রক্তের গতিপথ:
প্রথমে সারা দেহ থেকে অক্সিজেন কম থাকার রক্ত মহাধমনী দিয়ে ডান অলিন্দে প্রবেশ করে, এরপর ডান নিলয়ে যায়, এরপর পালমোনারী বা ফুসফুসীয় ধমনী দিয়ে ফুসফুসে যায়, সেখানে রক্তে অক্সিজেন যুক্ত হয়।
এরপর অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত ফুসফুস থেকে পালমোনারী বা ফুসফুসীয় শিরা দিয়ে বাম অলিন্দে প্রবেশ করে, পরে বাম নিলয়ে যায়, এরপর মহাধমনী দিয়ে সারা দেহে যায় ও কৈশিক জালিকায় গিয়ে শেষ হয়।
(অলিন্দের সাথে যুক্ত রক্তনালিকা শিরা, আর নিলয়ের সাথে সংযুক্ত রক্তনালিকা ধমনী)
হৃদস্পন্দনের হার প্রতি মিনিটে ৭০-৮০ বার বা গড়ে ৭৫ বার, এভাবে হিসেবে করলে প্রতিটি হৃদস্পন্দনের স্থায়িত্ব ০.৮ সেকেন্ড।
কার্ডিয়াক চক্র:
অলিন্দের ডায়াস্টোল = ০.৭ সেকেন্ড
অলিন্দের সিস্টোল = ০.১ সেকেন্ড
নিলয়ের সিস্টোল = ০.৩ সেকেন্ড
নিলয়ের ডায়াস্টোল = ০.৫ সেকেন্ড
ধমনী হচ্ছে নিলয় হতে সৃষ্ট এবং কৈশিক জালিকায় গিয়ে শেষ হওয়া রক্ত নালিকা যেটি অধিকাংশ সময় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত বহন করে, (পালমোনারী ধমনী ব্যতিক্রম)।অন্য দিকে শিরা কৈশিক জালিকা থেকে সৃষ্টি হয়ে অলিন্দে এসে যুক্ত হয় যেটি বেশির ভাগ অক্সিজেন কম থাকা রক্ত বহন করে, (পালমোনারী শিরা ব্যতিক্রম)।
ধমনী প্রাচীর তিন স্তর বিশিষ্ট, যথা:
টিউনিকা এক্সটার্না – বাইরের স্তর – যোজক কলায় গঠিত
টিউনিকা মিডিয়া – মাঝের স্তর – পেশীতন্তু নির্মিত
টিউনিকা ইন্টিমা – ভেতরের স্তর – এন্ডোথেলিয়ালে গঠিত
শিরার প্রাচীর সংখ্যাও ৩, কিন্তু তা স্থিতিস্থাপক নয়।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।