ভুল চিকিৎসায় ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু কতটা সত্য?

ভুল চিকিৎসায় ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাদের সহপাঠী মৃত্যুর কঠিন প্রতিশোধ নিয়েছে। হাসপাতালে ভাংচুর করেছে, তিনজন ডাক্তারকে মাইর দিয়েছে। তাদের শক্তি আছে। তাদেরকে অভিনন্দন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষতাদের ছাত্রী হত্যায় জড়িত হাসপাতাল এবং ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পুলিশ ডাক্তার ধরে নিয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষকে লাল সালাম।

সাংবাদিক ভাইয়েরা তাদের “নৈতিক” দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। “ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু” শিরোনামে অনলাইন, কাগজ এবং টিভি কাঁপিয়ে দিয়েছেন। তাদেরকে স্যালুট।

আমাদের তো কেউ নাই, কিছু নাই।
একটু ব্যাপারটা পরিষ্কার করি। যদিও জানি, ডাক্তারদের মনের কথা শোনার মতো মানুষ সংখ্যা বিলুপ্তির পথে। আমাদের কথা কে পড়বে? পড়লে কে বুঝবে?
তবুও বলা উচিত।

ঢাবি ছাত্রী আফিয়া ভর্তি হয়েছিল জ্বর নিয়ে। জগতে নানান জ্বর আছে। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, কালা জ্বর, ভাইরাল জ্বর, এমনি জ্বর, ভয়ে জ্বর, বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর।
জ্বরটা আসলে কেন এজন্য ডাক্তার বেশি না, মাত্র দুইটা টেস্ট দিলেন। CBC আর CRP।

সিবিসিতে কিছু তথ্য আসল।
রোগীর হিমোগ্লোবিন কম, ESR কম, শ্বেত রক্ত কণিকা (১,৩৭,০০০) স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫-১৭ গুণ বেশি, প্লেটলেট যার অভাবে অতিরিক্ত রক্তপাত হয় সেটা ১০ ভাগের একভাগ। (স্ক্রিনশটে প্রমাণ)

 

আফিয়ার সিবিসি রিপোর্ট এর স্ক্রিনশট
আফিয়ার সিবিসি রিপোর্ট

আরেকটা জিনিস রিপোর্টে আসল। Blast সেল ৯৯%।

উপরে যতগুলো কন্ডিশন আছে সবগুলো তথ্য একটাই কথা বলে।
রোগীর Acute myeloid Leukemia বা Acute mayeloblastic leukemia কিংবা ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে।

বিশ্বাস হয় না? মনে হচ্ছে ডাক্তার ভুলও তো করতে পারে?
ওকে, আপনি গুগলে ব্লাস্ট সেল ৯৯% লিখে সার্চ দিন। দেখুন গুগল কি বলে।

ব্লাস্ট সেল বা ইমম্যাচিউর সেল রক্তে সর্বোচ্চ ৫% থাকে। সেটা যখনই ২০% ক্রস করে বসে তখনই রোগী ক্যান্সারের দিকে চলে যায়। আর ৯৯% মানে হচ্ছে “আর কোন চান্স নাই” এর সর্বশেষ ধাপ। Blast সেলের সাথে জড়িত বলেই একে mayeloblastic বলা হয়। (স্ক্রিনশট প্রমাণ)

এএমএল স্ক্রিনশট
চিত্র :এমএল কি?

এবার বলুন ডাক্তার ক্যান্সারের চিকিৎসা করে কি ভুল করেছে?

“লেকিন কাটাপ্পা বাহুবলী কো কিউ মারা?”

রোগীর তো জ্বর ছিল, ক্যান্সার ছিল না। আর ডাক্তার নিজেই তো শেষে বলল রোগী ডেঙ্গুতে মারা গেছে!!!!!!!
ভাংচুর তো ডেঙ্গুর কারণেই হয়েছে।

 

মজার বিষয় হচ্ছে অনেকে জানেনই না ব্লাড ক্যান্সারে জ্বর হয়। ডেঙ্গুতেও জ্বর হয়। তাহলে সত্যিকার অর্থে কোনটা ছিল?

রোগীর জ্বর ছিল, হাড়ে ব্যথা ছিল এবং শরীরে Rash ছিল। তিনটাই ডেঙ্গুর লক্ষণ। তাহলে তো মিলে গেল!
রোগীর ডেঙ্গু হয়েছে, কেন ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হল?

এখানে আরেকটা মজা। স্ক্রিনশটগুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে আমেরিকান কাউন্সিল অব হেমাটোলিস্টদের ২০১৫ সালে দেয়া একটা রেফারেন্স। এখানে ইংরেজীতে জা বলা হয়েছে তার বাংলা অনুবাদ

“Acute myeloid leukemia বা ব্লাড ক্যান্সার এবং ডেঙ্গু জ্বর একই সাথে একই সময়ে হতে পারে। দুইটাতেই প্লাটলেট কমে যায়। একটা থেকে আরেকটা আলাদা করা খুব কঠিন।”

 

আমেরিকান কাউন্সিল অব হেমাটোলিস্টদের ২০১৫ সালে দেয়া একটা রেফারেন্স
আমেরিকান কাউন্সিল অব হেমাটোলিস্টদের ২০১৫ সালে দেয়া একটা রেফারেন্স

তাহলে উপায়?

উপায়টাও তারাই বলছেন।
“ডেঙ্গু জ্বর নিজে নিজে এমনিই কমে যাবে। ক্যান্সারের চিকিৎসা ডেঙ্গু জ্বরের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না।”

কেন ডাক্তাররা ডেঙ্গুর রোগীকে ক্যান্সারের চিকিৎসা দিল বোঝা গেছে?
কেন এক মুখে “ক্যান্সার- ডেঙ্গু” দুই কথা বলল এটা বুঝতে পারলেন এখন??

আরেকটা মজার বিষয় আছে।
যারা বলছেন কেন ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হলো না তাদের জন্য তথ্য….ডেঙ্গু জ্বরের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসাই নেই!
চিকিৎসা হচ্ছে জ্বর কমানোর জন্য সাধারণ ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথার ঔষধ, পানিশূন্যতার জন্য স্যালাইন এবং প্লাটলেট স্বাভাবিক করার জন্য প্লেটলেট বা রক্ত ট্রান্সফিউশন আর সবশেষে বেড রেস্ট। এই চিকিৎসা কিন্তু বাংলাদেশের ডাক্তাররা আবিষ্কার করেন নি।
আর যদি খুব খারাপ অবস্থা হয় তবে আইসিইউতে নিতে হবে। এই চিকিৎসা সরাসরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন বলে দিয়েছে। (এর প্রমাণও স্ক্রিনশটে)

ক্যান্সারের কারণে জ্বর ছিল। ব্যথা ছিল। নিশ্চয়ই ব্যথার ঔষধ আগেই দেয়া হয়েছে। সিরিয়াস রোগীকে নিশ্চয়ই স্যালাইন দেয়া হচ্ছিল। আর প্লেটলেটে ট্রান্সফিউশন তো ক্যান্সারের চিকিৎসাতেও করতে হতো।
অবস্থা খারাপ বলেই শেষে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে। দুনিয়ার সব আইসিইউ একই। ডেঙ্গুর আইসিইউ বলে আলাদা কিছু নেই।

এবার আসুন প্রাণের প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আপনারাই বলুন আপনাদের “ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা কি হয়েছে নাকি হয় নি?”

মজার আরো কিছু বিষয় বাকি আছে।
ক্যান্সারের চিকিৎসা করে রোগীকে মারার অভিযোগ করা হচ্ছে অথচ ক্যান্সারের তো কোন চিকিৎসাই হয় নি। ব্যথার ইনজেকশন, স্যালাইন, ট্যাবলেট দিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা হয় না। ক্যান্সারের কারণে যে সব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে (আন্ডারলায়িং কজ) সেগুলোর চিকিৎসা করা হয়েছে। ক্যান্সারের স্পেসিফিক ট্রিটমেন্ট রেডিওথেরাপী,কেমোথেরাপী, এবং অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন।
এসবরের কোনটা করা হয়েছে বা করার সময় পাওয়া গেছে?

ডাক্তার Rash দেখে ডেঙ্গু সাসপেক্ট করেছিলেন। একজন রোগীর দুইটা সমস্যা থাকতে পারে। লক্ষণের সাথে দুইটা না, পাঁচটা রোগের লক্ষণ মিলে যেতে পারে। সেগুলোও লিখতে হয়। মেডিকেলে যাকে D/D বা Differential diagnosis বা সম্ভাব্য সমস্যাসমগ্র বলা হয়।
এখানে হয়তো ডাক্তার ডেঙ্গু নাম উচ্চারণ করেছেন। ভালো মানুষি দেখাতে গিয়ে রোগীর কাউকে বলেছেন রোগীর ডেঙ্গুও হতে পারে। ব্যস…এটাই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করা হয়েছে।

আরেকটা বড় প্রশ্ন বাকি থাকে।
ডাক্তাররা তবে কি এমন করল যাতে রোগী এত তাড়াতাড়ি মরে গেল?

