টেলিভিশনে প্রতি সেকেন্ডে ৩০ টি চিত্র প্রেরণ করা হয়।
রেডিওতে শব্দ তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ হিসেবে প্রেরণ করা হয়।
সর্বাপেক্ষা ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণ হচ্ছে গামা রশ্নি।
ডিজিটাল ঘড়ি বা ক্যালকুলটরে কালো অনুজ্জ্বল যে লেখা ফুটে ওঠে তা সিলিকন চিপের ভিত্তিতে।
রঙিন টেলিভিশন হতে ক্ষতিকর গামা রশ্মি বের হয়।
আলট্রাসনোগ্রাফী হলো ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের শব্দের দ্বারা ইমেজিং।
টেলিফোন লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তড়িৎ শক্তি।
ট্রানজিস্টরে সেমিকন্ডাষ্টর হিসেবে ব্যাবহৃতহয় জার্মেনিয়াম।
তড়িৎ-পরিবাহী [Conductor]:- যে সব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহিত করলে তা তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম হয়, তাদের তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থ বলে । যেমন; সোনা, রুপো, তামা, প্রভৃতি ধাতু, গ্রাফাইট, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণ ইত্যাদি । তড়িৎ-পরিবহনে সক্ষম এমন পদার্থগুলিকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ; [i] ধাতব পরিবাহী [ii] তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ ।
[i] ধাতব পরিবাহী:- যে সব পদার্থ তড়িৎ পরিবহন করে কিন্তু তড়িৎ পরিবহন করলে শুধু উষ্ণতার পরিবর্তন ঘটে কিন্তু কোনো স্থায়ী রাসায়নিক পরিবর্তন হয় না, সেই পদার্থগুলিকে ধাতব পরিবাহী বলে । যেমন— Cu, Fe, Ag ইত্যাদি ধাতু । গ্রাফাইট এবং গ্যাস কার্বন অধাতু হলেও তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম । এই জাতীয় পরিবাহীর মধ্য দিয়ে তড়িৎ-প্রবাহের সময় ইলেকট্রন কণা তড়িৎ পরিবহন করে ।
[ii] তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ:- যেসব পদার্থ গলিত অবস্থায় বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের সময় যেসব পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট নতুন পদার্থ উত্পন্ন করে, সেই সব পদার্থকে তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থ বলে । অ্যাসিড, ক্ষার, লবণ জাতীয় পদার্থগুলি হল এই শ্রেণির পরিবাহী । H2SO4, HCl, NaOH, NaCl প্রভৃতি এই জাতীয় পদার্থগুলি আয়নে বিশ্লিষ্ট হয়ে তড়িৎ পরিবহন করে ।
তড়িৎ-অপরিবাহী বা অন্তরক [Non-Conductor] :- যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজে তড়িৎপ্রবাহ হয় না, সেগুলিকে অন্তরক পদার্থ বলে । যেমন— কাঠ, রবার, কাচ, পলিথিন ইত্যাদি ।
কস্টিক সোডার জলীয় দ্রবণ, গলিত সোডিয়াম ক্লোরাইড —হল তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ ।
তড়িৎ -এর পরিবাহী এমন দুটি অধাতুর নাম হল গ্রাফাইট এবং গ্যাস কার্বন ।
দুটি তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থের নাম হল তামা ও অ্যালুমিনিয়াম ।
দুটি তড়িৎ-অপরিবাহী পদার্থের নাম হল রবার ও শুকনো কাঠ ।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।