
ওয়েব ডিজাইন কি?
একটি ওয়েবসাইটের বাহ্যিক অবকাঠামো তৈরীর প্রক্রিয়াকে ওয়েব ডিজাইন বলে।ওয়েব ডিজাইনে কোন এপ্লিকেশন থাকে না । যেমন লগিন সিস্টেম, ফাইল আপলোড করা এবং ডেটাবেসে সেভ করা, ইমেজ ম্যানিপুলেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপন থাকে। প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপনের পরিবর্তন এগুলি ওয়েব ডিজাইনে থাকবে না।একজন ওয়েব ডিজাইনারের কাজ হলো একটা ওয়েব সাইটের টেমপ্লেট তৈরি করা।অর্থাৎ একটি ওয়েব সাইট ওপেন করার সাথে সাথে বাহ্যিকভাবে যা দেখা যায় তাই ওয়েব ডিজাইন।
আরো দেখুন:ওয়েব ডিজাইন জানতে হলে কি কি শিখতে হবে?
ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার-
তবে যাঁরা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য রয়েছে বহুমুখী কাজের সুযোগ।ইন্টারনেট-ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইনারদের চাহিদা অনেক। মূলত ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের জন্য বাহ্যিক অবকাঠামো তৈরি করা।বাংলাদেশ একজন ওয়েব ডিজাইনারের বেতন প্রায় ১৫০০০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়াও রয়েছে ফ্রীল্যান্স মার্কেট প্লেস এ কাজ করার সুযোগ ।বতর্মানে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে ক্রিয়েটিভ ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য প্রতিটি সাইটে ২০০ ডলার থেকে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়। ফ্রীল্যান্স মার্কেট প্লেস এ আপনি কাজ করতে পারেন একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে । মার্কেট প্লেস এ একজন ওয়েব ডিজাইনার এর রেট ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪০-৫০ ডলার পর্যন্ত (প্রায়) এর বেশি ও হতে পারে! নতুনদের ঘন্টায় রেট ৪-৫ ডলার। অর্থাৎ প্রতিদিন ৫ ঘন্টা কাজ করলে আপনার প্রতিদিন ২৫ ডলার এবং মাসে ৬০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আরো দেখুন:ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা
ওয়েব ডিজাইনারদের আয়-
একজন ওয়েব ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র অনেক।ওয়েব ডিজাইন আসলে উচ্চ আয়ের পেশার মধ্যে অন্যতম কিন্তু আপনি যদি আয়ের কথাটাই মাথায় না রেখে ক্রিয়েটিভিটির দিকে মনোযোগ দিলে সফলতা এমনিতেই আসবে। একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনারের বহুমুখী আয়। একজন ওয়েব ডিজাইনার ইচ্ছা করলেই ব্যবসা শুরু করতে পারেন । বিভিন্ন থিম বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন । বিভিন্ন ইফেক্ট বানিয়ে বিক্রি টাকা আয় করতে পারেন । ওয়েবসাইট লেআউট বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন । কোন ফরেইন অফিস এ অনলাইন এই চাকরী করতে পারেন । আপনার একটি মুক্ত স্বাধীন ক্যারিয়ার হবে । একটি উন্নত ক্যারিয়ার হবে । ভার্চুয়াল জগতে একটি অন্য রকম পরিচয় সৃষ্টি হবে । পাবেন প্রচুর সম্মান ।
২০১৯ সালে কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে স্মার্ট ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব?
এই পৃথিবীতে প্রতি ১ মিনিটে প্রায় ৫৭১ টি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। তার মানে, ঘণ্টায় ৩৪২৬০। বর্তমানে প্রায় বিলিয়নের উপরে অ্যাক্টিভ ওয়েবসাইট রয়েছে পৃথিবীতে। প্রায় ২৯৪ মিলিয়ন ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল ২০১৫ এর শুরুর দিকে!একবার ভেবে দেখেছেন কি, এই ওয়েবসাইট গুলো কারা তৈরি করে?
এগুলো কিন্তু কোন মেশিন বা রোবোট তৈরি করে না, এগুলো তৈরি করেন আপনার আমার মত সাধারন মানুষ যারা ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করতে জানেন।বিভিন্ন ফ্রীল্যান্স মার্কেটেই প্রতিদিন কয়েক হাজারের বেশি জব পোস্ট করা হয়, ভালভাবে স্কীল ডেভেলপ করতে পারলে থাকছে কাজ করার অফুরন্ত সুযোগ।এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।
ওয়েব ডিজাইন শিখতে হলে আপনার কি যোগ্যতা লাগবে ও কত সময় লাগবেঃ
তেমন কোন যোগ্যতাই লাগবে না। আপনার ইচ্ছাশক্তিটাই যথেষ্ট। যে কেউ চাইলে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারে। আর ওয়েব ডিজাইন শিখতে গেলে একদম নতুন হিসাবে ৩ মাস লাগতে পারে। তবে কিছুটা বেশি সময় দিলে ২ মাসেই HTML and CSS ভালোভাবে আয়ত্ব করা সম্ভব। তবে মনে রাখবেন, ওয়েব ডিজাইনিং এর সাথে ওয়েব ডেভেলাপমেন্টের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ওয়েব ডিজাইনিং শিখতে কম সময় লাগলেও ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট শিখতে ২ বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
আরো দেখুন: কিভাবে ওয়েব ডিজাইনার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করবেন-
কোথায় শিখবেন ওয়েব ডিজাইন-
আমাদের দেশে ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য প্রচুর আগ্রহী শিক্ষার্থী থাকলেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক এবং মানসম্মত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নেই।সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সব ট্রেইনিং সেন্টার সঠিকভাবে টিকে থাকতে পারছে না। এক্ষেত্রে আপনি ইশিখন থেকে ঘরে বসে অনলাইনে লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন কোর্সটি করতে পারেন। কারণ- ইশিখনে রয়েছে দীর্ঘদিন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এমন কিছু প্রফেশনাল ট্রেইনার। ইশিখন থেকে কোর্স করলে যারা হবে আপনার ট্রেইনার। এছাড়াও ইশিখন থেকে কোর্স করলে আপনি কোর্স সম্পর্কিত অন্যান্য সকল সুবিধাসমূহ পাবেন।
আরো দেখুন:ওয়েব ডিজাইন কেন শিখবেন?
ইশিখনে ওয়াব ডিজাইন শিখার এর বিশেষ সুবিধা-
1.লাইভ ক্লাস মিস করলে পরের দিন কোর্সের ভেতর উক্ত ক্লাসের ভিডিও রেকর্ডিং ও আলোচিত ফাইল সমুহ পাবেন।
2.লাইভ ক্লাসের সম্পূর্ণ ফ্রি ভিডিও কোর্স, ( শুধুমাত্র এই ভিডিও কোর্সই অনেক প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করে।)
3.প্রতিটি ক্লাস শেষে এসাইনমেন্ট জমা দেওয়া। (প্রতিটি এসাইনমেন্ট এর জন্য ১০ মার্ক) প্রতিটি ক্লাসের লাইভ ক্লাসের পাশাপাশি প্রাকটিজ ফাইল পাবেন এবং কনটেন্ট পাবেন।
4.প্রতিটি ক্লাসের প্রথম ১৫ মিনিট আগের ক্লাসের সমস্যাগুলো সমাধান হবে, পরের ১ ঘন্টা মুল ক্লাস শেষ ১৫ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব প্রতিটি ক্লাসের শেষে ১০ নাম্বারের মডেল টেস্ট
5.এই মডেল টেস্ট মার্ক এবং এসাইমেন্ট মার্ক ও নিয়মিত উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে আপনার সার্টিফিকেট এর মান নির্ধারণ হবে।
6.কোর্স শেষে সার্টিফিকেট
7.লাইভ ক্লাস সমুহের ডিভিডি ।