বিরাম চিহ্ন এর সংজ্ঞা:
বাক্যের বিভিন্ন ভাব সার্থকভাবে প্রকাশের জন্যে কণ্ঠস্বরের ভঙ্গির তারতম্য বোঝাতে বর্ণের অতিরিক্ত যে-সব চিহ্ন ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে বলে বিরাম (Punctuation) চিহ্ন।

১.কমা-
বাংলায় কোনো কিছু লিখতে গিয়ে যত ধরণের বিরাম চিহ্ন আমারা ব্যবহার করি তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি কমা (,) । অর্থাৎ বাক্যটি যদি বড়ো হয় তা হলে দম নেয়ার জন্যে থামার দরকার পড়তে পারে, বক্তব্য একাধিক হলে স্পষ্টতা আনার জন্য থেমে-থেমে পড়তে হতে পারে , সর্বোপরি অল্পক্ষণ বিরামের জন্যে কমার ব্যবহার হয় । এখানে ‘এক’ উচ্চারণ করার সমান সময় থামতে হয় ।
*বাক্যে একই পদের একাধিক শব্দ পাশাপাশি ব্যবহৃত হলে তাদের মধ্যবর্তী একটি বা একাধিক কমা ব্যবহার করে এক জাতীয় পদকে পৃথক করা হয়। কমা বসে দুই বা ততোধিক পদ, পদগুচ্ছ বা বাক্যাংশে । যেমন –
বিশেষ্য পদ : সালাম, বরকত, রফিক , জব্বার।
সর্বনাম পদ : সে, তুমি , আমি : আমরা ।
ক্রিয়া পদ : এলাম, দেখলাম , জয় করলাম (সিজার জুলিয়াস)
*এক জাতীয় একাধিক বাক্য বা বাক্যাংশ পাশাপাশি ব্যবহৃত হলে কমা প্রয়োগে তাদের আলাদা করতে হয়।
যেমন – সে ক্লাসে ঢুকল, বই নিল, ব্যাগে রাখল, তারপর বেরিয়ে গেল।
*সম্বোধনের পর কমা বসে । যেমন – ছাত্ররা, মনোযোগ দিয়ে শোন।
*নামের শেষে ডিগ্রি থাকলে কমা বসে। যেমন- ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, এম.এ , পিএইচ.ডি।
*উদ্ধৃতিচিহ্নের আগে কমা বসে । যেমন – ভিটগেনস্টেইন (বারট্রেন্ড রাসেল এর শিষ্য) মৃত্যুর আগে বলেছিলেন, “আমি এক অসাধারণ জীবন-যাপন করেছি।”

এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline