
আমি এই পদ্ধতিগুলো কাজে লাগিয়ে খুব ভালো ফলাফল পেয়েছি, এখন আমি যেকোন ইংরেজী পত্রিকাতো বটেই বেশির ইংরেজী বইও ডিকশনারি ছাড়া পড়তে এবং বুঝতে পারি। Saint Zones এ IELTS এ আমার ইংরেজী পরীক্ষা করার জন্য ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে শুধু পরীক্ষা নেয়া হয় এবং পরীক্ষা শেষে তার সমাধান বুঝিয়ে দেয়া হয়। আমি Writing এ গড়ে ৭(কেন যে আর বেশি দেয় না কে জানে), Listening এ গড়ে ৮ থেকে ৮.৫ এবং Reading এ ৮ এর মত করে পেয়েছি। সেখানে Speaking ক্লাস সাধারণ বেইসগুলোর জণ্য খুবই কম হয় এবং সে ক্লাসগুলোতে মাকিংও করা হয় না। আমার সাথে একজন ছিল যে একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে English Language Teaching এ মাস্টার্স শেষ করেছিল। কিন্তু একদিনও আমার চেয়ে বেশি পায়নি। তাই বলে এই নয় আমি ইংরেজী ১০০% বুঝি, তবে ৭০ – ৮০% বুঝি এ ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ। আরো অনেক শিখতে হবে।
আসুন আমরা ভাষা শেখার সবচেয় প্রাকৃতিক এবং বৈজ্ঞানীক উপায়ে ইংরেজী শিখি।কারন আমাদের দেশটাকে সামনে এগিয়ে নিতে আমাদের অবশ্যই ইংরেজী জানতে হবে। ইংরেজীটা এখন শুধু একটা ভাষাই নয় এটা আলো বায়ুর মত মহামূল্যবান একটি মহামূল্যবান ফ্রি প্রযুক্তি।
আমার মনে হয় ইংরেজীর গুরুত্ব সম্পর্কে আপনারা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন। তবে কিছু কথা না বললেই নয়…
আপনি কি জানেন প্রতি বছর কত কপি বই প্রকাশিত হয় নিচের লিংকে গেলে একটা পরিষ্কার ধারনা পাবেন…
<a href=”http://en.wikipedia.org/wiki/Books_published_per_country_per_year”>এখানে ক্লিক কর </a>
ইংরেজী স্পীকিং দেশগুলো ছাড়াও আপনি কি জানেন ইউরোপীয়ান বা উন্নত সকল দেশের বেশিরভাগ গবেষনা বই-ই ইংরেজীতে লেখা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাল কোন বই ইংরেজী ছাড়া অন্যভাষায় রচিত হলেও তার একটি ইংরেজী কপি বের হয়।
অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় সকল দেশের অর্জিত জ্ঞান অর্জনের একটাই উপায় ইংরেজী জানা।
প্রতি বছর এত সংখ্যক ইংরেজী বই বের হয় যে, তাই বাংলায় অনুবাদ করাই সম্ভব নয়, শতশত বছর ধরে প্রকাশিত ইংরেজী বইগুলো বাংলায় অনুবাদের কথা দূরে থাক। অর্থাৎ ইংরেজীর ইংরেজী ছাড়া সেই জ্ঞান সমুদ্র সবার জন্য নিষিদ্ধ।
ভাই আসুন আমরা সবাই সঠিক পদ্ধতিতে একটু কষ্ট হলেও ইংরেজী শিখি যাতে সারা বিশ্বের অর্জিত জ্ঞান আমাদের দেশের উন্নতিতে কাজে লাগাতে পারি। নিজের জন্য না হোক অন্তত নিজের দেশের ভালো করার জন্য হলেও ইংরেজী শিখুন। সময় যত যাচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় আমরা প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়ছি।
সারাবছর ধরে যুদ্ধের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত পাকিস্তানিদের তুলনায় আমরা অনেকটা খালিহাতেই আমাদের দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম ঠিকই কিন্তু জ্ঞান জগতে আমরা এখনো পরাধীন। আমাদের দেশের যেকোন প্রাকৃতিক সম্পদ আহরনে এবং বড় বড় প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন করতে এখনো আমাদের বিদেশী প্রযুক্তি এবং বিশেষজ্ঞের উপর নির্ভর হয়ে থাকতে হয়। ফলে তারা আমাদের উপর চাপিয়ে দেয় নানা ধরনের অন্যায্য শর্ত। আবার আমরা এসব অন্যায্য শর্ত মেনেও নেই এবং তাদের সাথে চুক্তি করি। এটা কি এক ধরনের পরের অধীণ হয়ে চলা নয় ??
আমাদের দেশের একটি প্রজন্ম নিজের জীবনের বিনিময়ে এনে দিয়েছিল আমাদের বাহ্যিক স্বাধীনতা।
আসুন আমরা রক্ত বা জীবনের বিনিময়ে নয়। সামান্য একটু বেশি পরিশ্রম করে আমাদের দেশকে এনে দেই জ্ঞানের স্বাধীনতা।
যেন দেশের অভ্যন্তরের সকল কাজই আমরা বিদেশীদের সাহায্য ছাড়া করতে পারি।
আমরা জানি আমরা পারব কারন বাঙ্গালিদের সম্ভাবনা অসীম এবং আমরা অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারি।
আশা করি আপনারা সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকেই পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজ দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রত্যয়ী হবেন।
(লেখাটি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বন্ধু তারেক মাহমুদ )
…