‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের আদি নিদর্শন হল ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।

’শূন্যপূরাণ’ ও ‘সেক শুভোদয়া’ -নামক গ্রন্থ দুটোর রচনা ঠিক অন্ধকার যুগেই   হয়েছিল এমন কোন নিশ্চিত তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। ‘শূন্যপূরাণ’ অন্ধকার যুগেই রচিত হয়েছে তা নিশ্চিত হতে পারলে একেই হয়ত  আমরা মধ্যযুগের আদি নিদর্শন বলতাম।

১৯০৭ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের  বাঁকুড়া জেলার  কাঁকিল্যা গ্রামের এক গৃহস্থের গোয়ালঘর থেকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য  উদ্ধার করেন।

গ্রন্থটি ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের  সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে’র রচয়িতা হলেন -বড়ু চণ্ডীদাস। তাঁর আসল নাম অনন্ত  বড়ুয়া।

এখানে মনে রাখতে হবে, বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন ‘চর্যাপদ’ এবং দ্বিতীয়  নিদর্শন ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।‘চর্যাপদে’র রচয়িতা হলেন ২৪ জন কিন্তু

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচয়িতা হলেন ১ জন(বড়ু চণ্ডীদাস)। তাই বলা যায়,

বাংলা সাহিত্যের প্রথম একক কবির রচিত গ্রন্থ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে’র আলোচ্য বিষয় হল রাধা- কৃষ্ণের প্রেমলীলা।

এখানে রূপকের মাধ্যমে  ‘রাধা’ বলতে  সৃষ্টি/ভক্ত/জীবাত্মাকে এবং ‘কৃষ্ণ’  বলতে স্রষ্টা/ভগবান/ পরমাত্মাকে বুঝানো হয়েছে। তার মানে রাধা-কৃষ্ণের  প্রেমের মাধ্যমে বৈষ্ণবতত্ত্বের এক গূঢ় রহস্য কথা ব্যক্ত হয়েছে।যেখানে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের মাধ্যমে জীবাত্মা-পরমাত্মার প্রেমকে বুঝানো হয়েছে।

আর এই প্রেমের দূতিয়ালি বা ঘটকালি করেছেন বড়াই।

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের প্রধান চরিত্র হল ৩টি(রাধা, কৃষ্ণ ও বড়াই)।

সর্বজন স্বীকৃত ও খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম গ্রন্থ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।

মধ্যযুগের আদি কবি বড়ু চণ্ডীদাস।

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’কাব্যের মূল নাম ছিল ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’।১৯১৬ সালে  প্রকাশের সময় বসন্তরঞ্জন রায় এর নাম পরিবর্তন করে  ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’রাখেন।

‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যে ১৩ টি খণ্ড ও ৪১৮ টি পদ আছে।

এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline