২.সেমিকোলন-চিহ্ন ( ; )
সেমিকোলন বা অর্ধচ্ছেদ হচ্ছে বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত এক ধরণের বাক্যান্তগত চিহ্ন। মনোভাব প্রকাশের বেলায় একটা ভাব একটিমাত্র বাক্যে শেষ হয়ে সন্নিহিত ভাবের নতুন বাক্য শুরু করতে চাইলে একটু বেশি থামতে হয়। সেমিকোলন বিরামের অনুপাত কমার (,) দ্বিগুণ।

*একাধিক স্বাধীন বাক্যকে একটি বাক্যে লিখলে সেগুলোর মাঝখানে সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন- তিনি শুধু তামাশা দেখিতেছিলেন; কোথাকার জল কোথায় গিয়া পড়ে।
*দুটি বা তিনটি বাক্য সংযোজক অব্যয়ের সাহায্যে যুক্ত না হলে সেমিকোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন – আগে পাঠ্য বই পড়; পরে  গল্প-উপন্যাস ।
*সেজন্যে , তবু তথাপি , সুতরাং ইত্যাদি যে-সব অব্যয় বৈপরীত্য বা অনুমান প্রকাশ করে তাদের আগে বা দুটি সন্নিহিত হলে সেমিকোলন বসে। যেমন – সে ফেল করেছে; সেজন্য সে মুখ দেখায় না। মনোযোগ দিয়ে পড়; তাহলেই পাশ করবে।
৩.দাঁড়ি-
বাক্য সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেলে দাঁড়ি বসে। বাক্যের সমাপ্তি এবং নতুন বাক্যের সূচনা নির্দেশ করে দাঁড়ি। দীর্ঘতম বিরামের প্রতিরুপ হয় দাঁড়ি। যেখানে একটি পূর্ণবাক্য বা প্রসঙ্গ শেষ হয় সেখানে দাঁড়ি বসে। দাঁড়ি চিহ্নের বিরামের (থামার) সময়  ১ সেকেন্ড।
৪.প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?)
*বাক্যের মধ্যে সোজাসুজি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যেমন- তোমার নাম কী ? তুমি সেখানে যাবে ?
*সন্দেহ বোঝাতে বাক্যের মধ্যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে। যেমন- এটা তোমার বই? ঠিক তো ?
৫.বিস্ময়চিহ্ন (!)
*অবাক বা বিস্ময়ের বিষয় বোঝাতে প্রধানত বাক্যের শেষে
বসে। যেমন – অবাক কান্ড ! ‍ঠিক আধ মিনিট আগে পকেটে টাকা ছিল, এখন নেই । অবিশ্বাস্য হাতসাফাই !
*আবেদন , ভর্তি, হতাশা, আনন্দ ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের ক্ষেত্রেও বিস্ময়চিহ্ন বসে ।
*কোন বাক্যে বন্ধনীর মধ্যে , প্রয়োজন হলে বিস্ময় চিহ্ন বসে।

এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline