📣চলছে প্রো-অফার!!! ইশিখন.কম দিচ্ছে সকল অনলাইন-অফলাইন কোর্সে সর্বোচ্চ ৬০% পর্যন্ত ছাড়! বিস্তারিত

Pay with:

গ্রাফিক ডিজাইন করে কিভাবে আয় করবেন?

গ্রাফিক ডিজাইন পরিচিতি-

সৃজনশীল উপায়ে কোনো কাজকে ভিজুয়াল এলিমেন্ট যেমন ছবি, রং, রেখা ও ফর্মের সমন্বয়ে সুষম বিন্যাসের মাধ্যমে কোনো ক্রিয়েটিভ আইডিয়াকে দর্শনীয়ভাবে উপস্থাপন করাকেই গ্রাফিক ডিজাইন বলে। গ্রাফ অর্থ ছক বা রেখা আর ডিজাইন অর্থ নকশা বুঝায়।এটা সাধারণত ভোক্তার উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য বা সেবার প্রচার মাধ্যম অথবা প্রশিক্ষণের নিমিত্তে পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে করা হয়। আসলে গ্রাফিক ডিজাইন হলো আর্ট বা শিল্প। গ্রাফিক শব্দটি সেই সব চিত্রগুলোকে বুঝায় যে চিত্রগুলোর সফল পরিসমাপ্তি ড্রইং এর উপর নির্ভরশীল।একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের সৃজনশীলতাকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেনো কাজটির মধ্যে স্বকীয়তার বৈশিষ্ট্য থাকে।

 

আরো দেখুন:গ্রাফিক ডিজাইন করে কিভাবে আয় করবেন?

গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয়-

প্রতি মাসে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় কত হতে পারে? মূলত কাজের মান ও ক্রিয়েটিভির ওপরই ভিত্তি করে আপনার আয় নির্ভর করবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনসহ এই ধরনের সকল কাজের উপার্জন নির্ধারিত থাকে শুধু কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতনভুক্ত হয়ে কাজ করলে।এ সম্পর্কে ডিজাইনারদের বেতন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডিজাইনার স্যালারিজের মতে, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি বছর গ্রাফিক্স ডিজাইন বা এ সম্পর্কিত চাকরি বা কাজ করে ১ লাখ ডলার সেই হিসেবে বাংলাদেশি প্রায় ৮০ লাখ টাকা আয় করতে পারে। এছাড়া সকল গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের উপার্জন নির্ভর করে তার কর্ম দক্ষতার উপর। বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিপ্লোমাধারীর বেতন মাসে সাধারণত ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। দক্ষ ডিজাইনাররা শুধুমাত্র অনলাইন থেকে প্রতি মাসে বিশ হাজার টাকা থেকে দুই লক্ষ টাকার অধিক উপার্জন করতে পারেন। আর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সর্বনিম্ন বিশ হাজার টাকা থেকে বেতন নির্ধারিত হয়।

আরো দেখুন:পেশা হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইন

দেশে বসে বিদেশের কাজ

আপনি বাংলাদেশে বাস করছেন? বাংলাদেশে বাস করেও আপনি একটি কম্পিউটার আর সাথে ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে আপনি ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন।দেশ-বিদেশে গ্রাফিক ডিজাইনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।এ কাজে পারদর্শীদের জন্য রয়েছে বহুমুখী প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ ।অনলাইন মার্কেট প্লেসে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কাজের মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইন অন্যতম। জুনিয়র ভিজুয়ালাইজার/ডিজাইনার, সিনিয়র ভিজুয়ালাইজার/ডিজাইনার, আর্ট ডাইরেকটর, ক্রিয়েটিভ ডাইরেকটর ইত্যাদি পেশায় কাজ করতে পারে।সুতরাং একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও সম্ভাবনাময় পেশা।

আরো দেখুন:গ্রাফিক ডিজাইন কি?

ডিজাইন বিক্রি করে আয়-

অনলাইন মার্কেটপ্লেসের অনেক সাইটে ডিজাইন বিক্রি করেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।কিন্তু সেটা করার জন্য আপনার ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে।এইব সাইটে অনেক বিচার বিবেচনাকরে একটি ডিজাইনকে তাদের সাইটে প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়।একজন ডিজাইনার ওয়েবসাইটের টেম্পলেট বা পূর্ণাঙ্গ ডিজাইনবিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন। থিম ফরেস্ট  এমনি একটি সাইট। যারা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এ দক্ষ তারা থিমফরেস্ট থেকে প্রছুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু ডিজাইনিং এ নতুনরা থিমফরেস্ট সাইটে খুব একটি সুবিধা করতে পারবেন না। তবে নতুনদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক সাইট আছে যেখানে নতুনরা কাজ করতে পারবে এবং ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবে।

আমি এখন কিছু সাইটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যেগুলো লোগো, ওয়েব টেমপ্লেট, ফটো ইত্যাদি বিক্রির শীর্ষে অবস্থান করছে-

 

আরো দেখুন:গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার পরে আপনার কাজের ক্ষেত্র

আইস্টকফটো (http://istockphoto.com) : এটা এমন একটি সাইট যেখানে ফটো, ইলাস্ট্রেশন, ফ্লাশ, ভিডিওসহ বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়েটিভ কাজ বিক্রি করা যায়।

 

কোসোয়াপ (http://www.coswap.com): এই সাইটটিতে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন ও কোডিং কেনাবেচা করা হয়।

 

ভেক্টরস্টক (http://www.flashden.net) :  ইমেজ ভেক্টর বিক্রির অসাধারণ একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে  ভেক্টরস্টক।

 

ফ্লাশডেন (http://www.flashden.net): এটি একটি ফ্লাশ ফাইল মার্কেটপ্লেস। সাইটটি যে কোন ফাইল বিক্রির জন্য নূণ্যতম ৪০% পরিশোধ করে।

 

ভিডিওহাইভ (http://www.videohive.net) :  স্টক ভিডিও ফুটেজ ও মোশন গ্রাফিক্স বিক্রি করার একটি অন্যতম ওয়েবসাইট এটি।

 

থিমফরেস্ট (http://www.themeforest.net): এখানে থিমের পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন টেমপ্লেট বিক্রির নূণ্যতম ৪০% পাওয়া যায়।

 

গ্রাফিকরিভার (http://graphicriver.net) :  ভেক্টর ইমেজ, লেয়ারড ফটোশপ ফাইলসহ বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়েটিভ কাজ বিক্রি করা যায় সাইটটিতে।

 

সাটারস্টক (http://www.shutterstock.com): ভেক্টর ইমেজ ও  ফটোগ্রাফি প্রতিটি ডাউনলোডের জন্য .২৫ ডলার আয় করা যায়।

 

ডব্লিউপি থিম মার্কেট (http://wpthememarket.com):  ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিজাইন তৈরি করে বিক্রি করার  অন্যতম একটি সাইট।

 

টেমপ্লেম্যাটিক (http://www.templamatic.com) : এখানে আপনার করা ওয়েবসাইট টেমপ্লেট আপলোড ও বিক্রি করতে পারবেন।

 

সিএমএস মার্কেট (http://www.cmsmarket.com) : জুমলা এবং ওয়ার্ডপ্রেসের থিম, টেমপ্লেট, এক্সটেনশনসহ ক্রিয়েটিভ কাজগুলো বিক্রি করার অন্যতম ওয়েবসাইট এটি।

 

লিনোটাইপ ডটকম (http://www.linotype.com) : এই সাইটটিতে নতুনদের জন্যনেক সুযোগ রয়েছে। এখানে ফন্ট আপলোড ও বিক্রি করতে পারেন।

 

থিম গ্যালাক্সি (http://www.themegalaxy.net): ওয়ার্ডপ্রেস থিম একটি প্রিমিয়াম  মার্কেটপ্লেস। এখানে নতুন থিম ডিজাইনারদেরকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়।

 

ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইনার (http://www.wordpress-designers.com): ওয়ার্ডপ্রেস থিম এর মত এটিও একটি প্রিমিয়াম থিম মার্কেটপ্লেস। এখানে নতুন ডিজাইনাররা সহজেই কাজ করতে পারেন।

আরো দেখুন:গ্রাফিক্স ডিজাইন পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

 

কোথায় শিখবেন গ্রাফিক ডিজাইন-

বর্তমানে সিপিএ মার্কেটিং শেখায় এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখান থেকে আপনি সিপিএ কোর্সটি করতে পারেন। তবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সব ট্রেইনিং সেন্টার সঠিকভাবে টিকে থাকতে পারছে না।  এক্ষেত্রে আপনি ইশিখন থেকে ঘরে বসে অনলাইনে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে সিপিএ কোর্সটি করতে পারেন। কারণ- ইশিখনে রয়েছে দীর্ঘদিন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এমন কিছু প্রফেশনাল ট্রেইনার। ইশিখন থেকে কোর্স করলে যারা হবে আপনার ট্রেইনার। এছাড়াও ইশিখন থেকে কোর্স করলে আপনি কোর্স সম্পর্কিত  অন্যান্য সকল সুবিধাসমূহ পাবেন।

 

ইশিখনে গ্রাফিক ডিজাইন এর বিশেষ সুবিধা-

1.লাইভ ক্লাস মিস করলে পরের দিন কোর্সের ভেতর উক্ত ক্লাসের ভিডিও রেকর্ডিং ও আলোচিত ফাইল সমুহ পাবেন।
2.লাইভ ক্লাসের সম্পূর্ণ ফ্রি ভিডিও কোর্স, ( শুধুমাত্র এই ভিডিও কোর্সই অনেক প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করে।)
3.প্রতিটি ক্লাস শেষে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া। (প্রতিটি এসাইনমেন্ট এর জন্য ১০ মার্ক) প্রতিটি ক্লাসের লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি প্রাকটিজ ফাইল পাবেন এবং কনটেন্ট পাবেন।
4.প্রতিটি ক্লাসের প্রথম ১৫ মিনিট আগের ক্লাসের সমস্যাগুলো সমাধান হবে, পরের ১ ঘন্টা মুল ক্লাস শেষ ১৫ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রতিটি ক্লাসের শেষে ১০ নাম্বারের মডেল টেস্ট
5.এই মডেল টেস্ট মার্ক এবং এসাইমেন্ট মার্ক ও নিয়মিত উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে আপনার সার্টিফিকেট এর মান নির্ধারণ হবে।
6.কোর্স শেষে সার্টিফিকেট
7.লাইভ ক্লাস সমুহের ডিভিডি ।

 

 

আরো দেখুন:গ্রাফিক ডিজাইন করে কিভাবে আয় করবেন?

আরো দেখুন:পেশা হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইন

আরো দেখুন:গ্রাফিক ডিজাইন কি?

আরো দেখুন:গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার পরে আপনার কাজের ক্ষেত্র

আরো দেখুন:গ্রাফিক্স ডিজাইন পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন

আরো দেখুন:গ্রাফিক্স ডিজাইন কি? কিভাবে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন?

আরো দেখুন:যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনে প্রফেশনালি দক্ষ হতে চান তাদের জন্য বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল

   
   

0 responses on "গ্রাফিক ডিজাইন করে কিভাবে আয় করবেন?"

Leave a Message

© eShikhon.com 2015-2024. All Right Reserved