ব্যাকটেরিয়া
প্রোক্যারিওটা সুপার কিংডমের সবাই আদিকোষী, এদের নিউক্লিয়াস, মাইটোকন্ড্রিয়া, গলগি বডি, ইত্যাদি নেই, যেটি ইউক্যারিওটা সুপার কিংডমে রয়েছে।
১৬৭৫ সালে লিউয়েনহুক প্রথম ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। (যিনি মাইক্রোস্কোপ-এর অনেক উন্নতি সাধন করেন। ওটা দিয়ে দেখতে গিয়েই আবিষ্কার করেন।)
এরা দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সংখ্যাবৃদ্ধি করে। তবে কিছু কিছু প্রজাতি এন্ডোস্পোর তৈরি করে যেটি প্রতিকূল পরিবেশে বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক।
ব্যাকটেরিয়ার প্রায় দু’হাজার প্রজাতি আবিষ্কৃত।
ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বাইরে ক্যাপসুল রয়েছে যেটি পলিস্যাকারাইড বা পলিপেপটাইড দিয়ে গঠিত।
ব্যাকটেরিয়ায় সুগঠিত ক্রোমোসোম নেই।
ব্যাকটেরিয়ার অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ
ব্যাকটেরিয়া সাধারনত ক্ষতিকর জীব হিসেবে পরিচিত হলেও এরা মানুষ ও পরিবেশের অনেক উপকারে আসে।
উপকারিতাঃ
1. ব্যাকটেরিয়া আবর্জনা পচিয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
2. পাটের আশ , চামড়া থেকে লোম ছড়াতে, এলকোহল উতপাদনে ব্যাকটেরিয়া বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
3. বিভিন্ন টিকা প্রতিশেধক উপাদনে ব্যাকটেরিয়ার প্রয়োজন হয়।
4. সাবটিলিন, পলিমিক্সিন প্রভৃতি আন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থেকে উতপন্ন হয়।
অপকারিতাঃ
1. মানুষের অধিকাংশ রোগ যেমন কলেরা, টাইপয়েড, যক্ষা, নিউমেনিয়া,ডিপথেরিয়া ইত্যাদি রোগ ব্যাকটেরিয়া থেকে হয়।
2. গৃহ পালিত পশুর বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে।
3. ফল শাক সবজি, মাছ ইত্যাদিতে পচন ধরায়।
4. মাটিতে আবদ্ধ নাইট্রোজেনকে মুক্ত করে মাটির উর্বরতা হ্রাস করে।
প্রতিটি লেকচারে নতুন নতুন লিখা যুক্ত হচ্ছে, তাই কাঙ্খিত কোন লিখা না পেলে দয়া করে কিছুদিন পর আবার ভিজিট করে দেখবেন।
লিখাতে কিংবা লেকচারে কোন ভুলত্রুটি থাকলে অথবা আপনার কাঙ্খিত লিখা খুঁজে না পেলেইশিখন.কম এর ফ্যানপেইজ অথবা নিচে কমেন্ট কর