৬-আর্থ্রোপোডা (Arthropoda)
স্বভাব ও বাসস্থান : এই পর্বটি প্রাণিজগতের সবচেয়ে বৃহত্তম পর্ব। এরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বাসকরতে সক্ষম। এদের বহু প্রজাতি অন্তঃ ও বহিঃ পরজীবী হিসেবে বাস করে। বহু প্রাণী স্থলে, স্বাদু পানি ও সমুদ্রে(চিত্র ১.৫ : কেঁচো, জোঁক) বাস করে। এ পর্বের অনেক প্রজাতির প্রাণী ডানার সাহায্যে উড়তে পারে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
(১) দেহ খন্ডায়িত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
(২) মাথায় একজোড়া পুজ্ঞাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে।
(৩) নরম দেহ শক্ত কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত।
(৪) এদের দেহের রক্তপূর্ণ গহ্বর হিমোসিল নামে পরিচিত।
উদাহরণ : প্রজাপতি, চিংড়ি, আরশোলা, কাঁকড়া।
৭-মলাস্কা (Mollusca)
স্বভাব ও বাসস্থান : এ পর্বের প্রাণীদের গঠন, বাসস্থান ও স্বভাব বৈচিত্র্যপূর্ণ। এরা পৃথিবীর প্রায় সকল পরিবেশে বাসকরে। এরা সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন স্তরে বাস করে। কিছু কিছু প্রজাতি পাহাড় অঞ্চলে, বনেজঙ্গলে ও স্বাদুপানিতে বাস করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
(১) এদের দেহ নরম। নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে।
(২) পেশিবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে।
(৩) ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বসনকার্য চালায়।
উদাহরণ : শামুক ও ঝিনুক।
৮-একাইনোডারমাটা(Echinodermata)
স্বভাব ও বাসস্থান : এ পর্বের সকল প্রাণী সামুদ্রিক। এদের স্থলে বা মিঠা পানিতে পাওয়া যায় না। এরা অধিকাংশমুক্তজীবী।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
(১) এদের দেহত্বক কাঁটাযুক্ত।
(২) দেহ পাঁচটি সমান ভাগে বিভক্ত।
(৩) এদের পানি সংবহনতন্ত্র থাকে এবং নালী পদের সাহায্যে চলাচল করে।
(৪) পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে মাথা, অঙ্কীয় ও পৃষ্ঠদেশ নির্ণয় করা যায় না।
উদাহরণ : তারামাছ, সমুদ্র শশা।
নতুন শব্দ : সিলোম, সিলেন্টেরন, হিমোসিল, সিটা, পানি সংবহনতন্ত্র, শিখাকোষ।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।