সেরেব্রাম মস্তিষ্কের খুব গুরুত্বুপূর্ণ অংশ। এর কাজ:
চিন্তা, বুদ্ধি, ইচ্ছাশক্তি, উদ্ভাবনীশক্তি প্রভৃতি উন্নত মানসিক বোধের নিয়ন্ত্রণ
সংবেদী অঙ্গ থেকে আসা অনুভূতি গ্রহণ এবং বিশ্লেষণ
বিভিন্ন সহজাত প্রবৃত্তির নিয়ন্ত্রক
বাকশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ
দেহের সব ঐচ্ছিক পেশীর কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ
থ্যালামাস-এর কাজ:
সংজ্ঞাবহ স্নায়ুর রিলে স্টেশন বা মধ্যবর্তী স্টেশন হিসেবে কাজ করে (স্নায়ু আবেগ ; থ্যালামাস ; সেরেব্রাম)
চাপ, স্পর্শ, যন্ত্রণা প্রভৃতি স্থূল অনুভূতির কেন্দ্র, আবেগের কেন্দ্র ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গের নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে
হাইপোথ্যালামাস দেহতাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
পূর্ণবয়স্ক মানুষে সেরেবেলামের গড় ওজন ১৫০ গ্রাম। এটি দেহের ভারসাম্য রক্ষায়, ঐচ্ছিক চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখে থাকে। (সেরেব্রাম ও সেরেবেলাম শব্দ দু’টি কাছাকাছি, সেরেব্রাম লেখতে ছোট কিন্তু কাজে বড়, এভাবে মনে রাখা যেতে পারে)
পন্স স্বাভাবিক শ্বাসক্রিয়ার হার নিয়ন্ত্রণ করে।
মেডুলা অবলংগাটা শ্বসন, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। এটি চর্বন, লালাক্ষরণ, গলাধঃকরণ, পরিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।
মস্তিষ্ক থেকে সৃষ্ট স্নায়ুকে করোটিক স্নায়ু বলে। মানুষে এদের সংখ্যা ১২ জোড়া। তিন প্রকার স্নায়ু কোষ রয়েছে:
সংজ্ঞাবহ বা সংবেদী বা সেন্সরি স্নায়ু = যেটি দেহের বাইরে থেকে পাওয়া স্নায়ু উদ্দীপনা (আলো, তাপ ইত্যাদি) মস্তিষ্কে নিয়ে যায়।
চেষ্টীয় বা মোটর স্নায়ু = যেটি স্নায়ু উদ্দীপনাকে মস্তিষ্ক থেকে দেহপ্রান্তের পেশীতে (হাত, পা ইত্যাদি) নিয়ে যায়।
মিশ্র স্নায়ু = যেটি বাইরে থেকে পাওয়া স্নায়ু উদ্দীপনা মস্তিষ্কে সংবেদী স্নায়ুর মত নিতেও পারে আবার মস্তিষ্ক থেকে স্নায়ু উদ্দীপনা চেষ্টীয় স্নায়ুর মত দেহের প্রান্তীয় অংশে নিয়ে যায়, অর্থাৎ উভয় স্নায়ুর গুণসম্পন্ন।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।