প্রচলিত দুধের চেয়ে আমন্ড দুধ বা কাঠ বাদামের দুধ অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।কাঠ বাদামে গ্লুটেন থাকেনা,শর্করার পরিমাণ কম থাকে ও কোলেস্টেরল লেভেল কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।সয়া দুধ হরমোনের লেভেলে সমস্যা সৃষ্টি করে কিন্তু কাঠ বাদামের দুধ এই সমস্যা সৃষ্টি করেনা এবং দামেও সস্তা।তাই এই দুধ সাধারণ দুধের পরিবর্তেও ব্যবহার করা যায়।কাঠ বাদামের দুধ খুব সহজে ঘরেই তৈরি করা যায়।আসুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করা যায় কাঠ বাদামের দুধ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- ১ কাপ কাঁচা কাঠ বাদাম
- ২ কাপ বা বাদাম ভেজানোর জন্য যতটুকু প্রয়োজন, সেই পরিমাণ পানি
- যদি বেশি মিষ্টি স্বাদ চান তাহলে মধু বা চিনি বা অন্য কোন সিরাপ সামান্য পরিমাণে নিতে পারেন
- বাদাম ভিজানোর জন্য বোল
- ছাঁকনি
- পরিমাপের কাপ
- ব্লেন্ডার বা ফুড প্রসেসর
- ২টি পরিষ্কার সূতি কাপড়ের টুকরা
- ১টি কাঁচের জার
প্রস্তুতপ্রণালী:
– বাদাম গুলো একটি বোলে নিয়ে পানি দিতে হবে যাতে বাদাম গুলো পুরোপুরি ডুবে থাকে।বাদাম পানি শোষণ করে ফুলে উঠবে।
– বোলটিকে কাপড় দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিতে হবে।
– এই অবস্থায় সারারাত অথবা ২ দিন রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন।
– তারপর পানি থেকে বাদামগুলোকে ছেঁকে নিয়ে কলের পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন।
– এরপর বাদাম গুলোকে ব্লেন্ডারে নিয়ে ২ কাপ পানি দিন।
– বাদাম গুলোকে চূর্ণ করার জন্য কিছুক্ষন ব্লেন্ড কর
– তারপর ২ মিনিট সময় ধরে একাধারে ব্লেন্ড কর
– এতে খুব ভালো একটি মিশ্রণ তৈরি হবে যেটি দেখতে সাদা বা স্বচ্ছ হবে।
– মিশ্রণটি সূতি কাপড় দিয়ে ছেঁকে কাপে নিন।
– ২ কাপ আমন্ড দুধ পাওয়া যাবে।
– এই দুধ যদি পর্যাপ্ত মিষ্টি না লাগে তাহলে এতে মিষ্টি কারক উপাদান মিশ্রিত করতে পারেন।
– এই দুধ কাঁচের জারে নিয়ে মুখ বন্ধ করে ফ্রিজে রাখুন ২ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
ব্যবহার বিধি:
সাধারণ দুধ যেভাবে ব্যবহার করা হয় আমন্ড দুধ ও সেভাবেই ব্যবহার করা যায়। যেমন-দুধ দিয়ে কোন খাবার প্রস্তুত করতে বা সিরিয়ালের সাথে মিশিয়ে অথবা খালি ও পান করা যায়।
এই দুধ ওভেনে সামান্য আঁচে দীর্ঘ সময় (২-৩ ঘন্টা)বেক করে পাউডার তৈরি করা যায় যেটি ফ্রিজে রাখলে কয়েক মাস ভালো থাকবে এবং বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যাবে