সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করতে চাচ্ছেন… জেনে নিন কিছু নিয়ম-কানুন
সম্পত্তি ক্রয়ের আগে অবশ্যই সেই সম্পত্তি সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিতে হবে। বিক্রেতা যদি ওয়ারিশানসূত্রে সম্পত্তির মালিক হন তাহলে তার পূর্ববর্তী মালিকদের ধারাবাহিক ও বংশানুক্রমিক একটি তালিকা তৈরি করা দরকার। খোঁজ নিয়ে জানতে হবে বর্তমান মালিকের আগে যদি কেউ এই সম্পত্তির মালিক থাকেন তবে এই সম্পত্তির উপর তার বৈধ স্বত্ব ছিল কিনা। যদি থাকে তাহলে সময় প্রবাহে তাদের মালিকানা স্বত্ব খর্ব করা হয়েছে কিনা তাও খোঁজ নিতে হবে। ওয়ারিশানসূত্রে প্রাপ্ত বিক্রেতার সম্পত্তির উপর অন্য কোন ওয়ারিশানের হক আছে কিনা এবং থাকলে ছাহাম বন্টন হয়েছে কিনা।
বিক্রেতা ক্রয়সূত্রে বিক্রয়কৃত সম্পত্তির মালিক হলে, সে যার নিকট হতে সম্পত্তি ক্রয় করেছে তাহার বৈধ মালিকানা-স্বত্ব ছিল কিনা এবং থাকলে সঠিক রেজিষ্ট্রি করে স্বত্বান্তর করা হয়েছে কিনা। বিক্রেতার মালিকানা-স্বত্ব সম্পর্কীয় চেক, পরচা, নকশা ইত্যাদি পরীক্ষার পর সম্পত্তিসম্পর্কীত ইতিপূর্বে সম্পাদিত দলিল দস্তাবেজ যাহাকে ‘বায়া দলিল’ বলে পরীক্ষা করতে হবে। ইতিপূর্বে দলিল দস্তাবেজ বলতে মূল দলিল, বন্টননামা, হেবা-নামা, সালিশী আদালতে হুকুমজারী, ট্রাস্ট দলিল, ওয়াকফনামা, স্বত্ব প্রত্যার্পণ সম্পর্কিত কোন দলিলাদি, উইলের প্রবেট ইত্যাদি বোঝায়। বিক্রেতার স্বত্বের প্রমাণ হিসাবে দেওয়ানী আদালতের রায়ের কপি নামজারীর সইমোহরী কপি, সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত কর বা খাজনার রসিদপত্র ইত্যাদি যাচাই করে দেখা উচিত।
আপনি যে সম্পত্তি ক্রয় করতে চাইছেন সেই সম্পত্তি বর্তমানে কার দখলে আছে। সম্পত্তি যদি অন্য কারও দখলে থাকে তাহলে তারা কেন,কতদিন ও কোন সূত্রে দখল করে আছে এং এতে বিক্রেতার স্বত্ব ক্ষুন্ন হয় কিনা তা যাচাই করতে হবে।
উপরোক্ত সব বিষয় ঠিকঠাক থাকলে আপনি যে সম্পত্তি ক্রয় করতে চাইছেন সেটি যে রেজিষ্ট্রেশন ও রাজস্ব দফতরের অধীন সেখানে গিয়ে এই সম্পত্তির কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হবে।
চলবে….