১. ত্বক মানবদেহের একটি বড় অঙ্গ :
মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রয়েছে। তবে মানবদেহের মাঝে ত্বক হল সবচেয়ে বড় একটি অঙ্গ যেটি মানবদেহের উচ্চতা অনুসারে প্রায় ২২ স্কয়ার ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এর মাঝে প্রায় ১১ মাইলেরও বেশি রক্ত ধমনী রয়েছে।
২. এটি ভারী :
ত্বকের ওজন অনেক বেশি হয়ে থাকে। আমাদের দেহের সমস্ত ওজনের প্রায় ১৬ শতাংশই ত্বকের ওজন। তাই অন্যান্য যেকোনো অঙ্গের চেয়ে এটি বেশি ভারী হয়ে থাকে।
৩. ত্বকের রং :
আদিমকালের মানুষের ত্বকের রং ছিল একেবারে কালো রংয়ের। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে পরবর্তীতে মানুষের গায়ের রংয়ে বৈচিত্র্য আসে। সাদা ত্বকের উদ্ভব ঘটে। তবে বর্তমানে বেশ কয়েকটি রংয়ের ত্বকের আবির্ভাব দেখা যায়।
৪. অন্ধরা ত্বক দিয়ে অনুভব করে :
অন্ধরা সাধারণত চোখ দিয়ে দেখতে পারে না। তাই তারা তাদের যাবতীয় অনুভূতি কাজে লাগায় ত্বকের সাহায্যে। ত্বকের ইন্দ্রিয় শক্তি এতই প্রখর যে পাশে ঘটা যেকোনো কিছুই তারা ত্বকের সাহায্যে বুঝতে পারে।
৫. সংবেদনশীল :
মানবদেহের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল। তবে ত্বকের বিশেষ বিশেষ অঙ্গের অনুভূতি আরও অনেক বেশি হয়ে থাকে। যেমন ঠোঁট, জিহবা, নখ, গোপনাঙ্গ ইত্যাদির সংবেদনশীলতা সচরাচর ত্বকের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
৬. আঙ্গুলের ছাপ :
আমা জানি যে যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। কেননা একেক মানুষের আঙ্গুলের রেখা একেকরকম হয়ে থাকে। তবে একটি মানবশিশুর ৩ মাসের আগে কোনো ধরনের রেখা হাতের আঙ্গুলে পাওয়া যায় না।
৭. ত্বকের গন্ধ :
ত্বকের আলাদা ধরনের গন্ধ রয়েছে। তবে একেক মানুষের ত্বকের গন্ধ একেক রকম। কারওটা একটু বেশি কড়া কারও ত্বকের গন্ধ আবার কিছুটা হালকা ধরনের। একেকটি ত্বকের ঘাম মানুষটিকে চিনতে সহায়তা করে থাকে।
৮. নবজাতকের ত্বক :
নবজাতকের ত্বক অনেক বেশি মসৃণ আর নরম হয়ে থাকে। তবে প্রথম জন্মের পরে নবজাতকের ত্বকটি আস্তে আস্তে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
৯. শোয়ার ভিন্নতায় ত্বকের ক্ষতি হয় :
আমরা অনেক বিচিত্রভাবে শুয়ে থাকি। তবে এই শোয়ার ভিন্নতার কারণে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। মুখের ত্বকটি যদি কোনো কারণে বিছানার চাদরে ঘষা খায় তবে তা মুখের ত্বকে স্থায়ী ক্ষতিসাধন করে ফেলতে পারে।
১০. দেহের সব অংশের ত্বক একই মাত্রার হয় না :
আমাদের দেহের সব অংশের ত্বক একই মাত্রার হয়ে থাকে না। যেমন হাতের ত্বকের তুলনায় মুখের ত্বক অনেক বেশি নরম আর মসৃণ হয়ে থাকে।
১১. কয়েকটি স্তরের ত্বক :
আমাদের দেহের ত্বক ৩ টি স্তরের হয়ে থাকে বহিঃত্বক, অন্তত্বক আর সাব স্কিন। অন্তত্বকটি হল মধ্য স্তরের একটি লেয়ার যেটিতে ত্বকের ঘনত্ব প্রায় ৯০ শতাংশই নির্ভর করে। সাব স্কিন মূলত ত্বকের অন্তরতম একটি অংশ যেটি ফ্যাট আর কোলাজেন দিয়ে তৈরি। আর বহিঃত্বক হল ত্বকের বাহিরের অংশ যেটি আবহাওয়া এবং ত্বকের ভেতরের অংশের মাঝে সামঞ্জস্য বজায় রাখে।
১২. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ :
ত্বক দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অর্থাৎ রক্ত ধমনীতে যতটা তাপ উৎপন্ন হয় তার একটি নির্দিষ্ট অংশ ত্বকের বাহিরে চলে আসে। ফলে দেহের এই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ত্বক।
0 responses on "নিজের ত্বক সম্পর্কে যে কয়েকটি বিষয় আপনি একেবারেই জানেন না"