৩-প্লাটিহেলমিনথিস (Platyhelminthes)
স্বভাব ও বাসস্থান : এ পর্বের প্রাণীগুলোর জীবনযাত্রা বেশ বৈচিত্র্যময়। এ পর্বের বহু প্রজাতি বহিঃপরজীবী বাঅন্তঃপরজীবী হিসেবে অন্য জীবদেহের বাইরে বা ভিতরে বসবাস করে। তবে কিছু প্রজাতি মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদুপানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে। এই পর্বের কোনো কোনো প্রাণী ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে মাটিতেবাস করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
(১) এদের দেহ চ্যাপ্টা, এরা উভলিঙ্গ ও অন্তঃপরজীবী।
(২) দেহ কিউটিকেল দ্বারা আবৃত।
(৩) দেহে চোষক ও আংটা থাকে।
(৪) দেহে শিখা কোষ নামে বিশেষ কোষ থাকে, এগুলো রেচন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে।
(৫)পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ণ।
উদাহরণ : ফিতাকৃমি, যকৃত কৃমি।
৪-নেমাটোডা (Nematoda) : অনেকে একে নেমাথেলমিনথিস বলে।
স্বভাব ও বাসস্থান : এই পর্বের অনেক প্রাণী অন্তঃপরজীবী হিসেবে প্রাণীর অন্ত্র ও রক্তে বসবাস করে। আবার এ পর্বেরঅনেক প্রাণীই মুক্তজীবী। এরা পানি ও মাটিতে বাস করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
(১) দেহ নলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত।
(২) পৌষ্টিক নালি সম্পূর্ণ, মুখ ও পায়ু ছিদ্র উপস্থিত।
(৩) শ্বসনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত।
(৪) সাধারণত একলিঙ্গ।
(৫) দেহ গহ্বর অনাবৃত ও প্রকৃত সিলোম নাই।
উদাহরণ : কেঁচো কৃমি, ফাইলেরিয়া কৃমি।
গুরুত্ব : এই পর্বের অধিকাংশ প্রাণী পরজীবী হিসেবে বিভিন্ন প্রাণী
ও মানবদেহে বাস করে নানারকম ক্ষতি সাধন করে।
৫-অ্যানেলিডা (Annelida)
স্বভাব ও বাসস্থান : পৃথিবীর প্রায় সকল নাতিশীতোষ্ণ ও উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে এ পর্বের প্রাণীদের পাওয়া যায়। এদেরবহু প্রজাতি স্বাদু পানিতে এবং বহু প্রজাতি সমুদ্রে বাস করে। এই পর্বের বহু প্রাণী স্যাঁতসেঁতে মাটিতে বসবাস করে।কিছু প্রজাতি পাথর ও মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বসবাস করে।
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
(১) এদের দেহ নলাকার ও খণ্ডায়িত।
(২) নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
(৩) প্রতিটি খন্ডে সিটা থাকে। সিটা চলাচলে সহায়তা করে।
উদাহরণ : কেঁচো ও জোঁক।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।