চৈতন্যদেব ও জীবনী সাহিত্য –
শ্রীচৈতন্যদেব ছিলেন বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক। শ্রীচৈতন্যদেব ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে ১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবারে নব্দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে পুরীতে মারা যান। চৈতন্যের বাল্য নাম ছিল নিমাই,দেহবর্ণের জন্য নাম হয় গোরা বা গৌরাঙ্গ,
প্রকৃত নাম ছিল বিশ্বম্ভর,সন্ন্যাস গ্রহণের পর শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, সংক্ষেপে ‘চৈতন্য’ নামে পরিচিত হন। কারো জীবন নিয়ে যে সাহিত্য রচিত হয় তাকে জীবনী সাহিত্য বা চরিত সাহিত্য বলে।বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম চৈতন্যদেবের জীবনী নিয়ে সাহিত্য রচিত হয়। চৈতন্যদেবের মৃত্যুর পর চৈতন্যদেবের ভক্তরা তাঁর জীবনী নিয়ে সাহিত্য
রচনা শুরু করে। চৈতন্যদেবের জীবন নিয়ে তাঁর যে ভক্ত সর্বপ্রথম সাহিত্য লিখেন তিনি হলেন – বৃন্দাবন দাস এবং গ্রন্থটির নাম ‘শ্রীচৈতন্যভাগবত’। তবে কৃষ্ণদাস কবিরাজের রচিত ‘শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটি চৈতন্য জীবনী কাব্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তাই কৃষ্ণদাস কবিরাজকে চৈতন্য জীবনী কাব্যের
শ্রেষ্ঠ কবি বলে।বাংলা সাহিত্যে একটি পংক্তি না লিখেও চৈতন্যদেবের নামে একটি যুগের সৃষ্টি হয়েছে।বাংলা সাহিত্যে চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ ‘কড়চা’ নামে পরিচিত। ‘কড়চা’ শব্দের শাব্দিক অর্থ ডায়রি বা দিনলিপি।
বাংলা সাহিত্যে – প্রাক চৈতন্য যুগ হল (১২০১-১৫০০খ্রি ) ও চৈতন্য যুগ হল(১৫০০-১৭০০খ্রি.)
বাংলা ভাষার আগে সংস্কৃত ভাষায় চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ রচিত হয়েছে।সংস্কৃত ভাষায় যিনি প্রথম চৈতন্য জীবনী গ্রন্থ লিখেন – মুরারি গুপ্ত।
নবীবংশ, রসুল বিজয় – গ্রন্থগুলোর রচিয়তা হলেন সৈয়দ সুলতান।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।