
অস্তি-নেতিবাচক (বিবৃতিমূলক) বাক্যকে প্রশ্নবাচক বাক্যে রূপান্তরঃ
বিবৃতিমূলক বাক্যে প্রশ্নসূচক অব্যয় যুক্ত করে সেগুলোকে বিপরীত বাক্যে (অস্তি হলে নেতি এবং নেতি হলে অস্তিবাচকে) সরাসরি রূপান্তর করলেই বাক্য রূপান্তর সম্পন্ন হয়। যেমন-
বিবৃতি : তুমি কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে।
প্রশ্নসূচক অব্যয় যুক্ত করে : তুমি কি কালকে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলে?
প্রশ্ন : তুমি কি কালকে স্কুলে উপস্থিত ছিলে?/ তুমি কি কালকে স্কুলে এসেছিলে?
বিবৃতি : তুমি ছবিটা দেখোনি।
প্রশ্নসূচক অব্যয় যুক্ত করে : তুমি কি ছবিটা দেখোনি?
প্রশ্ন : তুমি কি ছবিটা দেখেছো?
নেতিবাচক থেকে প্রশ্নবাচক বাক্যে রূপান্তরঃ
নেতি : তাদের গ্রামে ফিরিয়া আসা চলে না।
প্রশ্ন : তাদের গ্রামে ফিরিয়া আসা চলে কি?
নেতি : এ খবর আমরা কেহই জানিতাম না।
প্রশ্ন : এ খবর আমাদের কেহই কি জানিত?
নেতি : মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে না।
প্রশ্ন : মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে কি?
নেতি : সরস্বতী বর দেবেন না।
প্রশ্ন : সরস্বতী বর দেবেন কি?
নেতি : তাদের সে জ্বালা নাই।
প্রশ্ন : তাদের সে জ্বালা আছে কি?
নেতি : তাহার ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাস কখনো শুনি নাই।
প্রশ্ন : তাহার ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাস কখনো শুনিয়াছি কি?
নেতি : একথা কোনো বাপ ভদ্রসমাজে কবুল করিতে চাহিত না।
প্রশ্ন : একথা কোনো বাপ ভদ্রসমাজে কবুল করিতে চাহিত কি?
নেতি : অনেকদিন মৃত্যুঞ্জয়ের দেখা নাই।
প্রশ্ন : অনেকদিন মৃত্যুঞ্জয়ের কোনো দেখা আছে কি?
প্রশ্নবাচক থেকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তরঃ
প্রশ্ন : তেমন সব ভদ্রলোকই বা কী সুখে গ্রাম ছাড়িয়া পলায়ন করেন?
অস্তি : তেমন সব ভদ্রলোকই বা কী সুখে গ্রাম ছাড়িয়া পলায়ন করেন জানিতে চাই।
প্রশ্ন : কামস্কাটকার রাজধানীর নাম কি?
অস্তি : কামস্কাটকার রাজধানীর নাম কী তা জানতে চাই।
প্রশ্ন : একলা যেতে ভয় করবে না তো?
অস্তি : একলা যেতে ভয় করবে কি না জানতে চাই।
গ) প্রশ্নবাচক থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর
প্রশ্ন : পুলিশের লোক জানিবে কী করিয়া?
নেতি : পুলিশের লোক জানিবে না।
প্রশ্ন : তাহারা কি পাষাণ?
নেতি : তাহারা পাষাণ নয়।
প্রশ্ন : এতে দোষ কী?
নেতি : এতে দোষ নেই।
প্রশ্ন : তিনি স্বেচ্ছায় যখন সহমরণে যাইতে চাহিতেছেন, তখন সরকারের কী? তাঁর যে আর তিলার্ধ বাঁচিতে সাধ নাই, এ কি তাহারা বুঝিবে না? তাহাদের ঘরে কি স্ত্রী নাই? তাহারা কি পাষাণ?
নেতি : তিনি স্বেচ্ছায় যখন সহমরণে যাইতে চাহিতেছেন, তখন সরকারের তো কিছু না। তাঁর যে আর তিলার্ধ বাঁচিতে সাধ নাই, এ তাহারা বুঝিবে। তাহাদের ঘরেও তো স্ত্রী আছে। তাহারা তো পাষাণ নয়।
বিস্ময়সূচক বাক্য : যে বাক্যে আশ্চর্য হওয়ার অনুভূতি প্রকাশিত হয়, তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য বলে। যেমন-
সে কী ভীষণ ব্যাপার!
ইচ্ছাসূচক বাক্য : যে বাক্যে শুভেচ্ছা, প্রার্থণা, আশীর্বাদ, আকাঙক্ষা প্রকাশ করা হয়, তাকে ইচ্ছাসূচক বাক্য বলে। যেমন-
তোমার মঙ্গল হোক। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করচন। ভালো থেকো।
আদেশ বাচক বাক্য : যে বাক্যে আদেশ করা হয়, তাকে আদেশ সূচক বাক্য বলে। যেমন-
বের হয়ে যাও। ওখানে বসো। জানালা লাগাও। সবসময় দেশের কথা মাথায় রেখে কাজ করবে।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।