ফিঙে একটি অতি পরিচিত এশিয় অঞ্চলের পাখী। এটি বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়। এটি ফসলের মাঠে, ক্ষেতের আইলে ঝোপঝাড়ে, কারেন্টের তারে, গাছের ডালে, রাস্তার ধারে ও অনেক সময় গরু-ছাগলের পিঠে দেখা যায়। বাংলাদেশে হরেক রকমের ফিঙে পাখী দেখতে পাওয়া যায় যেমন কালো ফিঙে, কেশরাজ ফিঙে, ধুসর ফিঙে ও ভিমরাজ ফিঙে প্রভৃতি। তবে এদের মধ্যে কালো ফিঙে অন্যতম, এরা সাধারনত ফসলের ক্ষেতে, বাশ, গাছের ডালে বসে পোকা-মাকড় ধরে খায়। তাছাড়া এরা উরন্ত পোকা মাকরকে তাড়া করে ধরে খায়। ফুলের মধু, তাল ও খেজুর গাছের রস খেতে এরা বেশি পছন্দ করে। টিকটিকি, ফড়িং ও তেলাপোকা শিকারেও এরা দক্ষ ।
একটি ফিঙে গড়ে প্রতিদিন ২৫-২৮টি মাজরা পোকা খেয়ে থাকে। একটি স্ত্রী মাজরা ২৫০-৩০০ মাজরার মথ জন্ম দেয়। ফিঙে অন্তত একটি স্ত্রী মাজরা পোকা খেলে ৩০০টি পোকা দমন হয়।
এ পর্যন্ত ধানের ১৭৫টি প্রজাতির অনিষ্টকারী পোকা শনাক্ত করেছে। এদের মধ্যে ২০-৩৩টি প্রজাতিকে প্রধান ক্ষতিকর পোকা হিসেবে গণ্য করা হয়। এদের আক্রমণে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফিঙে পাখি বিভিন্ন ধরনের পোকা খেয়ে দ্রুত এদের সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
গভেষনায় জানা যায়, ফিঙে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫৪ শতাংশ ঘাসফড়িং , ৪৭ শতাংশ হলুদ মাজরা পোকা, ৩৭ শতাংশ সবুজ পাতাফড়িং, ৩৫ শতাংশ বাদামি গাছফড়িং ও ৯ শতাংশ পামরি পোকা খেয়ে ফেলতে পারে। এতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি কীটনাশকের অতিরিক্ত খরচ থেকে রেহাই পাচ্ছে কৃষক।
বি:দ্র:লেখাটি আমার ব্লগ থেকে সংগ্রহীত । আরও জানতে: http://www.mirjapurblock.cf/2015/01/blog-post.html
ফিঙে নিয়ে আমার মোবাইল App : http://0718101c-bf73-4f1b-987a-2c17a4330166.mobapp.at