মধ্যযুগঃ

মধ্যযুগের সাহিত্যধারা ছিল দেবদেবী নির্ভর বা ধর্মনির্ভর।

দেবদেবীর গুণকীর্তন করাই ছিল এই যুগের সাহিত্যের উদ্দেশ্য।

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত। যেমন – মঙ্গলকাব্য,  অনুবাদ সাহিত্য, বৈষ্ণব পদাবলী, জীবনী সাহিত্য, নাথ সাহিত্য, রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ইত্যাদি।

অন্ধকার যুগ (১২০১-১৩৫০খ্রি.):

১২০৪ সালে ইখতিয়ারউদ্দিন বখতিয়ার খিলজী মাত্র ১৭ জন সৈন্য নিয়ে  অতর্কিত ক্ষিপ্রবেগে বাংলার  সেন বংশের শেষ শাসক লক্ষণ সেনের রাজধানী  নদীয়া বিনা বাধায় জয় করে এদেশে মুসলমান শাসনের সূত্রপাত করেন। তুর্কি আক্রমণকারীদের ভয়ে বৌদ্ধ কবিগণ বঙ্গদেশ থেকে নেপালে শরনার্থী  হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। এ কারণে বাংলা সাহিত্য জগতে শূন্যতা দেখা  দেয়।

১২০১- ১৩৫০ সময়কালকে এই শূন্যতার সময় বিবেচনা করে একে বাংলা  সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বা বন্ধ্যা যুগ বলা হয়।

তবে বর্তমানে নিচের দুটো গ্রন্থকে অন্ধকার যুগের সাহিত্য বলে মনে করা হয়-

গ্রন্থের নামঃ                      রচয়িতাঃ

(ক)শূন্যপূরাণ —              রামাই পণ্ডিত

(খ) সেকশুভোদয়া —         হলায়ূধ মিশ্র

এ দুটো গ্রন্থ গদ্যে-পদ্যে মিশ্রিত এক ধরনের চম্পুকাব্য।

রামাই পণ্ডিত রচিত ধর্মপূজার শাস্ত্রগ্রন্থ শূন্যপূরাণ।

’নিরঞ্জনের উষ্মা’ কবিতাটি শূন্যপূরাণের অন্তর্গত। এখানে হিন্দু ও  বৌদ্ধধর্মের আলোচনা আছে।

‘সেক শুভোদয়া’র  রচয়িতা হলায়ূধ মিশ্রকে লক্ষণ সেনের সভাকবি বলে ধারণা  করা হয়।

এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।

মন্তব্য করুন

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline