
দেশীয় এ ফলটি প্রক্রিয়াজাত করে নানান ধরনের খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করা যায় । আমড়া দিয়ে খুবই উন্নতমানের জেলী প্রস্তুত করা সম্ভব । আমড়াগুলো পরিস্কার পানিতে ধুয়ে কেটে টুকড়া করে সমান পরিমান পানিতে সিদ্ধ করা হয় । সিদ্ধ করার সময় কাঠের হাতল দিয়ে টুকরোগুলো নাড়াচাড়া করা হয় । পাতলা কাপড়ে ছেকে রস আলাদা করা হয় ।
জেলী তৈরীর জন্য ১ কেজি রসের সাথে ৭০০গ্রাম চিনি, ৬ গ্রাম পেকটিন, ৭ গ্রাম সাইট্রিক এসিড, ০.৮ গ্রাম সোডিয়াম বেনজোয়েট দরকার ।
রসের সাথে চিনি যোগ করে জ্বাল দেওয়া হয় । রান্নার মাঝামাঝি পর্যায়ে পেকটিন যোগ করা হয় । মিশ্রনটি মোটামোটি গাঢ় হয়ে আসলে রিফ্রাক্টোমিটার যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং মিশ্রনটিকে ৬৫% টি এস এস পর্যন্ত রান্না করা হয় । রিফ্রাক্টোমিটার এর অনুপস্থিতিতে শিটিং রিীক্ষার মাধ্যেমে জেলী হয়ে যাওয়ার চুড়ান্ত অবস্থা নির্নয় করা সম্ভব । মিশ্রনটি মোটামুটি গাঢ়ত্বে আসলে শিটিং পরীক্ষা করা হয় । টি এস এস ৬৪% হলে সাইট্রিক এসিড যোগ করা হয় এবং সামান্য জ্বাল দিয়ে পানিতে সোডিয়াম বেনজোয়েট গলিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলা হয় ।জেলী জীবানুমুক্ত বোতলে ঢেলে ছিপি এটে দেওয়া হয় । ঠান্ডা হওয়ার পর জেলীর উপড়ে মোম গলিয়ে দওয়া হয় ।