে আরব বসন্তের হাত ধরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের লক্ষ্যে ১৫ মার্চ ২০১১ যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সিরিয়ায় পরবর্তীতে তা রুপ নেয় গৃহযুদ্ধ।
উৎসঃ উইকিপিডিয়া বাংলা
#ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে সিরিয়া তুরস্ক এবং রাশিয়া উভয়ের কাছেই বেশ গুরুত্ব বহন করে। তাই সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তা মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য অঞ্চলের দেশগুলোতে প্রভাব ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। তুরস্ক এবং রাশিয়া উভয়েই সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে তত্পর। যদিও তাদের দৃষ্টিভঙ্গীগত পার্থক্য রয়েছে তুরস্ক সংকটের প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যত্ নিয়ে। তুরস্ক এবং সিরিয়া হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আর রাশিয়ার অবস্থান ভৌগোলিক মানচিত্রে সিরিয়া থেকে অনেক দূরে। অর্থাত্ সিরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে কোন সীমান্ত সংযোগ নেই। কিন্তু অর্থনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে রাশিয়ার কাছে সিরিয়ার গুরুত্ব বেশি। তাছাড়া বাসার-আল আসাদের সাথে রাশিয়ার বর্তমান সরকারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভাল হওয়ার কারণে আসাদকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে রাশিয়া সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্কের সাথে সিরিয়া জটিল এক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আবদ্ধ। ১৯৯০ সাল থেকে তুরস্ক-সিরিয়া সম্পর্ক ক্রমেই খারাপের দিকে ধাবিত হতে থাকে। যখন তুরস্ক ঘোষণা করে যে, যদি পি.কে.কে. নেতা আব্দুল্লাহ ওকালনকে মুক্তি না দেয়া হয় এবং যদি কুর্দি সামরিক শক্তির উপর থেকে দামেস্কর সমর্থন না সরিয়ে নেয়া হয় তাহলে তুরস্ক সিরিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে। এসব রাজনৈতিক জটিলতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত দিক থেকে তুরস্ক এবং সিরিয়া উভয়েই একে অপরের কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ২০১০ সাল নাগাদ তুরস্ক কর্তৃক সিরিয়াতে রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১.৮ বিলিয়ন ডলার। আবার কৌশলগত দিক থেকে তুরস্কের কাছে সিরিয়া বেশ তাত্পর্য বহন করে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিজের বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে তুরস্ক অনেক ক্ষেত্রেই সিরিয়াকে ট্রানজিট করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তাই সিরিয়ার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তুরস্ক এবং রাশিয়া উভয় দেশেরই একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু ২০১১ সালে সিরিয়াতে যে রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয়েছে সে বিষয়ে রাশিয়া এবং তুরস্ক দুটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে নিজেদের সমর্থন দিয়েছে। তুরস্ক মূলত আসাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহীদের সমর্থন করে যাচ্ছে।
উৎসঃ ইত্তেফাক, ১৭ জানুয়ারি ২০১৩
#কে কোন ধর্মের?
বিদ্রোহীদের অধিকাংশ সুন্নি মুসলিম যেখানে ক্ষমতাসীন সরকারের অধিকাংশ ব্যক্তি আলাবি (শিয়াদের একটি গোত্র) মুসলিম। উল্লেখ্য সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার ৭৪% সুন্নি, ১২% আলাবি এবং ১০% খ্রিস্টান।
উৎসঃ “”Syria (05/07)”” State.gov। সংগৃহীত ২০০৮-১০-২৫।
#মৃত্যুর সংখ্যা
জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন উৎসের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত ৯,১০০-১১,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে যার অধিকাংশই বিদ্রোহী দলের অন্তর্ভুক্ত, অন্যদিকে সশস্ত্র বাহিনীর নিহত হয়েছে ২,৪৭০-৩,৫০০ জন। এর চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আহত হয়েছে এবং কয়েক লক্ষ বিদ্রোহীকে আটক করা হয়েছে। সিরীয় সরকারের ভাষ্যমতে মৃতের সংখ্যা ৫,৭০০-৬,৪০০ যার মধ্যে ২,০০০-২,৫০০ জনই সেনাবাহিনীর, ৮০০ জনের বেশি বিদ্রোহী এবং ৩,০০০ বেসামরিক মানুষ। সরকার বিদ্রোহীদেরকে “”সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল”” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে ৪০০-রও বেশি শিশু নিহত হয়েছে। সিরীয় সরকার অবশ্য এই তথ্যকে অস্বীকার করেছে এবং জাতিসংঘ বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ভুল তথ্য পেয়েছে বলে দাবী করেছে।পাশাপাশি, ৬০০-র বেশি আটক ব্যক্তি ও রাজনৈতিক বন্দি নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে।
# ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুসারে ৪০০-র বেশি শিশু নিহত হয়েছে।অনেক উৎস বলছে এর বাইরে আরও প্রায় ৪০০ শিশুকে কারাগারে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।সহিংসতা থেকে বাঁজতে হাজার হাজার সিরীয় শরণার্থী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী জর্ডান লেবানন এবং তুরস্কে পালিয়ে গিয়েছে।
# জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাশার জাফরি সন্ত্রাসবাদ, দখলদারিত্ব, নিষেধাজ্ঞা, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং দরিদ্র দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা না করাকে সাম্প্রতিক শরণার্থী সংকটের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাশার জাফরি জাতিসংঘে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক বৈঠকে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে সিরিয়ার উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত করছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত আরো বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই উন্নয়নের পথে এ অঞ্চলে ইসরাইলের দখলদারিত্বই সবচেয়ে বড় বাধা। তিনি বলেন, ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
উৎসঃ http://bangla.irib.ir, 27 সেপ্টেম্বর 2015
# চীন আবারো রাজনৈতিক উপায়ে সিরিয়া সমস্যা সমাধানের আহবান জানিয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়াচুন ইঙ্গ সিরিয়া ইস্যুতে তার দেশের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে এ কথা বলেছেন। চীনা কর্মকর্তারা মনে করেন, সিরিয়াসহ আঞ্চলিক যে কোনো সংকটে আলোচনাই হচ্ছে একমাত্র ও সবচেয়ে কম খরচের সমাধান বলে তিনি উল্লেখ করেন। চীনা মুখপাত্র আরো বলেছেন, সিরিয়া বিষয়ে বেইজিং তৃতীয় জেনেভা সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা করছে।
উৎসঃ http://bangla.irib.ir, 09 অক্টোবার 2015
# ‘রাজনৈতিক সংলাপ ছাড়া সিরিয়া সংকট খুব সহজে সমাধান সম্ভব নয়’- সিনিয়র সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ভাষ্যকার মাহফুজ উল্লাহ। 05 ডিসেম্বর 2015
# সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করে সিরিয়ার সংকট সমাধান করা সম্ভব না বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে তিনি বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের (আইএস)বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ওবামা। তিনি বলেছেন, রাশিয়া, ইরানসহ সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য চাপ দিয়েই শুধু সিরিয়া সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান পাওয়া সম্ভব।
# ওবামা বলেন, “সিরিয়ায় এক করুণ এবং অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর কোনো সহজ-সরল সমাধান নেই। আমি মনে করি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন বা পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য স্থলসেনা পাঠিয়ে আসাদের শাসক-চক্রকে উৎখাত করাটা ভুল হবে।”
উৎসঃভোরের কাগজ, ২৪ এপ্রিল ২০১৬
# ২০১১ সালে সিরিয়ায় যখন গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তখন সে দেশের জনসংখ্যা ছিল ২২ মিলিয়ন বা দুই কোটি ২০ লক্ষ। গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এযাবৎ ৪০ লক্ষ মানুষ দেশান্তরিত হয়ে শরণার্থী হয়েছেন। আরও ৮০ লক্ষ মানুষ দেশের ভিতরেই উদ্বাস্তু হয়েছেন। হিসেব কষলে দেখা যায় দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ গত ৪ বছরে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। আর দেশান্তরী হতে গিয়ে রক্ষণশীল হিসেবেও অন্তত তিন হাজার মানুষ ভূমধ্য ও ইজিয়ান সাগরে ডুবে মারা গেছেন, যাদের মধ্যে শিশু আয়লান কুর্দি ও তার বোন এবং তাদের মত অসংখ্য শিশুও রয়েছে।
উৎসঃ জাগোনিউজ২৪.কম, ১১ অক্টোবর ২০১৫
#৩০ অক্টোবর ২০১৫ অস্টিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সিরিয়া বিষয়ক এক সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য অ বিশ্বের ১৯টা রাষ্ট্র আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিরিয়ার সর্বত্র সংঘাত বন্ধে কার্যকর ভূমিকা গ্রহন করতে একমত হয়। সে অনুযায়ী ১৩-১৪ নভেম্মর ২০১৫ ভিয়েনায় ২০ দেশের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সিরিয়া সংকট নিরসনে ৬টি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবসমূহ-
১। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সমঝোতা,
২। সিরিয়ার অবাধ সহযোগিতা
৩। আসাদকে আপসে প্রস্তুত থাকা
৪। ইরানের পারমানবিক চুক্তির সমর্থন
৫। কূটনৈ্তিক কৌশল ব্ব্যহার
৬। আইএস ধ্বংসে ভিন্ন অভিযান
উৎসঃ ইত্তেফাক, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫
# পুতিন বলেন, ‘আমরা সিরিয়ায় শুধু অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবদান রাখতে চাই না, সিরিয়ায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়ও অবদান রাখতে চাই। এই প্রক্রিয়ায় অবশ্যই বিশ্বের পরাশক্তিগুলো এবং ওই অঞ্চলের অন্য দেশ, যারা সিরিয়া সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকবে।’
উৎসঃ প্রথম আলো, অক্টোবর ২২, ২০১৫
# ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, সিরিয়া সংকট সামরিক ভাবে নিষ্পত্তি করা যাবে চিন্তা করা হলে তা হবে মারাত্মক ভুল।
উৎসঃ http://parstoday.com, মে 17, 2016
# সিরিয়া সংকট নিরসনে ইরানের ৩ শর্ত
১. সিরিয়ার জনগণকে তাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার দিতে হবে।
২. সিরিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে এবং
৩. রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সন্ত্রাসবাদ ব্যবহারকে বন্ধ করতে হবে।
উৎসঃ আমাদের সময়.কম, 23.11.2015
আরো পড়ুন:
আন্তর্জাতিক সীমারেখা
নামের অর্থের বই pdf
ব্যাংক জব নিয়োগ পরীক্ষা – গণিত