কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ধান গভেষনা ইনস্টিটিউট ৪ টি উচ্চ ফলনশীল নতুন ধানের জাত অবমুক্ত করে ধানগুলি হলো ব্রি ধান ৭০, ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৭২, ব্রি ধান ৭৩ আর বাংলদেশ পরমানু কৃষি গভেষনা ইনস্টিটিউট (বিনা) বিনা ধান ১৭ নামে আরও একটি জাত অবমুক্ত করে । জানা গেছে, ব্রি উদ্ভাবিত চারটি জাতই আমন মৌসুমে চাষের উপযুক্ত। সুগন্ধী, লবণাক্ত সহনশীল, জিংকযুক্ত এবং খরা সহিষ্ণু ব্রি-এর এই নতুন চারটি জাত দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করা হয়েছে। ফলনও পাওয়া গেছে প্রত্যাশিত। তাছাড়া বিনা উদ্ভাবিত বিনা ধান ১৭ চাষ করেও আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। এ জাত উদ্ভাবনে সহায়তা করেছে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)।
ব্রি ধান ৭০: আমন মৌসুমে চাষাবাদের উপযোগী। এ জাতের প্রধান বৈশিষ্ট্য ধানের দানার রং খড়ের মতো, অত্যন্ত লম্বা, চিকন ও সুগন্ধী। এ জাতের ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে এর ফলন হেক্টরে ৪.৮ টন থেকে পাঁচ টন পর্যন্ত পাওয়া যায়।
ব্রি ধান ৭১: জাতটিও আমন মৌসুমে চাষাবাদের উপযোগী। এটি একটি খরা সহনশীল জাত। প্রজনন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২১-২৮ দিন বৃষ্টি না হলেও ফলনের তেমন ক্ষতি হয় না। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে হেক্টরে পাঁচ-ছয় টন ফলন দিতে সক্ষম।
ব্রি ধান ৭২: আমন মৌসুমের জন্য। এটি প্রোটিন ও জিংক সমৃদ্ধ ধান। এতে ৮.৯ ভাগ প্রোটিন এবং ২২.৮ মিলিগ্রাম/কেজি জিংক রয়েছে। যেটি প্রচলিত অন্যান্য জাতের চেয়ে অনেক বেশি।উচ্চফলনশীল এ জাতের হেক্টরপ্রতি ফলন হবে সাড়ে ৫ টন থেকে ৬ টন। বি আর ১১ জাতের ধানের মতো অনেকটা দেখতে এ জাতের ধান। জীবনকাল ১২৫ থেকে ১৩০ দিন।
ব্রি ধান ৭৩: ব্রি ধান ৭৩ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো লবণাক্ততা অঞ্চলে চাষ করা যাবে। চারা অবস্থায় (তিন সপ্তাহ) ১২ থেকে ১৪ ডিএস/মি এবং সমস্ত সময় ৮ ডিএস/মি লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। দক্ষিণ অঞ্চল বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে এ ধান চাষাবাদের খুবই উপযোগী।
বিনা ধান ১৭:এ জাতটি আলোক অসংবেদনশীল আমন ও বোরো দুই মৌসুমেই বপন করা যায়। উদ্ভাবিত বিনা ধান ১৭ জিএসআর এর জীবনকাল ১১২ থেকে ১২৮ দিন। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) সহযোগিতায় উদ্ভাবিত এ জাত উচ্চ ফলনশীল। হেক্টর প্রতি এর ফলন প্রায় ৬ থেকে ৭ টন।