
জাতীয়করণসহ ১১দফা দাবিতে শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হকসহ কয়েকজন শিক্ষক শাহবাগ থানায় নেয়া হয়েছে।
শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হকসহ কয়েকজন শিক্ষকনেতাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়েছে। ১৩ মার্চ রাত সাড়ে আটটার দিকে তাদেরকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আসাদুল হকে টেলিফোনে জানান,
আগামীকাল বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয়করণসহ ১১দফা দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ সফল করার জন্য শতাধিক ভলানটিয়ার নিয়ে শহীদ মিনারে উপস্থিত হন। এ সময়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসাদুল হকের কাছে জানতে চান সমাবেশ করার লিখিত অনুমোদন রয়েছে কি-না? জবাবে তিনি পুলিশকে জানান, অনুমোদনের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের সঙ্গে মৌখিক কথা হয়েছে।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা আসাদুল হককে শাহবাগ থানায় গিয়ে সমাবেশের নিরাপত্তা ও অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনা করতে বলেন। এই বলে অধ্যক্ষ আসাদুলকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ঠিক এই সময়েই টেলিফোনে বিষয়টি জানান অধ্যক্ষ আসাদুল হক।
রাত নয়টার একটু পর কর্মচারী সমিতির নেতা এম আরজু তার ফেসবুকে লেখেন, ‘আসাদ স্যারসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাই’
তবে, শাহবাগ থানাসূত্রে জানা যায়, সমাবেশের বিষয়ে কথা বলার জন্যই ডাকা হয়েছে, গ্রেপ্তারের খবর সঠিক নয়।
জানা যায়, জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে মহাসমাবেশে যোগ দিতে শিক্ষকরা ঢাকা আসতে শুরু করেছেন সোমবার থেকেই।
জাতীয়করণের দাবিতে সোমবার (১২ই মার্চ) বিভিন্ন জেলায় শিক্ষক-কর্মচারিরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষকরা। একই দাবিতে গত রোববার (১১ই মার্চ) থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া অবিরাম ধর্মঘটও অব্যাহত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও বামঘেঁষা হিসেবে পরিচিত শিক্ষক-কর্মচারিদের প্লাটফর্ম শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির একজন নেতা জানান, গত ১০ মার্চ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে তিনি আমাদের মহাসমাবেশ স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমি তো জানতাম না, আজই শুনলাম আপনাদের বিষয়টি। জবাবে মন্ত্রীকে আমরা বললাম, আমরা জেলা ও উপজেলা থেকে স্মারকলিপি দিলাম, আপনি একটাও পাননি? মন্ত্রী বললেন, তিনি সেগুলো দেখেননি।
শাহবাগ থানা থেকে গভীর রাতে শিক্ষক নেতারা বাসায় চলে যান।
আরো পড়ুন:
কাল থেকে ১১ দফা দাবিতে অবিরাম ধর্মঘট শুরু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে