বি সি এস লিখিত পরীক্ষা নিয়ে অল্প কিছু কথা

বি সি এস লিখিত পরীক্ষা নিয়ে অল্প কিছু কথা—

মনে রাখবেন বি সি এস এর মেইন পরীক্ষা হল লিখিত পরীক্ষা , লিখিত পরীক্ষাতে যে যত ভালো নম্বর পাবে তার সফল হবার সম্ভাবনা তত বেশি, আর লিখিত পরীক্ষা ভালো হলে ভাইভাতে load অনেক কমে যায়,আগেও লিখেছি যে লিখিত পরীক্ষা কিভাবে আপনি প্ল্যান করে দিতে পারেন,এখানে আপনাকে solid নম্বরগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে যেন সেগুলো মিস না হয়,আবারও বলছি ইংরেজী,গনিত ও বুদ্ধিমত্তা , বিজ্ঞান এই তিনটি বিষয়ে ভালো করার চেষ্টা করবেন,আপনাকে বানিয়েই লিখতে হবে,যার প্রতিটি বিষয়ের basic যত ভালো সে তত গুছিয়ে লিখতে পারবেন,একটা রুটিনসহ প্ল্যান আপনাদের বলেছিলাম যেভাবে আপনারা প্রস্তুতি নিতে পারেন,এখানে স্টাডির চেয়ে টেকনিকটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ,আপনি অযথা পাতাভরা লেখা না লিখে informative লেখার চেষ্টা করবেন,আপনার খাতাটা দেখে যেন একটু আলাদা মনে হয়,দৈনিক বাসায় ২০-৩০ মিনিট করে জোরে লেখার অভ্যাস কর এখন থেকেই, এতে আপনার লেখার গতি বাড়বে,পারলে ৯-১০ টি কলম অর্ধেক কালি লিখে লিখিত পরীক্ষার জন্য তৈরি করে রাখুন,নতুন কলমে অনেক সময় দ্রুত লিখতে সমস্যা হয় । বাংলা, ইংরেজী, গনিত, বিজ্ঞান এই কয়টি বিষয়ে লেখা হয়তোবা আপনারা পড়েছেন,আমি জাস্ট একটু গাইডলাইন দিচ্ছি আপনাদের,বিগত বছরগুলোর লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নগুলো নিয়ে analysis কর, কেমন প্রশ্ন হয়, এবার কেমন হতে পারে একটু ভাবুন । সবসময় যে প্রশ্ন আপনি ভালো পারবেন সেটা দিয়েই পরীক্ষা শুরু করাটা better.সাধারন জ্ঞানের পেছনে যে খুব বেশি সময় দেবেন তা কিন্তু নয়, আপনি all rounder হতে পারলে ভালো , মানে সবগুলো বিষয়েই মোটামুটি ভালো পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করা । আপনার যে বিষয়ে দুর্বলতা আছে সেটা overcome করার চেষ্টা কর,যারা একবার লিখিত পরীক্ষা দিয়ে সফল হননি তারা ভেবে দেখুন আপনার সফল না হবার জন্য আপনার সম্ভাব্য weak point কি ছিল, এখন সেটা solve করে ফেলুন । নিজেকে অবশ্যই আপনার যাচাই করতে হবে, নিজের weak point গুলো আপনি যত দ্রুত বের করতে পারবেন তত দ্রুত আপনি সেগুলো সমাধান করতে পারবেন । বারবার একই ধরনের লিখিত পরীক্ষা দিয়ে সফল না হলে অবশ্যই আপনার লিখিত পরীক্ষার স্টাইলটা পরিবর্তন করতে হবে,আর যারা আগে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে সফল হননি তারা অবশ্যই মার্কশিটটা তুলবেন,এতে আপনার একটা ধারনা আসবে যে কোন বিষয়গুলো আপনার খারাপ হয়েছিলো,এবার সেগুলো solve করে ফেলুন । প্রিলি পরীক্ষার রেজাল্টের জন্য বসে না থেকে এখন থেকেই স্টাডি শুরু করে দিন,কারন যেহেতু আপনি চাকুরী যুদ্ধে নেমেছেন স্টাডি আপনাকে করতেই হবে,আর সবসময় মনে রাখবেন -কোন স্টাডিই বিফলে যায়না । জ্ঞানের ভাণ্ডারটা যত বড় থাকবে তত ভালো । প্রতিটা বিষয় ৭ দিন করে সময় নিয়ে যেটি পারুন পড়ে ফেলুন ( এক্ষেত্রে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো আপনার জন্য একটা গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে ),অর্থাৎ ৭ দিনের মধ্যে একটি বিষয়ের যেটি পারবেন পড়বেন এবং পরে অন্য বিষয় স্টাডি শুরু করবেন either ৭ দিনের মধ্যে সেই বিষয়টা শেষ হোক আর নাই হোক । আগে প্রতিটা বিষয় মোটামুটি একটু গোছানো হলে আপনার confidence বাড়বে,অন্যের দিকে না তাকিয়ে এবং কোন গুজবে কান না দিয়ে নিজের মত স্টাডি চালিয়ে যান । নিজের উপর আস্থা রাখবেন । যেকোনো পরীক্ষাতে যদি নিজের প্রতি আপনার confidence না থাকে তবে যত ভালো স্টাডি করেই যাননা কেন দেখবেন পরিক্ষাটা খারাপ হবে,আপনি যদি মনে করেন আপনি পারবেন তারমানে আপনি পারবেন , আর যদি ভাবেন পারবেননা তাহলে আসলেই আপনার জন্য সফল হওয়াটা একটু কঠিন ই হবে বৈকি । কত ভালো ভালো পরীক্ষার্থী অনেক ভালো স্টাডি করে শেষ পর্যন্ত confidence এর অভাবে পরীক্ষাতে খুব খারাপ করে থাকে । এটা আপনাকে avoid করার চেষ্টা করতে হবে । স্ট্যান্ডার্ড একটা ভালো প্রস্তুতি নিন,দেখবেন আপনার চাকুরী হয়ে গেছে,তা একবারে না হলেও হতাশ হবেন না,দেখবেন একটিতে সফল না হলেও অন্য পরীক্ষাতে সফল হয়েছেন । ধৈর্যহীনরা সহজে হতাশ হয় । তবে নিজের সফল না হওয়াটা নিয়ে অবশ্যই analysis করা দরকার , কি সমস্যা ছিল,কোন বিষয়ে weakness ছিল,নাকি আপনি পরীক্ষার হলে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ইত্যাদি সেটা যাইহোক না কেন তা আপনাকে overcome করতে হবে । লিখিত পরীক্ষায় আপনার হাতে সুযোগ আছে যেকোনো টপিকের উত্তরে আপনি প্রাসঙ্গিক অন্য যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ টপিক reference হিসেবে লিখে লেখার মান বাড়াতে পারবেন । এজন্য অবশ্য আপনার জ্ঞানের ভাণ্ডারটা কিছুটা সমৃদ্ধ থাকাটা ভালো,সম্ভাব্য প্রশ্নের উত্তরে বিখ্যাত উক্তি,কবিতা উপন্যাসের লাইন,ছক,গ্রাফ,মানচিত্র, reference হিসেবে ওয়েবসাইটের ঠিকানা,বই এর reference,কলাম,সংবিধানের এবং পত্রিকার বিভিন্ন ঘটনার reference ইত্যাদি লিখে আপনার উত্তরের মান বাড়াতে পারেন । অর্থাৎ আপনি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যান,হতাশ হবেন না । কত মানুষ কত struggle করে বড় পজিশনে পৌঁছেছেন,শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান,সফল আপনি হবেনই । May god always bless you guys.Good luck.

আরো পড়ুন:

বিসিএস : লিখিত পরীক্ষা প্রস্তুতি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফি প্রদান করবেন যেভাবে

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন আবেদন ফর্মপুরনের নিয়ামবলি

Leave a Reply

স্যার, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?

Click one of our representatives below

Customer Support
Customer Support

Syeda Nusrat

I am online

I am offline

Technical Support
Technical Support

Ariful Islam Aquib

I am online

I am offline