ওয়েব ডিজাইন পরিচিতি-
ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের বাহ্যিক অবকাঠামো।অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট বাইরে থেকে দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারন করা হয় ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে।ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের পূর্ণাঙ্গ টেম্পলেট বানানো যেমন ওয়েবসাইটটির লে আউট কেমন হবে, হেডারে কোথায় মেনু থাকবে, সাইডবার থাকবে কিনা, ইমেজগুলো কিভাবে প্রদর্শন করবে ইত্যাদি। ভিন্ন ভাবে বলতে গেলে ওয়েবসাইটের তথ্য কি হবে এবং কোথায় জমা থাকবে এগুলো চিন্তা না করে, তথ্যগুলো কিভাবে দেখানো হবে সেটা নির্ধারণ করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন।
আরো দেখুন:ওয়েব ডিজাইন জানতে হলে কি কি শিখতে হবে?
ওয়েব ডিজাইন কেন শিখবেন?
Yahoo এর একটি রিপোর্ট দেখে নিনঃ
*শুধুমাত্র আমেরিকাতেই ২০.১+ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট খাতে।
*প্রতি মাসে আমেরিকাতেই ১৬ মিলিয়নেরও বেশি ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে।
*প্রায় ৭০ শতাংশ ওয়েবসাইটই প্রিমিয়াম হয় অর্থাৎ কেউকে না কেউকে টাকা দিয়ে করানো হয়।
*এর মার্কেট ভ্যেলু ২০.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।কিন্তু যে হারে নতুন ওয়েবসাইট তৈরির প্রয়োজন পড়ছে, নতুন ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার সে হারে তৈরি হচ্ছে না।প্রতিনিয়ত মার্কেটে ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদা বেড়েই চলেছে।যদিও ওয়েব ডিজাইন আসলে উচ্চ আয়ের পেশার মধ্যে অন্যতম কিন্তু আপনি যদি আয়ের কথাটাই মাথায় রেখে এগুতে চান তাহলে আমি বলবো আপনার জন্য ওয়েব ডিজাইন নয়।আর তাই ভাল মানের ওয়েব ডিজাইনার হওয়ার জন্য ক্রিয়েটিভিটির দিকে নজর দিন।
আরো দেখুন:ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা
ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা-
উপরের প্রতিবেদন টা থেকে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে কেন ওয়েব ডিজাইন শিখবেন এবং ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা কেমন হবে ।বর্তমানে দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে ইন্টারনেটের জগৎ।প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ইন্টারনেট বহারকারীর সংখ্যা। ব্যবহারকারীর সংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে যাচ্ছে ওয়েবসাইট, বাড়ছে ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদাও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, পরবর্তী ৮ বছরে ওয়েব সংশ্লিষ্ট কাজের হার বাড়বে ২৭ শতাংশ।
সফটওয়্যার ফার্ম ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানিতে পার্ট টাইম বা ফুল টাইম কাজের জন্য যেমন নিয়োগ দিচ্ছে ওয়েব ডিজাইনারদের তেমনি অনেকে কাজ করিয়ে নিচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে। এছাড়াও আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার,স্ক্রিপ্টল্যান্সার, রেন্ট-এ-কোডার, ইল্যান্স, জুমলাল্যান্সার, পিপল পার আওয়ার, ফাইবারসহ প্রায় সকল মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেশের বা দেশের বাইরের যে কোনো ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ সহজেই পাওয়া যায় এবং সেই কাজটি করা যাবে ঘরে বসেই। এসব মার্কেটপ্লেসগুলো ওয়েব ডিজাইনারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।বতর্মানে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে ক্রিয়েটিভ ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য প্রতিটি সাইটে ২০০ ডলার থেকে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়।
আরো দেখুন: কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করবেন-
কোথায় কাজ পাবেন-
বর্তমানে শুধু HTML and CSS শিখে খুব একটা কাজ পাওয়া যাবে না। কারন বর্তমানে সবাই ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে চায়। তাই আপনাকে ডায়নামিক করা শিখতে হবে। মানে হলো ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট শিখতে হবে। যদি তা বেশ কঠিন হয়ে যায় তবে আপনি সাধারন ভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটা ওয়েব কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম। যা দ্বারা আপনি সহজেই ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তা না হলে আপনি নিখুত কোডিং করতে পারবেন না। কারন HTML and CSS কোড করার সময় ডায়নামিকের কথা মাথায় রেখে কোড করতে হয়। তা না হলে ডায়নামিক করার সময় বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। আশাকরি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন। তারপরেও আপনি কোথায় কোথায় কাজ খুজতে পারেন জেনে নিন।
http://upwork.com
http://freelancer.com
http://themeforest.net
আরো দেখুন:ওয়েব ডিজাইন কেন শিখবেন?
ওয়েব ডিজাইনারদের আয়ের ক্ষেত্র-
১.বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
২.আইকন এবং ভেক্টর গ্রাফিক্স
৩.ই-বুক
৪.অ্যাপস
৫.সফটওয়্যার সেবা
৬.বিভিন্ন সিএমএস থিম
৭.ওয়ার্ডপ্রেস বা অন্যান্য সিএমএস প্লাগিন :
৮.পিএসডি টেম্পলেট
আরো দেখুন:ওয়েব ডিজাইন কি?
ওয়েব ডিজাইনে কারা ভালো করতে পারবে-
শিক্ষার বিভাগ বা বয়স এখানে গৌণ বিষয় আর সৃজনশীলতা, রুচিশীলতা হল মুখ্য। প্রযুক্তি রাতারাতি পরিবর্তন হচ্ছে কাজেই তার সাথে তাল মিলিয়ে চলা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুরুর দিকে এইচটিএমএল আর সিএসএস জানাটাই যথেষ্ট ছিল। এখন এইচটিএমএল ও সিএসএসের ভার্সনের পরিবর্তন ছাড়াও ওয়েবসাইটের লেআউটের ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রেস্পন্সিভনেস অর্থাৎ একই ওয়েবসাইট বিভিন্ন ডিভাইসে সেই ডিভাইসের উপযোগী হয়েই প্রদর্শিত হওয়া। যার জন্য এইচটিএমএল ৫ আর সিএসএস ৩-এর সাথে জানতে হবে বিভিন্ন রকম ফ্রেমওয়ার্ক। যেমন বুটস্ট্রাপ, সিএসএস লেস ফ্রেমওয়ার্ক ইত্যাদি। এছাড়া জানতে হবে ফটোশপের কাজ কেননা ওয়েব ডিজাইনারকেই তার ওয়েবসাইটের জন্য পোস্টার, ব্যানারসহ বিভিন্ন ছবি, বাটন, মেনুর কাজ করতে হয়। ভালোমানের ফ্রন্ট ডেভেলপার হতে হলে জেকুয়েরি, জাভাস্ক্রিপ্ট জানাটাও জরুরি। কাজেই যাদের এসব বিষয়ে দক্ষতা আছে, তারাই ভালো করতে পারবে। আর আপনার পড়াশোনা যদি হয় এই ধরনের কোন বিষয়ে সেটা আপনার কাজের ক্ষেত্রে যোগ করবে বাড়তি সুবিধা।
আরো দেখুন:ওয়েব ডিজাইন কি? কিভাবে শিখবেন ওয়েব ডিজাইন?
কোথায় শিখবেন ওয়েব ডিজাইন-
অনলাইনে কাজের কোনো শেষ নেই। বরং ওয়েবসাইট ডিজাইনারের সংকট রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের কাজেরও তাই সম্ভাবনা অফুরন্ত। তবে দুঃখজনক হচ্ছে, আমরা চাইলেও ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নিতে পারি না। হাতে গোনা কয়েকটি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান থাকলেও এগুলো আবার ঢাকাভিত্তিক। তাই মফস্বলের কেউ এ সুযোগগুলো পায় না।এক্ষেত্রে আপনি ইশিখন থেকে ঘরে বসে অনলাইনে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন কোর্সটি করতে পারেন। কারণ- ইশিখনে রয়েছে দীর্ঘদিন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এমন কিছু প্রফেশনাল ট্রেইনার। ইশিখন থেকে কোর্স করলে যারা হবে আপনার ট্রেইনার। এছাড়াও ইশিখন থেকে কোর্স করলে আপনি কোর্স সম্পর্কিত অন্যান্য সকল সুবিধাসমূহ পাবেন।
আরো দেখুন:আসলেই কি আপনি ওয়েব ডিজাইন জানেন?
eshikhon.com এ বিশেষ সুবিধা সমুহ–
সাধারণত বাজারে কিংবা অন্যান্য ওয়েবসাইটে যে রেকর্ডিং টিউটোরিয়াল কিংবা ভিডিও কোর্সগুলো পেয়ে থাকি, সেগুলো বেশির ভাগই অনলাইন/ইউটিউব দেখে দেখে অদক্ষ ব্যক্তিরা ব্যবসার জন্য বানান। ২ মিনিট দেখে ২ মিনিট রেকর্ড করেন। অনেক ক্ষেত্রে পুর্নাঙ্গভাবে সবকিছু দেওয়াও থাকে না। কিন্তু ইশিখন.কম এর ভিডিওগুলো আমাদের স্বনামধন্য শিক্ষকদের লাইভ ক্লাসের ভিডিও, এর সাথে আমাদের বিগত ব্যাচের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্বও রয়েছে এবং প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখানো হয়েছে, ফলে আপনি পুর্নাঙ্গভাবে শিখতে সক্ষম হবেন।
$ লাইভ ক্লাস মিস করলে পরের দিন কোর্সের ভেতর উক্ত ক্লাসের ভিডিও রেকর্ডিং ও আলোচিত ফাইল সমুহ পাবেন।
$ লাইভ ক্লাসের সম্পূর্ণ ফ্রি ভিডিও কোর্স, ( শুধুমাত্র এই ভিডিও কোর্সই অনেক প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করে।)
$ প্রতিটি ক্লাস শেষে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া। (প্রতিটি এসাইনমেন্ট এর জন্য ১০ মার্ক)
$ প্রতিটি ক্লাসের লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি প্রাকটিজ ফাইল পাবেন এবং কনটেন্ট পাবেন।
$ প্রতিটি ক্লাসের প্রথম ১৫ মিনিট আগের ক্লাসের সমস্যাগুলো সমাধান হবে, পরের ১ ঘন্টা মুল ক্লাস শেষ ১৫ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব
$ প্রতিটি ক্লাসের শেষে ১০ নাম্বারের মডেল টেস্ট। এই মডেল টেস্ট মার্ক এবং এসাইমেন্ট মার্ক ও নিয়মিত উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে আপনার সার্টিফিকেট এর মান নির্ধারণ হবে।
$ কোর্স শেষে সার্টিফিকেট পাবেন।
$ লাইভ ক্লাস সমুহের ডিভিডি পাবেন।
0 responses on "ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা"