সুশাসনের বৈশিষ্ট্য :
সুশাসনের বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে- স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্যতা, স্বাধীন প্রচার মাধ্যমে, দুর্নীতিমুক্ত অংশগ্রহণমূলক, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, জনবান্ধব প্রশাসন, জীবন ঘনিষ্ঠ ও কল্যাণমূলক, সমতা, জনগণের নিকট গ্রহণযোগ্যতা, দক্ষতা।
সুশাসনের উপকারিতা
সুশাসন রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে। সুশাসনের সুফল নিম্নরূপ :
সুশাসন সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা দূর করতে সাহায্য করে।
সুশাসন সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলে।
সুশাসন জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
সুশাসন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারে।
সুশাসন রাষ্ট্রের শাসক, শাসিত ও সুশীল সমাজের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।
জাতীয় জীবনে সমৃদ্ধি আনয়ন করে।
সুশাসন নাগরিক অধিকারকে অধিক গুরুত্ব দেয় এবং কোন কারণেই যেন অধিকার খর্ব না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখে।
সুশাসন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
সুশাসন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত করে।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্পৃক্ত করে।
সুশাসন জাতীয় উন্নতিকে বাধামুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
সুশাসনের প্রভাবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।
সুশাসনের অভাবজনিত ফলাফল
সুশাসনের অভাব দেশের মেধা সম্পদের অপচয় ঘটায় ও জাতীয় উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করে। সুশাসনের অভাবকে জিইয়ে রেখে ব্যক্তিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক তথা জাতীয় উন্নয়ন অসম্ভব
সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলা ও বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
সন্তান সন্ততিকে শিক্ষা প্রদান, রুচিশীল ও সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তোলা সম্ভব হয় না।
সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় না।
নাগরিক অধিকার ভোগে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় ও প্রার্থী সততা ও সততার সাথে ভোটাধিকার প্রয়োগ ও প্রার্থী বাছাই করতে পারে না।
জনগণ ও প্রার্থী বাছাই করতে পারে না।
জনগণ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টের সাথে সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
মানুষের মনোবল ভেঙ্গে যায়, হতোদ্যম ও নিরাশ হয়ে পড়ে।
এই লেকচারের পরের পেইজে যেতে নিচের …. তে ক্লিক কর।
পরের পাতাসমুহ >>
0 responses on "বিসিএস -> প্রিলিমিনারি -> নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন -> নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন"