৩৮ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি
আন্তর্জাতিক : >> যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি জানতে পড়ুন।
>>>>>> Shoeb Ahmed >>>>>>>>>
** প্রথমে বক্তব্যের সূচনা নিজের মত করে দিবেন। এটা নিজের উপরই নির্ভর করে । আপনার লেখার দক্ষতা আপনাকে অন্যের থেকে অন্যন্য করে তুলবে। এজন্য যেটি করতে হবে তাহল নিয়মিত ভাল লেখকদের কলাম পড়া, ভাল মানের বই পড়া।
যেমন আপনি এভাবে শুরু করতে পারেন..
** যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বর দ্বিতীয় বৃহ্ত্তম গণতান্ত্রিক দেশ এবং সোভিয়েত ইউনিয় ভেঙ্গে যাওয়ার পর বর্তমান বিশ্বের একক পরাশক্তি…. এখানে এক লাইনে ৪টি তথ্য দেয়া হয়েছে। এভাবে শুরু করতে পারেন।
** এরপর যেহেতু পররাষ্ট্র নীতি আলোচনা করতে বলছে আপনার উচিত হবে পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে এক লাইন হলেও কিছু বলা।
এরপর আপনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে দু-এক লাইন লিখতে পারেন। সব মিলিয়ে সূচনা বক্তব্য আপনার মোট বক্তব্যের একটা সারমর্ম হতে হবে… । এখানে ব্যাখ্যা দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সূচনা দেখেই পরীক্ষক আপনার রুচিবোধ, অাপনার লেখার হাত বিবেচনা করতে পারেন একথা মাথায় নিয়ে লিখতে হবে।
** যেমন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি ৩টি স্তরে ভাগ করা যেতে পারে। যথা;-
ক) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপূর্ব মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি
খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি
গ)স্নায়যুদ্ধোত্তর তথা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গনের পরের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ৩টি স্তরে ভাগ করা যায়।
ক) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপূর্ব মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি
খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি
গ) স্নায়যুদ্ধোত্তর তথা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গনের পরের মার্কিন
পররাষ্ট্রনীতি।
(অনেকে চার ভাগে ভাগ করেন তারা বলে ৯/১১ এর পর যে নীতি গ্রহণ করে সেটা চতুর্থ স্তর ধরা যায়। সেক্ষেত্রে আপনি চারটাও বলতে পারেন।)
ক) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপূর্ব মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি:-
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ১৭৭৬ সালে। স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট কে যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হরে তিনি বলেন – যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি হবে “” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বপ্রধান উদ্দেশ্য হবে অপরাপর রাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করা ও রাজনৈতিক সম্পর্ক যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা। ইউরোপ মহাদেশের পারস্পরিক সমস্যা ও সেসব সমস্যা থেকে উদ্ভুত দ্বন্দ্ব ও বিদ্বেষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্েথর দিক দিয়ে সম্পূর্ণ নিষ্প্রয়োজন। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষেট্রর মর্যাদা বৃদ্ধি করবে।””
**(এটা হল তার হুবহু বক্তব্য এজন্য কোটেশন হিসেবে ব্যবহার করতে হবে যদি মুখস্ত করতে না পারেন তাহলে এভাবে লিখবেন)
প্রথম প্রেসিডেন্ট কে যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হরে তিনি বলেন – যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি হবে
-অপরাপর দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা
-রাজনৈতিক সম্পর্ক যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা
-ইউরোপের রাজনৈতিক ব্যাপারে কোন সম্পর্ক এড়িয়ে চলা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্টের এ নীতি যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত মেনে চলেছিল। ১৮২৩ সালে জেমস মনরো যে পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণা করেন তাতে বলেন “”ইউরোপীয় রাজনীতি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ রাখা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অংশ ইউরোপীয় তথা বিশ্বের কোনা রাষ্ট্রের রাজনীতিক ও ঔপনিবশিক স্বার্থ অর্জনের স্থানে পরিনত হতে না দেয়াই হবে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি।”” -এটা দেখা যায় জর্জ ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতিরই জেরক্সকপি। জেমস মনরোর এ নীতিকে পলিসি অাইসোলেশন বলা হয়।
এমনকি ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডকে জার্মানির থেকে উদ্ধার করে সেই আগের নীতেই ফিরে গিয়েছিল।
(কেউ বেশি লিখতে চাইলে……..)
এসময়ের মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে যে বৈশিষ্ট দেখা যায় সে সম্পর্কে সামুয়েল ফ্লাগ যে মূলনীতিগুলো খুজে পান তাহল-
১ সার্বভেৌমত্ব
২। ইউরোপীয় রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্নতা
৩। ঔপনিবেশিকতা বিরোধী নীতি
৪। অ-আগ্রাসী মনোভাব বজায় রাখা
৫। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন
৬। সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যের বিরুদ্ধাচারন
৭ মাহদেশীয় প্রভাব বিস্তার।
খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি:
(আপনারা জানেন যে ২য় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সারা বিশ্বেই রাষ্ট্র ধারণার, অর্থনৈতিক ব্যবস্থার, এমনকি সামাজিক চিন্তা চেতনার আমূল পরিবর্তন ঘটে। এর পুরো নেতৃত্বে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সম্পর্কে পরে বলব)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগের পররাষ্ট্রনীতির সম্পূর্ণ বিপরীত বলা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জার্মানির দাপট এত বেশি ছিল যে, সমগ্র ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর হয়ে উঠেছিল। আমেরিকাও এর পূর্ণ ফায়েদা নিয়েছিল। ২য় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপ যেমন ভঙ্গুর ছিল একই সাথে পূর্ব ইউরোপের রাষ্ট্রগুলো যেভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাবাধীন হয়ে পড়ছিল তাতে কমিউনিজমের ভয়ও পাচ্ছিল পশ্চিম ইউরোপের পুজিবাদী দেশগুলো্ । যুক্তরাষ্ট্রের যেহেতু পুরো বিশ্বের অঘোষিত নেতা হয়ে উঠল তাই যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্রনীতিতেও আসল আমূল পরিবর্তন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির বৈশিষ্টগুলো কয়েকটি দিক দিয়ে নির্ধারিত হয়
(ক) রাজনৈতিক
(খ) অর্থনৈতিক
(গ) সামরিক
**(ক) রাজনৈতিক ;- রাজনৈতিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ সোভিয়েত ইউনিয়ন বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করে। এমনকি সোভিয়েত তথা সমাজতন্ত্র ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য সব রকম নীতি গ্রহণ করে। এসময়ে যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি গ্রহণ করে তাকে টুম্যান ডকট্রিন বলে । ট্রম্যান নীতির মূলকথা হল- কমিউনিজম বিরোধী অবস্থান করা, বিস্তার রোধ করা, এমনকি ধংশ করা। আর যারা কমিউনিজম বিরোধী হতে চায় তাদের সর্বপ্রকার সাহায্য করা। মূলত ট্রুম্যাম ডকট্রিন হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সারা বিশ্বের নেতা হয়ে ওঠার নীতি। ট্রুম্যান নীতির অংশ হিসেবেই জাপানে আনবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়। কমিউনিজম বিরোধী অবস্থানের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করে, সামরিক হস্তক্ষেপ করে, সামরিক সরকার পোষে এবং বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে তার প্রভাবাধীন রাখতে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা সংগঠন সিআইয়ের হাজার হাজার কর্মী সারা বিশ্বে সতর্কভাবে রাখা হয়।
(খ) অর্থনৈতিক:- অর্থনৈতিক দিক থেকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিশ্বের এক নম্বর অবস্থানে ২য বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব এক শতাব্দী ধরে। ইউরোপ পর পর প্রথম ব্শ্বি যুদ্ধ এবং ২য় ব্শ্বিযুদ্ধের পর অত্যন্ত আর্থিক দূরাবস্তায় পড়ে যায়। আমেরিকা ইউরোপের পূনর্গঠনে আথির্ক সাহায্য করে। যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক দিক থেকে যে নীতি গ্রহণ করে তা মার্শাল পরিকল্পনা নামে পরিচিত। মার্শাল পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই IMF, IBRD (বিশ্বব্যাংক) প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এসময়ে ট্রম্যান নীতির অংশ হিসেবেই যারা সাম্যবাদের থেকে দুরে থাকতে চায় তাদের সর্বত সাহায্য করাই হয় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক মূলনীতি ।
(গ) সামরিক : সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সমাজতান্ত্রিক অবস্থা যাতে অন্যান্য দেশে সংক্রামিত না হয় সে জন্য সামরিক শক্তি বিপুর পরিমান বৃদ্ধি করা হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার সংবিধান অনুুযায়ী সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এজন্য জাপানকে এমন পরিস্থির মধ্যে আনা হয়েছিল যাতে জাপান যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমন করে। জাপান যখন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাটি পার্লহারবার আক্রমন করল যুক্তরাষ্ট্র জাপানরে ওপর আনবিক বোমা নিক্ষেপ করল। এটা যেমন জাপানকে ঘায়েল করা হল একই সাথে বিশ্ববাসীকে জানান দিল যে যুক্তরাষ্ট্র কেমন হবে তার রুপ। এরপর কোরিয়া ও ভিয়েতনামে সুদীর্ঘকালব্যাপী যুদ্ধ, ইসরাইলকে সর্বতভাবে সাহায্য করা সবই আমেরিকার সামরিকনীতির অংশ। বলা হয়ে থাককে ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে ২৪৭টি যুদ্দ সংগঠিত হয়েছে যার মধ্যে ২০৩টি যুদ্ধই করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
(যারা বেশি লিখতে চান বা যারা সংক্ষিপ্ত করে লিখতে চান তাদের জন্য)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রধান বৈশিষ্ট ছিল এরকম-
a) সমাজতন্ত্রের বিস্তার রোধ, এবং সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নেওয়া।
b) পশ্চিম ইউরোপের সাথে সবোর্তভাবে নিজেকে অন্তর্ভুক্তকরণ।
c) পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যেকোন উপায়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা
d) মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলকে সর্বোতভাবে সাহায্য করা
e) বিভিন্ন সামরিক ও অর্থনৈতিক জোট করা
f) ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্নদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ
g) বিভিন্ন দেশের জাতীয় ও মুক্তি আন্দোলনে সমর্থন দান (সমাজতান্ত্রিক দেশের বিরুদ্ধে)
h) অনুন্নত দেশে অর্থনৈতিক সাহায্য দান (যেমন পিএল-৪৮০)
i) পারমাণবিক চর্চা, মহাকাশ গবেষণা, অস্ত্র ব্যবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিকেজে শীর্ষে রাখার চেষ্টা।
৩। স্নায়ুদ্ধোত্তর মার্কন পররাষ্ট্রনীতি:- ১৯৯১ সালের ডিমেস্বরে সোভয়েত ইউনিয়নের পতনের সাথে সথে যুক্তরাষ্ট্র একক পরাশক্তি হিসেবে হাজির হয়। যেহেতু একক পরাশক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, এসময়ে সামরিক শক্তির গুরুত্ব অনেকটা হ্রাস পায়। এ জন্য পররা্ষ্ট্রনীতিতে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। এসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে যে প্রবণতা দেখা যায় তাহল-
ক) বিশ্বে গণতান্ত্রিক বকিাশে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে আসা
খ) রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে হলেও নিজেকে বিশ্ব-রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুুতে রাখা।
গ) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও ইসলামী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।
ঘ) অনুন্নত রাষ্ট্রগুলোতে অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখা।
ঙ) পূর্ব ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোতে সহায্য করা
চ) বিশ্বশান্তির জন্য যে কোন হুমকির বিরুদ্ধে মুখোমুখি হওয়া
ছ) চীনের সাথে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভারষাম্য রক্ষা করা।
৪) ৯/১১ এর পর মার্কিন পররাস্ট্রনীতি:- ২০০১ সালের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ছিরেন জর্জ ওয়াকার বুশ বা জর্জ বুশ । জর্জ বুশের পিতা ছিলেন নব্বইয়ের দশকে ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট। জর্জ বুশ তার পিতার আদর্শকেই গ্রহণ করেন বলে অনেকে ধারণা করেন। ২০০১ সালে ১১ ই সেম্পেম্বর যখন টুইন টাওয়ার ধংশ করা হয় তখন কে আক্রমন করেছে তা প্রমাণিত না করেই বুশ প্রুশাসন আফগানস্তানে আক্রমন করে। তখন যুক্তরাষ্ট্রে নীতি হয়ে দাড়ায় এরকম- আফগানস্তানে আক্রমন করা মানে হল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, ইসলামি মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। ৯/১১ এর পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিগুলো এরকম-
ক) সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকরা।
খ) সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য বাজেট বৃদ্ধি করা্
গ) যুক্তরাষ্ট্রেকে বিশ্বের রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা
ঘ) ইসরাইলের বিরুদ্ধে যেকোন হুমকিকে সামরিকভাবে হলেও মোকবেলা করা। (ইরাকের বিরুদ্ধে কোন অস্ত্র না থাকা সত্ত্বেও সাদ্দাম সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমন করাটা এটাই প্রমান করে)
ঙ) অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা । যেমন WTO, IMF, IBRD এর নীতি নির্ধারনীতে সক্রিয় থাকা।
বুশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে উগ্র বিকৃত মানসিকতার বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণ খুশি ছিল না। বারাক ওবামা তাই তার নির্বাচনে যে স্নোগান দিয়েছিল তাহল ‘ Change we need’ । বারাক ওবামা যতই স্লোগন দিক তার চিন্তা ধারা বুশ ডকট্রিন কে চাপা দিতে পারে নি। বারাক ওবামার পররাষ্ট্রনীতি বুশের নীতিই কিন্তু পার্থক্য হল বুশ ছিলেন আক্রমনাত্বক আর ওবামা হল আলাপ আলোচনা প্রথমত বিশ্বাসী। ইরান ইস্যতে ওবামা সাফল্য লাভ করেছে বলা যায়।