ডাক্তাররা কিছুই করে নি। AML এর রোগীরা এমনিতেই এক মাসের মধ্যেই মারা যেতে পারে। এই রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলতে গেলে কিছুই বাকি নেই। ভেতরে কোন একটা ইনফেকশনও আছে যার কারণে CRP ৬ এর জায়গায় ৯৬ হয়ে গেছে। এমন তো হতেই পারে যে রোগী এক মাস ধরে সমস্যা বহন করছে। আর ডাক্তাররাও তো প্রথমেই বলে দিয়েছেন রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ।


প্লেটলেট কম বলে এদের ব্লিডিং হয়। আর ব্লিডিং যে কেবল মুখ, নাক, কান দিয়ে হয় তা না, শরীরের ভেতরে ইন্টার্ণাল ব্লিডিংও হতে পারে।

উপরের প্রতিটা কথাই প্রমাণসহ বললাম। কোনটাই মনগড়া না, কোনটাতে প্রমাণ করতে ডাক্তার বা রোগীর আত্মীয়ের কোন বক্তব্য নেয়ার দরকার নেই। এমনকি স্ক্রিনশটগুলো বাংলাদেশের কোন রাইটারের লেখা থেকে নিই নি। তাহলে সন্দেহ করে বসতে পারেন।

তাহলে এবার বলুন “ডাক্তারের দোষ কি ছিল?”
সাংবাদিক ভাইয়েরা, এই প্রশ্নের জবাব আপনাদের দিতেই হবে। 🙂

স্ক্রিনশট আরো আছে। সবগুলো দেশের নিউজপোর্টালের শিরোনাম। প্রতিটা পত্রিকা নিউজ করেছে। অনলাইন পত্রিকা, জাতীয় পত্রিকা কোনটাই বাকি নেই। সংখ্যাটা এত বেশি যে সবকটার স্ক্রিনশট নিলাম না।

একমাত্র বিডিনিউজ “ভুল চিকিৎসার অভিযোগ” বলেছে।এছাড়া প্রতিটা পত্রিকা সরাসরি বলছে “ভুল চিকিৎসায় ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু”।

মজার বিষয় হলো কয়েকটাতে লেখা “ভর্তি জ্বর নিয়ে, চিকিৎসা ক্যান্সারের!!!!””
আরেকটা লিখেছে “জড়ের রোগীকে ক্যান্সারের চিকিৎসা!”
(স্ক্রিনশট)

সিরিয়াসলি! এরা জ্বর বানানটাও জানে না!!

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আপনাদের এসব লেখা পড়ে আমরা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ি জানেন?
ক্যান্সারের রোগীর তো জ্বর থাকবেই। ক্যান্সার আর জ্বর আলাদা নহে হে মহান সাংবাদিকগণ। জ্বর কোন রোগ না, জ্বর অসংখ্য রোগের সাইন বা লক্ষণ। তার উপর জ্বর বানানটাই যদি না লিখতে পারেন তাহলে কিভাবে সাংবাদিকতা করবেন?

আরেকটা ব্যাপার।
কোনটা ভুল চিকিৎসা আর কোনটা শুদ্ধ চিকিৎসা এটা ডিসাইড করার আপনারা কে? কে আপনাদের অনুমতি দিয়েছে যে সরাসরি “ভুল চিকিৎসা” লিখবেন?
অন্তত আজকের ঘটনার পর কি আপনাদের কোন শিক্ষা হবে? নাকি শিক্ষার উপর আপনাদের সকল কোর্স সমাপ্ত করা?

আমাদের প্রচুর সমস্যা আছে। অনেক অব্যবস্থাপনা আছে। সে দিকে দৃষ্টি দিন। অনেক অসাধু ডাক্তার আছে। তাদের খোঁজ নিন। তাদেরকে ধরানোর ব্যবস্থা কর আপনাদেরকে আমরাই স্যালুট দেব। দয়া করে এসব ছ্যাঁছড়ামি বাদ দিন। অসাধু আর ভুল চিকিৎসার মধ্যে পার্থক্য আছে।
“ভুল চিকিৎসা” নামের কমেডি বেশি হয়ে যাচ্ছে।

শেষ করার আগে প্রথম দিকে ফিরে যাই।

ঢাবির শক্তিমান ভাইয়েরে ডাক্তাদেরকে মেরেছেন। উনারা উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। উনাদের কাছে ডাক্তাররা নিশ্চয়ই নিম্নশ্রেণীর মানুষ।
ডাক্তারদের গায়ে একজন ঢাবি শিক্ষার্থী হাত দেয়ার অধিকার না রাখলেও ক্ষমতা রাখে। নিরপরাধ ডাক্তারদের মারার কারণে দুঃখ আছে তবে ঢাবিয়ান শক্তিমান ভাইদের বলার মতো ক্ষমতা আমার নিশ্চয়ই নেই।

কেবল কিছু প্রশ্ন।
ভাই হাসপাতাল কি দোষ করেছিল?
হাসপাতালে আরো অনেক রোগী ছিল। আপনাদের ভাংচুরে কি তারা আতংকিত হয়ে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে না? হাসপাতালে কাচ,চেয়ার টেবিল ভাংচুর করলে ডাক্তারের এক পয়সার ক্ষতি হবে? ভাংচুর করলেই সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে?
গাড়ি ভাঙা আর হাসপাতাল ভাঙ্গার মধ্যে পার্থক্য আছে। এখানে একজন ডাক্তারের উপর রাগ করে আপনারা হাজারটা অসুস্থ মানুষকে কষ্ট দিতে পারেন না।
হাসপাতালে আমার বাপের না, আপনার বাপের না, ডাক্তারেরও বাপের না। এমনকি একটা প্রাইভেট হাসপাতালের পুরো অধিকার তার মালিকের না। হাসপাতাল রোগীদের, অসুস্থ মানুষদের, কষ্টে চিৎকার করা স্বজনদের। এখানে অন্তত বিপ্লব চলে না।

আপনারা আগেও ঢাকা মেডিকেলে ভাংচুর করেছেন। কেন করেছেন সেটা না হয় নাই বললাম।
তবে একটা বিষয় কতটা জানেন কিনা জানি না, যুদ্ধাবস্থাতেও শত্রুপক্ষের হাসপাতালে হামলা করা হয় না। হাসপাতালকে হামলার উর্ধ্বে রাখা হয়। হরতালে এম্বুলেন্স ছেড়ে দেয়া হয়। কখনো এম্বুলেন্সে আগুন বা ধরানো বা অ্যাম্বুলেন্স ভাঙার খবর আমি জানি না। আপনারা জ্ঞানী মানুষজন। সহপাঠীর শোক আপনাদের হাতে লাঠি তুলে দিতে পারে। সহপাঠিকে দাফনের আগেই আপনারা একদফা মারামারি করে নিতে পারেন। সহপাঠীর শোককে শক্তিতে পরিণত করে নিরপরাধ ডাক্তারদের মার দেয়া দেখে নিশ্চয়ই আপনাদের প্রিয় বান্ধবীর আত্মা শান্তি পাচ্ছে।

আপনাদেরকে সম্মান করি। ঢাকা ভার্সিটির শিক্ষার্থী হিসেবে যে আলাদা মর্যাদা আপনাদের প্রাপ্য সেটা কতটুকু ধরে রাখতে পারবেন সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ,
আপনাদেরই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যে ব্যক্তিকে “ইউজেসি” পুরষ্কার দিয়েছিল তাঁকেই আপনারা হত্যা মামলার এক নাম্বার আসামী করে দিলেন!
ছাত্রদের প্রতি নিশ্চয়ই আপনাদের সীমাহীন দরদ। এই দরদে আপনারা একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলাতেই পারেন।
প্রফেসর ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ নামক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ডাক্তার এবং পিজির মেডিসিনের ডীন মাত্র ৩০০ টাকা দিয়ে রোগী দেখেন। পিজিতে রোগী দেখেন ফ্রিতে। এতবড় একজন মানুষ বিনা রেফারেন্সে রোগীর চিকিৎসা করেন।

এই লোকটা ফাঁসিতে ঝুলানোর দরকার। সে কেন হাজারটা ডাক্তার বানাবে। কেন ১৫০০ টাকার বদলে ৩০০ টাকায় রোগী দেখবে? কেন পিজিতে রেফারেন্সবিহীন ফ্রি রোগী দেখবে?

পাইছেটা কি লোকটা?
প্রিয় ঢাবি, ফাঁসিতে ঝুলানোর জন্য এরচেয়ে উত্তম মানুষ আর কই পাবেন? দ্রুত একটা বড় আন্দোলন করে এই কসাইকে ঝুলানোর ব্যবস্থা কর

আর প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আপনাদেরকে বলার কিছুই নেই। আপনাদের পারফর্মেন্স সবসময়ই ঠিক ছিল।

একটাই প্রশ্ন।
“কাটাপ্পা বাহুবলী কো কিউ মারা” এর বাংলা কি?
“ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু” নাকি “ডেঙ্গুর রোগীকে ক্যান্সারের
চিকিৎসা”

– জয়নাল আবেদিন, 

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ।

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline